গ্রেস কেলি
গ্রেস কেলি | |
---|---|
মোনাকোর যুবরাজ্ঞী | |
Tenure | ১৮ এপ্রিল ১৯৫৬ –১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ |
জন্ম | গ্রেস প্যাট্রিশিয়া কেলি ১২ নভেম্বর ১৯২৯ হানেমান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ফিলাডেলফিয়া, পেন্সিলভেনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ মোনাকো হাসপাতাল, লা কোল, মোনাকো | (বয়স ৫২)
সমাধি | সেন্ট নিকোলাস ক্যাথিড্রাল, মোনাকো ভিলা |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোনাকোর যুবরাজ তৃতীয় রাইনার (বি. ১৯৫৬) |
রাজবংশ | গ্রিমাল্ডি (বিবাহের ফলে) |
পিতা | জন বি. কেলি সিনিয়র |
মাতা | মার্গারেট ক্যাথরিন ম্যাজার |
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক |
পেশা | অভিনেত্রী (১৯৫০–৫৬) |
স্বাক্ষর |
গ্রেস প্যাট্রিশিয়া কেলি (ইংরেজি: Grace Patricia Kelly; ১২ নভেম্বর ১৯২৯ - ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮২) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ১৯৫৬ সালের এপ্রিলে মোনাকোর যুবরাজ তৃতীয় রাইনিয়েকে বিয়ে করার পর মোনাকোর যুবরাজ্ঞী হন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার ও দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেছেন।
কেলি ১৯৫০ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং নিউ ইয়র্ক সিটির মঞ্চনাটক ও ১৯৫০-এর দশকে টেলিভিশনে প্রচারিত ৪০ পর্বের বেশি টিভি লাইভ ড্রামা প্রডাকশন্সে কাজ করেন। ১৯৫৩ সালের অক্টোবরে তিনি পরিচালক জন ফোর্ডের মোগ্যাম্বো চলচ্চিত্রে ক্লার্ক গেবল ও আভা গার্ডনারের সাথে কাজ করে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি দ্য কান্ট্রি গার্ল (১৯৫৪) সালে বিং ক্রাজবির বিপরীতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল গ্যারি কুপারের বিপরীতে হাই নুন (১৯৫২), অ্যালফ্রেড হিচকক পরিচালিত রে মিলান্ডের বিপরীতে ডায়াল এম ফর মার্ডার (১৯৫৪), জেমস স্টুয়ার্টের বিপরীতে রিয়ার উইন্ডো (১৯৫৪) ও ক্যারি গ্র্যান্টের বিপরীতে টু ক্যাচ আ থিফ (১৯৫৫), এবং বিং ক্রাজবি ও ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার বিপরীতে হাই সোসাইটি (১৯৫৬)।
কেলি মাত্র ২৬ বছর বয়সে মোনাকোর যুবরাজ তৃতীয় রাইনিয়েকে বিয়ে করে অভিনয় থেকে অবসরে যান এবং যুবরাজ্ঞীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাদের ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রের সেরা ২৫ নারী তারকা তালিকায় তাকে ১৩তম স্থান প্রদান করে।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]পিতামাতার অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেলি অভিনেত্রী হতে আগ্রহী হন। অভিনয় জীবন শুরুর লক্ষ্যে তিনি নিউ ইয়র্কে আমেরিকান একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টসে অডিশন দেন। অডিশনে তিনি তার চাচা জর্জ কেলির দ্য টর্চ-বেয়ারার (১৯২৩) চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যের অভিনয় দেখান। যদিও এই প্রতিষ্ঠানে সেই সেমিস্টারের কোটা পূরণ হয়ে গিয়েছিল, তিনি ভর্তি বিষয়ক কর্মকর্তা এমিলি ডিয়েস্টেলের সাথে সাক্ষাৎকারের সুযোগ পান এবং তার চাচা জর্জের সহযোগিতায় সেখানে ভর্তি হন।[২]
কেলি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন এবং টেপ রেকর্ডার ব্যবহার করে তার সংলাপের অনুশীলন করতে থাকেন। তার শুরুর দিকের অভিনয়ের অনুশীলনের ফলে তিনি মঞ্চে কাজ করার সুযোগ পান এবং রেমন্ড ম্যাসির বিপরীতে স্ট্রিন্ডবার্গের দ্য ফাদার মঞ্চনাটক দিয়ে ব্রডওয়ে মঞ্চে তার অভিষেক হয়। ১৯ বছয় বয়সে তিনি তার স্নাতক পর্যায়ের কাজ হিসেবে দ্য ফিলাডেলফিয়া স্টোরি মঞ্চনাটকে ট্রেসি লর্ড চরিত্রে অভিনয় করেন।[২]
