বিষয়বস্তুতে চলুন

ক্রিস হ্যারিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্রিস হ্যারিস
২০১৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ক্রিস হ্যারিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ক্রিস জিনজ্যান হ্যারিস
জন্ম (1969-11-20) ২০ নভেম্বর ১৯৬৯ (বয়স ৫৪)
ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, কোচ
সম্পর্কপিজিজেড হ্যারিস (বাবা)
বেন হ্যারিস (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৮১)
২৭ নভেম্বর ১৯৯২ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট২৮ জুন ২০০২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭২)
২৯ নভেম্বর ১৯৯০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৮ ডিসেম্বর ২০০৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৯/৯০-২০০৯/১০ক্যান্টারবারি
২০০৩গ্লুচেস্টারশায়ার
২০০৩ডার্বিশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৩ ২৫০ ১৩১ ৪৪৯
রানের সংখ্যা ৭৭৭ ৪৩৭৯ ৭৩৭৭ ৯৫৮৪
ব্যাটিং গড় ২০.৪৪ ২৯.০০ ৪৫.৫৩ ৩৪.৩৫
১০০/৫০ ০/৫ ১/১৬ ১৫/৪১ ৩/৪৭
সর্বোচ্চ রান ৭১ ১৩০ ২৫১* ১৩০
বল করেছে ২৫৬০ ১০৬৬৭ ১৪৮৮৭ ২০২৪৪
উইকেট ১৫ ২০৩ ১৬০ ৩৯৬
বোলিং গড় ৭৩.১২ ৩৭.৫০ ৩৫.৭৫ ৩৪.০৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/১৬ ৫/৪২ ৪/২২ ৫/৪২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৪/- ৯৬/- ১২০/০ ১৯৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ জানুয়ারি ২০১৭
পদকের তথ্য
 নিউজিল্যান্ড-এর প্রতিনিধিত্বকারী
পুরুষদের ক্রিকেট
কমনওয়েলথ গেমস
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ১৯৯৮ কুয়ালালামপুর দলগত প্রতিযোগিতা

ক্রিস জিনজ্যান হ্যারিস (ইংরেজি: Chris Harris; জন্ম: ২০ নভেম্বর, ১৯৬৯) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডী ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ক্রিস হ্যারিস বামহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি স্লো-মিডিয়াম বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৫-এর অধিক গড়ে সাত সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেছেন। ১২৮ খেলায় তিনি ১৩ সেঞ্চুরিসহ সর্বাধিক অপরাজিত ২৫১* রান তোলেন। এছাড়াও ৩৮ গড়ে ১২০ উইকেট পান। কিশোর বয়সে জন ব্রেসওয়েলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

২০০৭ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লিগে ব্যাকআপ ক্রিকেট ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ও ১৩.০৮ গড়ে ৮২ উইকেট নিয়ে লিগের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হন।[] ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে হায়দ্রাবাদ হিরোজের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ন্যায় টেস্ট ক্রিকেটে তিনি তেমন সফলতা পাননি। ২৩ টেস্টে তার রানের গড় মাত্র ২০ ও ৭৩ রান খরচায় ১৬ উইকেট দখল করেন।

একদিনের আন্তর্জাতিকে হ্যারিস বেশ সফলতা দেখিয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ২য় ওডিআইয়ে গাই হুইটলকে আউট করে নিজস্ব শততম উইকেট লাভ করেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার দল ৮ উইকেটে জয় পেয়েছিল। খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ১/২৯।[]

২০০৪ সালে প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২৫০ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ৩৭ রান গড়ে ২০০ উইকেট পান। ওভারপ্রতি তিনি ৪.২৮ রান দিয়েছেন। ২৯ গড়ে তিনি ৪৩০০ রান তোলেন। মাঠে তিনি ৯০ ক্যাচ নেন। ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি তিনি ফিল্ডিং করতেন। ২৫০তম একদিনের আন্তর্জাতিকে তিনি গুরুতরভাবে কাঁধের আঘাতে আক্রান্ত হন। এ সময় তার খেলোয়াড়ী জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়।

অবসর পরবর্তীকাল

[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ক্যান্টারবারি যুব ইনডোর ক্রিকেট দলে কোচিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হন। অন্যতম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে জিম্বাবুয়ে চলে যান ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করেন। ২০১২-১৩ মৌসুমে অকল্যান্ডের পাপাটোটো ক্রিকেট ক্লাবে খেলোয়াড়/কোচ হিসেবে অংশ নেন।

নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত বিষয়ে নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করলেও পরবর্তীতে ব্ল্যাক ক্যাপস নামে পরিচিত নিউজিল্যান্ড দলের ব্যাটিং কোচ নিযুক্ত হন।

২০১৩-১৪ মৌসুমে ক্রাইস্টচার্চের সিডেনহাম ক্রিকেট ক্লাবে যোগদান করেন।[][] ঐ মৌসুমেই তিনি ক্লাবের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[] ২০১৪-১৫ মৌসুমের শুরুতে প্রিমিয়ার দলের খেলোয়াড়/কোচ মনোনীত হন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

হ্যারিসের বাবা জিন হ্যারিস ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৫ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। তার ভাই বেন হ্যারিস প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। সকলেই পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ‘জিনজ্যান’ নাম ধারণ করেছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Lancashire League 2007 – Most wickets, CricketArchive, Retrieved 13 October 2007
  2. "New Zealand v Zimbabwe, 2nd ODI, 1997-98" [নিউজিল্যান্ড ব জিম্বাবুয়ে, ২য় ওডিআই, ১৯৯৭-৯৮]। ক্রিকেট আর্কাইভ.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. Chris Harris joins Sydenham ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে, Sydenham Cricket Club Official Website, Retrieved 11 September 2013
  4. Ageless Harry signs on ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে, The Christchurch Press, Retrieved 11 September 2013
  5. 2013/14 Sydenham Cricket Club Trophy Winners[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], Sydenham Cricket Club Official Website, Retrieved 8 April 2014

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]