বিষয়বস্তুতে চলুন

অ্যান্ডারসন কামিন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যান্ডারসন কামিন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অ্যান্ডারসন ক্লিওফাস কামিন্স
জন্ম (1966-05-07) ৭ মে ১৯৬৬ (বয়স ৫৮)
ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২০৩)
৩০ জানুয়ারি ১৯৯৩ 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১০ ডিসেম্বর ১৯৯৪ 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬০/৪৫)
২০ ডিসেম্বর ১৯৯১ 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২২ মার্চ ২০০৭ 
কানাডা বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৮/৮৯ - ১৯৯৫/৯৬বার্বাডোস
১৯৯৩ – ১৯৯৪ডারহাম
১৯৯৫সারে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৭৬ ৬৬ ১৩৬
রানের সংখ্যা ৯৮ ৪৮৬ ১৬৭২ ১১৫২
ব্যাটিং গড় ১৯.৬০ ১৩.৫০ ২০.১৪ ১৬.৬৯
১০০/৫০ –/১ –/– ১/৮ –/২
সর্বোচ্চ রান ৫০ ৪৪* ১০৭ ৬৭
বল করেছে ৬১৮ ৩৭৬৭ ১১০২৬ ৬৯৭৬
উইকেট ৯১ ১৯২ ১৮১
বোলিং গড় ৪২.৭৫ ৩১.৬১ ৩১.৫৮ ২৮.৩৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৫৪ ৫/৩১ ৬/৬৪ ৫/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১৪/– ১৫/– ২৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

অ্যান্ডারসন ক্লিওফাস কামিন্স (ইংরেজি: Anderson Cummins; জন্ম: ৭ মে, ১৯৬৬) বার্বাডোসের ক্রাইস্টচার্চের প্যাকার্স ভ্যালিতে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এবং কানাডীয় ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার পর কানাডা দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন।[]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট ডারহাম ও সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন অ্যান্ডারসন কামিন্স[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র পাঁচ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন অ্যান্ডারসন কামিন্স। ৩০ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।

বার্বাডোস দলের পক্ষে খেলে তিনি যথেষ্ট সুনাম কুড়ান। ফলে সংশ্লিষ্ট সকলেই আশাবাদী ছিলেন যে, তাকে হয়তোবা ১৯৯২ সালে বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম খেলায় রাখা হবে। কিন্তু, এর ব্যতয় ঘটিয়ে কেনি বেঞ্জামিনকে দলে রাখা হয়। স্থানীয় খেলোয়াড়কে না রাখায় সমর্থকেরা এর প্রতিবাদস্বরূপ খেলার মাঠে অনুপস্থিত থাকে।[]

এক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের পর তিনি আর মাত্র চারটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তবে, টেস্টের তুলনায় একদিনের আন্তর্জাতিকে অধিক সফলতার মুখ দেখেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে ৬৩টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ছয়টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন কামিন্স।

দুই বছর মেয়াদে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের পক্ষে খেলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে সারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।

কানাডায় অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

১৯৯৬ সালে উচ্চ স্তরের ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এরপর কানাডায় চলে যান। সেখানে টরন্টো ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন লীগে ক্যাভালিয়ার্সের পক্ষে খেলতে থাকেন। ৪০ বয়সী অ্যান্ডারসন কামিন্সকে বিস্ময়করভাবে জানুয়ারি, ২০০৭ সালে কেনিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রি-দেশীয় খেলায় অংশগ্রহণের জন্য কানাডা দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়।

১৮ জানুয়ারি তারিখে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে কানাডার সদস্যরূপে অভিষেক ঘটে তার। নতুন দলের পক্ষে ফ্রেজার ওয়াটস তার প্রথম ওডিআই উইকেট শিকারে পরিণত হন। এরপর ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[] কেনিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় তার অংশগ্রহণ ছিল। এরফলে, কেপলার ওয়েসেলসের অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে পৃথক দুই দলে খেলার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে খেলার সুযোগ লাভ করেন।

এ প্রতিযোগিতার পর অ্যান্ডারসন কামিন্স তার অবসরের কথা ঘোষণা করেন। এরপর ক্রিকেট কানাডায় কোচ হিসেবে জড়িত থাকেন ও ২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে ঘিরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে প্রশিক্ষণ দেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Dual-internationals at the Cricket World Cup"International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যান্ডারসন কামিন্স (ইংরেজি)
  3. "No Cummins, no goings"। Cricinfo। ৭ মে ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ 
  4. "Cummins and goings, and India's brothers"। Cricinfo। ৫ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০০৭ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]