টেলিভিশনে অভিনয়ের সাফল্যের ফলে তিনি একটি মূলধারার চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পান। দ্য ফাদার-এ তার কাজ থেকে মুগ্ধ হেনরি হ্যাথাওয়ে তাকে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের ফোর্টিন আওয়ার্স চলচ্চিত্রে একটি ছোট ভূমিকায় কাজের প্রস্তাব দেন। পল ডগলাস, রিচার্ড বেজহার্ট ও বারবারা বেল গেডেসের সাথে তিনি একটি অপ্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩]
ফোর্টিন আওয়ার্স চলচ্চিত্রে সেটে যাওয়ার সময় কেলি অভিনেতা গ্যারি কুপারের নজরে আসেন এবং তারা পরবর্তীকালে একত্রে হাই নুন (১৯৫২) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ১৯৫৩ সালের অক্টোবরে তিনি পরিচালক জন ফোর্ডের মোগ্যাম্বো চলচ্চিত্রে ক্লার্ক গেবল ও আভা গার্ডনারের সাথে কাজ করে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি দ্য কান্ট্রি গার্ল (১৯৫৪) সালে বিং ক্রাজবির বিপরীতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৪]
এছাড়া অ্যালফ্রেড হিচকক পরিচালিত রে মিলান্ডের বিপরীতে ডায়াল এম ফর মার্ডার (১৯৫৪), জেমস স্টুয়ার্টের বিপরীতে রিয়ার উইন্ডো (১৯৫৪) ও ক্যারি গ্র্যান্টের বিপরীতে টু ক্যাচ আ থিফ (১৯৫৫), এবং বিং ক্রাজবি ও ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার বিপরীতে হাই সোসাইটি (১৯৫৬) চলচ্চিত্র অভিনয় করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Greatest American Screen Legends" (পিডিএফ)। এএফআই। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ জ্যাকবস, লরা (মে ২০১০)। "Grace Kelly's Forever Look"। ভ্যানিটি ফেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ হগল্যান্ড ২০০৬, পৃ. ৯৫৪।
- ↑ "1954 Academy Awards® Winners and History"। ফিল্মসাইট (ইংরেজি ভাষায়)। এএমসি নেটওয়ার্ক এন্টারটেইনমেন্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- হগল্যান্ড, এইচ. ক্রিস্টিনা (২০০৬)। Grace Kelly: Icon of Style to Royal Bride (Philadelphia Museum of Art)। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-300-11644-1।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে গ্রেস কেলি (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে গ্রেস কেলি (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে গ্রেস কেলি (ইংরেজি)
- ১৯২৯-এ জন্ম
- ১৯৮২-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী
- আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- আমেরিকান একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টসের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কেলি পরিবার
- ফিলাডেলফিয়ার অভিনেত্রী
- মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- মার্কিন টেলিভিশন অভিনেত্রী
- মার্কিন মঞ্চ অভিনেত্রী
- মার্কিন রোমান ক্যাথলিক
- মোনাকোতে মার্কিন অভিবাসী
- মোনাকোর সেন্ট নিকোলাস ক্যাথিড্রালে সমাহিত
- মোনাকোর যুবরাজ্ঞী
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - নাট্য চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের চুক্তিবদ্ধ শিল্পী
- আইরিশ বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী
- জার্মান বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী