অম্বিকা চক্রবর্তী
অম্বিকা চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯২ |
মৃত্যু | ৬ মার্চ, ১৯৬২ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত |
পরিচিতির কারণ | চট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি |
রাজনৈতিক দল | স্বাধীনতার পুর্বে অনুশীলন সমিতি, স্বাধীনোত্তর কালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি |
আন্দোলন | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
পিতা-মাতা |
|
অনুশীলন সমিতি |
---|
প্রভাব |
অনুশীলন সমিতি |
উল্লেখযোগ্য ঘটনা |
সম্পর্কিত প্রসঙ্গ |
অম্বিকা চক্রবর্তী (১৮৯২- ৬ মার্চ, ১৯৬২) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।[১]
জন্ম ও শৈশব
[সম্পাদনা]অম্বিকা চক্রবর্তীর জন্ম চট্টগ্রামে। তার পিতার নাম নন্দকুমার চক্রবর্তী।[১]
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড
[সম্পাদনা]প্রথম মহাযুদ্ধের সময় ১৯১৬ সালের শেষভাগে বিপ্লবী দলের কাজে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার হন। ১৯১৮ সালে মুক্তি পান এবং বিপ্লবী নায়ক সূর্য সেনের সংগে যোগ দিয়ে চট্টগ্রামে একটি বিপ্লবী ঘাঁটি গড়ে তোলেন। ১৯২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেল কোম্পানির টাকা ডাকাতি করার পর চট্টগ্রাম শহরের প্রান্তে তাদের গোপন ঘাঁটি পুলিশ ঘিরে ফেলে। অবরোধ ভেদ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাগরখানা পাহাড়ে পুলিশের সংগে খণ্ডযুদ্ধ হয়। ঐ যুদ্ধে আহত হয়ে সূর্য সেন এবং তিনি বিষ পান করেন; কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান ও পরে গ্রেপ্তার হয়ে বিচারে মুক্ত হন। আদালতে তাদের পক্ষ সমর্থন করেন ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। ১৯২৪ সালে বাংলার অন্যান্য বিপ্লবীদের সংগে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনের কিছু আগে ১৯২৮ সালে মুক্তি পান।[১]
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল
[সম্পাদনা]১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চূড়ান্ত পর্যায়ের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের দিন তার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র দল শহরের টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা ধ্বংস করে। আত্মরক্ষার জন্য পাহাড় অঞ্চলে চারদিন অভুক্ত অবস্থায় থাকার পর ২২ এপ্রিল তারিখে পুলিশ ও মিলিটারির এক বিরাট বাহিনীর সংগে জালালাবাদের যুদ্ধে গুরুতরভাবে আহত হন। সঙ্গীরা তাকে মৃত মনে করে ত্যাগ করে চলে যায়। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরে আসে ও পাহাড় ত্যাগ করে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। কয়েক মাস পরে ধরা পড়েন। বিচারে প্রথমে প্রাণদণ্ড ও পরে আপিলে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
পরবর্তী জীবন
[সম্পাদনা]১৯৪৬ সালে মুক্তি পাবার পর কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত হন। দেশবিভাগের পর উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের চেষ্টায় একটি সমবায় গঠন করেন। ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বঙ্গীয় সাধারণ সভার সদস্য হন। ১৯৪৮ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে আত্মগোপন করেন। ১৯৪৯-৫১ সালে পুনরায় কারাবাস করেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]অম্বিকা চক্রবর্তী ১৯৬২ সালের ৬ মার্চ কলকাতার রাজপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ১৮৯২-এ জন্ম
- পূর্ববঙ্গে জন্ম
- ১৯৬২-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশী বিপ্লবী
- ভারতীয় বিপ্লবী
- চট্টগ্রাম জেলার বিপ্লবী
- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ
- অনুশীলন সমিতি
- সূর্য সেন
- বাঙালি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী
- পূর্ব বাংলা থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- পূর্ববঙ্গের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী বিপ্লবী
- ১৯শ শতাব্দীর রাজনীতিবিদ
- ২০শ শতাব্দীর রাজনীতিবিদ
- বাঙালি বিপ্লবী
- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি
- ভারতীয় স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন
- ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী
- পশ্চিমবঙ্গের ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিবিদ
- চট্টগ্রাম জেলার ব্যক্তি
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৫১-১৯৫৭