আনফরগিভেন
আনফরগিভেন | |
---|---|
পরিচালক | ক্লিন্ট ইস্টউড |
প্রযোজক | ক্লিন্ট ইস্টউড |
রচয়িতা | ডেভিড পিপ্ল্স |
শ্রেষ্ঠাংশে | ক্লিন্ট ইস্টউড জিনি হ্যাকম্যান মরগ্যান ফ্রিম্যান রিচার্ড হ্যারিস |
সুরকার | Lennie Niehaus |
চিত্রগ্রাহক | জ্যাক এন গ্রিন |
সম্পাদক | জোল কক্স |
পরিবেশক | ওয়ার্নার ব্রাদার্স |
মুক্তি | ৭ই আগস্ট, ১৯৯২ |
স্থিতিকাল | ১৩১ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $14.4 million[১] |
আয় | ১৫৯,১৫৭,৪৪৭ ডলার |
আনফরগিভেন (ইংরেজি ভাষায়: Unforgiven) ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র। পরিচালক ক্লিন্ট ইস্টউড নিজেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইস্টউড সত্তর ও আশির দশকের বিখ্যাত পরিচালক সের্জিও লেওনে এবং ডন সিজেলকে ছবিটি উৎসর্গ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন ওয়েস্টের বিভৎস ভায়োলেন্সকে এতে স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে এবং ওয়েস্টার্ন পুরাণকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।[২]
আনফরগিভেন সেরা ছবি এবং সেরা পরিচালক সহ মোট চারটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রভাব বিবেচনা করে ২০০৪ সালে এটিকে ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০০৮ সালের জুন মাসে এএফআই যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ ধ্রুপদী চলচ্চিত্রগুলোকে ধরন অনুযায়ী সাজিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ১,৫০০ জনের ভোটে ওয়েস্টার্ন ধরনে আনফরগিভেন সর্বকালের সেরা ৪ নম্বর চলচ্চিত্র হিসেবে উঠে এসেছে।
কাহিনী সূত্র
[সম্পাদনা]উইলিয়াম মানি (ইস্টউড) একসময় কুখ্যাত ডাকাত ও খুনী ছিল। অবসর জীবনে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তার প্রাক্তন সহকারী নেডও এখন কৃষক। স্কোফিল্ড নামে এক যুবক মানির কাছে একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে: ওয়াইওমিংয়ের এক রাখালকে খুন করার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এই রাখাল সেখানকার এক পতিতার মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে বলেই তাকে খুন করতে হবে। প্রথমে মানি রাজি হয়নি। কিন্তু পরে নিজের দুই ছোট ছেলে-মেয়েকে একা রেখে চলে যায়, পুরনো কাজটি আরেকবার করার জন্য। নেডকে সাথে নেয়। মানি, নেড ও স্কোফিল্ড রাখালকে খুঁজতে শুরু করে।
ওয়াইওমিংয়ের শেরিফ ড্যাগেটের (হ্যাকম্যান) সাথে রাখালদের সম্পর্ক ভাল, তাই ড্যাগেট তাদের তেমন কিছুই করেনি। এই শহরে একসময় ইংলিশ বব আসে তার জীবনীকার নিয়ে। অস্ত্র নিয়ে ঢোকায় শেরিফ তাকে মারধোর করে। বব চলে যায়, এর পরপরই মানির নেতৃত্বে তিনজন শহরে আসে। এখান থেকেই ক্লাইমেক্সের শুরু।
চরিত্রসমূহ
[সম্পাদনা]- ক্লিন্ট ইস্টউড - উইলিয়াম মানি (অবসর গ্রহণকারী চোর ও খুনী)
- মরগ্যান ফ্রিম্যান - নেড লোগান (মানির সহকারী ছিল, সেও অবসর নিয়েছে)
- জিনি হ্যাকম্যান - লিট্ল বিল ড্যাগেট (ওয়াইওমিং-এর শেরিফ)
- রিচার্ড হ্যারিস - ইংলিশ বব (দুর্ধর্ষ খুনী)
- সল রুবিনেক - ডব্লিউ ডব্লিউ বুশ্যাম্প (ইংলিশ ববের জীবনীকার)
- উলভেট - স্কোফিল্ড (জীবনে কেবল একটাই খুন করেছে)
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]সমালোচকরা আনফরগিভেনের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। অ্যামেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট-এর সর্বকালের সেরা ১০০ চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে। ২০০৫ সালে টাইম ডট কম একে গত ৮০ বছরের সেরা ১০০ ছবির তালিকায় স্থান দিয়েছে। রটেন টম্যাটোস-এ ছবিটির রেটিং ৯৬%। আইএমডিবি-তে রেটিং ৮.৩। অনেক সমালোচকই একে নয়ারমিশ্রিত পরিবেশের সফল রূপায়ণ বলেছেন।
পুরস্কারসমূহ
[সম্পাদনা]- একাডেমি পুরস্কার (১৯৯২)
- সেরা ছবি - ক্লিন্ট ইস্টউড
- সেরা পরিচালক - ক্লিন্ট ইস্টউড
- সেরা সম্পাদনা - জোল কক্স
- সেরা পার্শ্ব অভিনেতা - জিনি হ্যাকম্যান
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Hughes, p. 38
- ↑ "Clint Eastwood reveals why UNFORGIVEN may be his last Western."। ২৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আনফরগিভেন (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে Unforgiven (ইংরেজি)
- Unforgiven at Filmsite.org
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৯২-এর চলচ্চিত্র
- ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- ওয়ার্নার ব্রসের চলচ্চিত্র
- ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালিত চলচ্চিত্র
- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- ওয়াইয়োমিংয়ের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- অ্যালবার্টায় ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- বাফটা বিজয়ী (চলচ্চিত্র)
- ক্লিন্ট ইস্টউড প্রযোজিত চলচ্চিত্র
- ক্যালিফোর্নিয়ায় ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র
- শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব বিজয়ী চলচ্চিত্র
- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সম্পাদনার জন্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্রের তালিকাভুক্তি চলচ্চিত্র