বিষয়বস্তুতে চলুন

টেমপ্লেট:প্রধান পাতা ভালো নিবন্ধ/তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রশিদ হোসেন চৌধুরী, ছিলেন একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, লেখক এবং অধ্যাপক। বাংলাদেশে শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে শিল্পী জয়নুল আবেদীন প্রবর্তিত উত্তর-উপনিবেশিক পর্বে সৃজনশীল ও মৌলিকত্বে তিনি ছিলেন সর্বজন প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যেও অন্যতম ছিলেন এবং পঞ্চাশের দশকে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্প-আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বকীয় শিল্পচর্চার সূচনা করেছিলেন ভারত উপমহাদেশে, বিংশ শতাব্দীর তাপিশ্রী শিল্পী হিসেবে তিনি অন্যতম অগ্রগামী। এ-মাধ্যমেই তিনি সর্বাধিক মৌলিক এবং আধুনিক শিল্পধারার চর্চাকারী হিসেবে অগ্রগণ্য। তাপিশ্রীর পাশাপাশি প্রচলিত তেল রঙ ছাড়াও তিনি কাজ করেছেন টেম্পেরা, গোয়াশ এবং জলরঙ ইত্যাদি অপ্রচলিত মাধ্যমসমূহে। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এবং রাষ্ট্রীয় ও সাধারণ ভবনসমূহে তাপিশ্রী মাধ্যমে বহুসংখ্যক কাজ করেছেন তিনি। এই তাপিশ্রী শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


আন্তন চেখভ
আন্তন চেখভ

আন্তন পাভলোভিচ চেখভ একজন রুশ চিকিৎসক, ছোটগল্পকার এবং নাট্যকার ছিলেন। তাঁর জন্ম ২৯ জানুয়ারি, ১৮৬০ এ দক্ষিণ রাশিয়ার তাগানরোগ নামক এলাকায়। তাঁকে বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা ছোটগল্প লেখক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর ছোটগল্পগুলো লেখক, সমালোচক সমাজে প্রভূত সমাদর অর্জন করেছে। নাট্যকার হিসেবে পেশাজীবনে চেখভ চারটি ক্ল্যাসিক রচনা করেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এমন নাট্যকারদের মাঝে শেকসপিয়রইবসেনের পাশাপাশি চেখভের নামও উল্লেখ করা হয়। শুরুতে চেখভের লেখক হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিলো না। প্রথমদিকের গল্পগুলো তিনি লিখেছিলেন জীবনযাপন ও পড়ালেখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাড় করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু পরে তাঁর মধ্যে শিল্পীসুলভ উচ্চাকাঙ্ক্ষা জন্ম নিলে ক্রমে তিনি সাহিত্যচর্চার ভিন্ন রীতি ও প্রবণতার উদ্ভাবন করেন যা আধুনিক ছোটগল্পের বিকাশে বিশেষ প্রভাব রাখে। ১৮৮০ থেকে ১৯০৩ সালের মধ্যে তিনি সর্বমোট ৬০০টি সাহিত্যকর্ম রচনা ও প্রকাশ করেন। শুরুতে নাট্যকার হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পান থ্রি সিস্টারস, দ্য সীগাল এবং দ্য চেরি অরচার্ড এই তিনটি নাটকের মাধ্যমে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


সূক্ষাতিসূক্ষ ও জটিল ইলেকট্রনিক বর্তনী
সূক্ষাতিসূক্ষ ও জটিল ইলেকট্রনিক বর্তনী

তড়িৎ প্রকৌশল (যা প্রায়শ তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল নামে অভিহিত) প্রকৌশল পেশার একটি প্রধান শাখা যা মূলত তড়িৎ, ইলেকট্রনিক্সতড়িচ্চুম্বকত্ব নিয়ে কাজ করে। উল্লেখযোগ্য পেশা হিসেবে তড়িৎ প্রকৌশল আত্মপ্রকাশ করে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে, যখন টেলিগ্রাফি এবং বিদ্যুৎশক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। বর্তমানে তড়িৎ প্রকৌশলের ব্যাপ্তি বিদ্যুৎশক্তি, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক্স, টেলিযোগাযোগ সহ আরও কিছু উপশাখা জুড়ে বিস্তৃত।তড়িৎ প্রকৌশল বলতে অনেক সময় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলও বোঝানো হয়ে থাকে। তবে যখন শুধু তড়িৎ প্রকৌশল বলা হয় তখন মূলত যে শাখা বড় আকারের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বা যন্ত্রপাতি যেমন বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন, বৈদ্যুতিক মোটর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে তাকে বোঝানো হয়। অন্যদিকে ক্ষুদ্র আকারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন কম্পিউটার, সমন্বিত বর্তনী ইত্যাদি ইলেকট্রনিক প্রকৌশলের অন্তর্গত। অন্য কথায় তড়িৎ প্রকৌশলীগণ সাধারণত শক্তি সঞ্চালনের জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে কাজে লাগান আর ইলেকট্রনিক প্রকৌশলীগণ তথ্য আদানপ্রদানের কাজে বিদ্যুতশক্তিকে ব্যবহার করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৮৮ সালের আর্সেনাল দল
১৮৮৮ সালের আর্সেনাল দল

আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব, যা আর্সেনাল বা গানার্স নামেও পরিচিত, একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সফল ক্লাব। আর্সেনাল মোট তের বার প্রথম বিভাগ এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা, দশ বার এফএ কাপ এবং ২০০৫-০৬ মৌসুমে লন্ডনের প্রথম ক্লাব হিসাবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্‌স লীগের ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এছাড়াও ইউরোপীয় ফুটবলের সেরা ক্লাবদের সংঘ জি-১৪-এর গুরুত্বপুর্ণ সদস্য। আর্সেনালের প্রতিষ্ঠা ১৮৮৬ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ওউলিচে। ১৯১৩ সালে হাইবারিতে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে স্থাপিত হয় আর্সেনাল স্টেডিয়াম। যদিও ক্লাবটির প্রতিষ্ঠা ১৮৮৬ সালে, আর্সেনালের সাফল্যের সূচনা ১৯৩০ সালে প্রথমবারের মতো লীগ চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে বিংশ শতাব্দীর প্রথম দল হিসাবে আর্সেনাল যুগ্ম শিরোপা জয় করে। শেষের বিশটি বছর ছিল ক্লাবটির স্বর্ণ যুগ। এসময় তারা দ্বিতীয় বারের মতো আবার ২০০৩-০৪ মৌসুমে যুগ্ম শিরোপা জয় করে। এই মৌসুমেই তারা অপরাজিত থেকে লীগ শিরোপা জয় করে। ২০০৫-০৬ সালে তারা লন্ডনের প্রথম ক্লাব হিসাবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্‌স লীগের ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। প্রথাগতভাবে আর্সেনালের রঙ লাল ও সাদা। (বাকি অংশ পড়ুন...)


লিওনেল মেসি (২০১১)
লিওনেল মেসি (২০১১)

লিওনেল আন্দ্রেস "লিও" মেসি একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি স্পেনের জাতীয় ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতা লা লিগাতে বার্সেলোনা ক্লাব এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের জন্য মনোনীত হন। এর পরের বছরেই তিনি প্রথমবারের মত বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কার জিতে নেন। ২০১০ সাল থেকে বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দুটিকে এক করে নাম দেওয়া হয় ফিফা বালোঁ দর। উদ্বোধনী বছরেই এই পুরস্কার জেতেন মেসি। এরপর ২০১১ এবং ২০১২ সালের পুরস্কারও জেতেন তিনি। মেসি ২০১১–১২ মৌসুমে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন। মেসি বর্তমানে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা। অনেক ভাষ্যকার, কোচ এবং খেলোয়াড় তাকে বর্তমান সময়ের সেরা এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে দাবী করেন। বার্সেলোনার হয়ে মেসি পাঁচটি লা লিগা শিরোপা, দুইটি কোপা দেল রে, পাঁচটি স্পেনীয় সুপার কাপ, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুইটি ইউরোপীয়ান সুপার কাপ এবং দুইটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


ইয়োহানেস কেপলার
ইয়োহানেস কেপলার

ইয়োহানেস কেপলার একজন জার্মান গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতিষী। তিনি ১৭শ শতকের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত হয়ে আছেন কেপলারের গ্রহীয় গতিসূত্রের কারণে। পরবর্তীকালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাঁর লেখা আস্ত্রোনমিয়া নোভা, হারমোনিকেস মুন্দি এবং এপিতোমে আস্ত্রোনমিয়াই কোপেরনিকানাই বইগুলির মধ্যে লেখা নীতিগুলিকেই তাঁর সূত্র হিসাবে নামকরণ করেছেন। কেপলারের আগে গ্রহের গতিপথ জ্যোতিষ্কসমূহের খ-গোলক অনুসরণ করে নির্ণয় করা হত। কেপলারের পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন গ্রহগুলো উপবৃত্তাকার কক্ষপথ অনুসরণ করে। কেপলারের গ্রহীয় সূত্রগুলো আইজাক নিউটনের বিশ্বজনীন মহাকর্ষ তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল। কর্মজীবনে কেপলার ছিলেন অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস শহরে অবস্থিত একটি সেমিনারি স্কুলে গণিতের শিক্ষক যেখানে তিনি প্রিন্স হান্স উলরিখ ফন এগেনবের্গের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীতে পরিণত হন। এরপরে তিনি বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ট্যুকো ব্রাহের সহকারী হন এবং একসময় সম্রাট দ্বিতীয় রুডলফ এবং তার দুই উত্তরসূরী মাটিয়াস ও দ্বিতীয় ফের্ডিনান্ডের রাজগণিতবিদ হিসেবে কাজ করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


পশ্চিমবঙ্গের জেলাসমূহ
পশ্চিমবঙ্গের জেলাসমূহ

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ একাধিক ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। যেমন, দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল, রাঢ় অঞ্চল, পশ্চিমের উচ্চভূমি ও মালভূমি অঞ্চল, উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল, সুন্দরবন এবং গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল। ১৯৪৭ সালে, যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করে, তখন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশ বিভাজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত প্রদেশের ১৪টি জেলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গঠিত হয়। ১৯৫০ সালে পূর্বতন দেশীয় রাজ্য কোচবিহার একটি জেলা রূপে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৪ সালে পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর রাজ্যের হুগলি জেলার একটি অংশ রূপে যুক্ত হয়। ১৯৫৬ সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভুক্তি ঘটে এবং বিহারের অপর একটি অংশ পশ্চিম দিনাজপুরের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরবর্তীকালে পশ্চিম দিনাজপুর, মেদিনীপুর ও চব্বিশ পরগনা জেলার মতো বৃহদাকার জেলাগুলিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তিনটি বিভাগ ও উনিশটি জেলায় বিভক্ত। বিভাগগুলি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাগুলি জেলাশাসকের দ্বারা শাসিত হয়। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা কলকাতা জেলায় অবস্থিত। অন্যান্য জেলাগুলি মহকুমাব্লকে বিভক্ত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরুবিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছগীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর রচিত আমার সোনার বাংলাজনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


লালনের জীবদ্দশায় তৈরি করা একমাত্র চিত্র, ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এঁকেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
লালনের জীবদ্দশায় তৈরি করা একমাত্র চিত্র, ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এঁকেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর

লালন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালী যিনি 'ফকির লালন', 'লালন সাঁই', 'লালন শাহ', 'মহাত্মা লালন' ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের একজন অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার গানের মাধ্যমেই ঊনিশ শতকে বাউল গান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তাকে "বাউল সম্রাট" হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী, যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গানসমূহ রচনা করেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুলের মত বহু কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবিসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কন্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে "মহাত্মা" উপাধি দেয়া হয়েছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


গ্লুকোজ ট্যাবলেট
গ্লুকোজ ট্যাবলেট

গ্লুকোজ বা দ্রাক্ষা-শর্করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্বোহাইড্রেট যা শর্করার রাসায়নিক শ্রেণিবিভাগে এক প্রকার একশর্করা বা মনোস্যাকারাইড। জীবন্ত কোষ গ্লুকোজকে শক্তি ও বিপাকীয় প্রক্রিয়ার একটি উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। সালোকসংশ্লেষণ বা ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান উৎপাদ। গ্লুকোজ প্রাণী ও উদ্ভিদের কোষের শ্বাসক্রিয়ায় অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। পাকা, মধু ও আধিকাংশ মিষ্ট ফলে গ্লুকোজ থাকে । রক্তে এবং বহুমূত্র রোগীর মূত্রে সামান্য পরিমাণে গ্লুকোজ আছে। গ্লুকোজ গ্রিক শব্দ glukus (γλυκύς) থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যার অর্থ “মিষ্টি” এবং "-ose" প্রত্যয়টি চিনি নির্দেশ করে। অ্যালডোহেক্সোজ চিনির দুইটি স্টেরিও সমাণু গ্লুকোজ নামে পরিচিত, যার মাত্র একটি (D-গ্লুকোজ ) জৈবিকভাবে সক্রিয়। এই গঠনটিকে অনেক সময় ডেক্সট্রোজ ("ডেক্সট্রোরোটেটরি" হতে উদ্ভূত) মনোহাইড্রেট অথবা বিশেষত খাদ্য শিল্পে সাধারণভাবে ডেক্সট্রোজ বলা হয়। এই নিবন্ধটিতে D-গঠনবিশিষ্ট গ্লুকোজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, L-গ্লুকোজ কোষে জৈবিকভাবে বিপাকীয় ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না, যা গ্লাইকোলাইসিস নামে পরিচিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০

চুড়িহাট্টা মসজিদ
চুড়িহাট্টা মসজিদ

চুড়িহাট্টা মসজিদ বাংলাদেশের একটি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা ঢাকা মহানগরের পুরোন ঢাকার উমেশ চন্দ্র দত্ত লেন ও হায়দার বকশ লেনের তেমাথায় অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে মসজিদটি চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদ নামে পরিচিত ছিল। মসজিদটির প্রকৃত অবস্থান ছিল চকবাজারের সামান্য পশ্চিম দিকে ২৬-২৭ শেখ হায়দার বকশ লেন। ঐতিহাসিক তথ্যমতে মসজিদটি ৩৬০ বছর পুরোন (২০০৮ সাল)। তবে প্রাচীন মসজিদ স্থাপত্যটি বর্তমানে বিলুপ্ত, সে জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক স্থাপত্য। চুড়িহাট্টার ঐতিহাসিক মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। মসজিদটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব না জেনেই মসজিদ কমিটির লোকজন অপেক্ষাকৃত বৃহদাকৃতির বহুতল মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্যে পুরোন মসজিদটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেন। জানা যায় ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকেই মসজিদটি ভাঙার কাজ শুরু হয়, এবং জুলাই মাস নাগাদ পুরো মসজিদটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। পুরোন, ধ্বংস করে দেয়া মসজিদটির জায়গায় নির্মিত হয়েছে নতুন মসজিদ ভবন। নতুন ভবনের দোতলার মিহরাবে আদি মসজিদের ফলকটি স্থাপন করা হয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১১

রিয়াজ
রিয়াজ

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক যিনি রিয়াজ নামেই বেশি পরিচিত হলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মহম্মদ হান্‌নান পরিচালিত প্রাণের চেয়ে প্রিয় চলচ্চিত্রে রিয়াজ অভিনয় করেন যা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং একইসঙ্গে রিয়াজকে জনসাধারণের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলে। তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকারের ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করে। পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলি যথাক্রমে দুই দুয়ারী (২০০০), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) এবং কি যাদু করিলা (২০০৮)। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২

ইবন বতুতা
ইবন বতুতা

ইবনে বতুতা সুন্নি মুসলিম পর্যটক, চিন্তাবিদ, বিচারক এবং সুন্নি ইসলামের মালিকি মাযহাবে বিশ্বাসী একজন ধর্মতাত্ত্বিক। তিনি ১৩০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী মরোক্কোর তাঞ্জিয়ারে জন্মগ্রহন করেন। চীন সহ পৃথিবীর অনেক যায়গায় তিনি "শামস-উদ-দীন" নামেও পরিচিত। ইবনে বতুতা সারা জীবন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেরিয়েছেন। পৃথিবী ভ্রমণের জন্যই তিনি মূলত বিখ্যাত হয়ে আছেন। একুশ বছর থেকে শুরু করে জীবনের পরবর্তী ৩০ বছরে তিনি প্রায় ৭৫ মাইল (১২১ কিমি) অঞ্চল পরিভ্রমণ করেছেন। তিনিই একমাত্র পরিব্রাজক যিনি তার সময়কার সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন এবং এর সুলতানদের সাথে সাক্ষাত করেছেন। অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকা থেকে শুরু করে মিশর, সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরান, ইরাক, কাজাকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীন ভ্রমণ করেছিলেন। ভ্রমণকালে তিনি এই উপমহাদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, সুফি, সুলতান, কাজি এবং আলেমদের সাক্ষাত লাভ করেন। ৩০ বছরে প্রায় ৪০টি দেশ ভ্রমণ করে নিজ দেশ মরোক্কোতে ফেরার পর মরোক্কোর সুলতান আবু ইনান ফারিস তার ভ্রমণকাহিনীর বর্ণনা লিপিবদ্ধ করার জন্য কবি ইবনে জুজাইকে নিয়োগ করেন। এই ভ্রমণকাহিনীর নাম রিহলা। এটিকে ১৪শ শতকের পূর্ব, মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সাম্রাজ্যের ইতিহাসের অন্যতম দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩

২০১৩ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে এমা ওয়াটসন
২০১৩ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে এমা ওয়াটসন

এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রীমডেল, যিনি এমা ওয়াটসন নামেই বেশি পরিচিত। তিনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রে অভিনয় করে সবিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। নয় বছর বয়সে অভিনয় শুরু করা এই অভিনেত্রী ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত হ্যারি পটারকে ঘিরে ধারাবাহিকভাবে ছয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। হ্যারি পটার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি এসব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি আয় করেন। ২০০৯ সালে তিনি প্রথমবারের মত মডেলিং করেন। তার অভিনীত দ্য টেল অব ডেসপারেক্স নামের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী $৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা অর্জন করে। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এমা ওয়াটসন তার পড়ালেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের কাজেও নিজেকে জড়িত রাখেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস ২০১৪ সালে ওয়াটসনকে বর্ষসেরা ব্রিটিশ আর্টিস্ট পুরস্কারে ভূষিত করে। একই বছরে ইউএন ওমেন ওয়াটসনকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের লোগো

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ২০০৩ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলে। অলরাউন্ডার খালেদ মাহমুদ এই সফরে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। অস্ট্রেলিয়া দলকে দুইজন নেতৃত্ব দেন। টেস্টে স্টিভ ওয়াহ ও ওডিআই-এ রিকি পন্টিং। এই সিরিজের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়ার কোন রাজ্যের রাজধানীর বাইরে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়; ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয় কেয়ার্ন্স-এর বান্ডাবার্গ রাম স্টেডিয়াম এবং নতুন করে মানোন্নয়ন করা ডারউইনের মারারা ওভালে। অস্ট্রেলিয়া সহজেই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয় করে। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ওডিআই সিরিজেও ভাল ছিল না এবং তারা কোন ইনিংসেই ১৪৭ রানের বেশি করতে সক্ষম হয় নি। ফলে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করে। অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী সিরিজ ছিল ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ অস্ট্রেলীয় ওপেনার ম্যাথু হেডেন ওয়াকা গ্রাউন্ড-এ ১ম টেস্টে ৩৮০ রানের তখনকার টেস্টের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন। সিডনির সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড-এ অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টে সহজেই জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া ২-০ তে সিরিজটি জিতে নেয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৫

রাপাপোর্টে‌র হিস্ট্রি অফ ইজিপ্ট থেকে ফুসতাতের অঙ্কিত চিত্র
রাপাপোর্টে‌র হিস্ট্রি অফ ইজিপ্ট থেকে ফুসতাতের অঙ্কিত চিত্র

ফুসতাত ছিল মুসলিম শাসনের অধীনে মিশরের রাজধানী। মুসলিম সেনাপতি আমর ইবনুল আস ৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে মিশর জয়ের পর এই শহর নির্মাণ করা হয়। মিশর ও আফ্রিকায় নির্মিত প্রথম মসজিদ আমর ইবনুল আস মসজিদ এখানে অবস্থিত। ১২ শতাব্দীতে শহরটি সমৃদ্ধির সর্বো‌চ্চ শিখড়ে পৌঁছায়। এ সময় জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২,০০,০০০ জন।ফুসতাত ছিল মিশরের প্রশাসনিক কেন্দ্র। ক্রুসেডারদের হাত থেকে ফুসতাতের সম্পদ দূরে রাখার জন্য উজির শাওয়ার ফুসতাতকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার আদেশের পূর্ব পর্যন্ত এর গুরুত্ব এরূপ ছিল। পরবর্তীতে, শহরের বাকি অংশ কায়রোর অংশ করে নেয়া হয়। ফাতেমীয়রা ৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ফুসতাতের উত্তরে খলিফার রাজকীয় আবাস হিসেবে কায়রো গড়ে তুলেছিল। অঞ্চলটি এরপর শত বছর ধরে সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে থাকে এবং ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে। বর্তমানে ফুসতাত পুরনো কায়রোর অংশ। রাজধানী যুগের অল্প কিছু দালান এখনো টিকে রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে এখানকার অনেক ভূগর্ভস্থ নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬

বাইতুল কুরআন (অর্থ: কুরআনের ঘর) বাহরাইনের হুরায় অবস্থিত ইসলামি শিল্পের উপর বিশেষায়িত একটি কমপ্লেক্স। এটি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কমপ্লেক্স এখানকার ইসলামি জাদুঘরের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি পৃথিবীর প্রসিদ্ধতম ইসলামি জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে এই কমপ্লেক্সের নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৯০ সালের মার্চে জাদুঘর চালু করা হয়। আবদুল লতিফ জাসিম কানু এর উদ্বোধন করেন। কুরআন ও অন্যান্য দুর্লভ বইয়ের মূল্যবান পাণ্ডুলিপি রক্ষার জন্য এটি নির্মিত হয়। একটি আঞ্চলিক ম্যাগাজিনের মতে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে এই উদ্যোগ অভাবনীয়। এই প্রতিষ্ঠান ও এর জাদুঘরে আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ কুরআনের ঐতিহাসিক পাণ্ডুলিপি রয়েছে। এখানে পূর্বে চীন থেকে পশ্চিমে স্পেন পর্যন্ত ইসলামি বিশ্বের নানা স্থানের কুরআনের পাণ্ডুলিপি রয়েছে। জটিল গঠনের বাহ্যিক নকশা ১২শ-শতাব্দীর প্রাচীন মসজিদের নকশার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। কমপ্লেক্সে মসজিদ, গ্রন্থাগার, অডিটোরিয়াম, মাদ্রাসা এবং দশটি প্রদর্শন হলযুক্ত জাদুঘর রয়েছে। মূল হল ও মসজিদের উপর বড় আকারের স্ট্রেইন্ড গ্লাসের গম্বুজ রয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭

২০০০ সালের ৪ই জানুয়ারী গ্যালিলিও স্পেসক্রাফট থেকে গৃহীত আলোকচিত্র
২০০০ সালের ৪ই জানুয়ারী গ্যালিলিও স্পেসক্রাফট থেকে গৃহীত আলোকচিত্র

থিবি বৃহস্পতি গ্রহের একটি উপগ্রহ যা জুপিটার ১৪ নামেও পরিচিত। এটি বৃহস্পতি গ্রহ থেকে দূরত্বের দিক বিবেচনায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ৫ই মার্চ ভয়েজার ১-এর বৃহস্পতির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবি থেকে স্টিফেন পি. সাইনোট সর্বপ্রথম এর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। ১৯৮৩ সালে গ্রিক পুরাণের দেবী চরিত্র থিবির নামে উপগ্রহটির নামকরণ করা হয়। বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহরাজির মধ্যে থিবি দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর কক্ষপথ থিবি গোসামার চক্র মুলতঃ থিবির বাইরের পৃষ্ঠের ধুলোবালি দিয়ে তৈরি। এর আকৃতি অনির্দিষ্ট এবং কিছুটা লালচে বর্ণের। ধারণা করা হয়, এতে অ্যামেলথীয়ার মত অজানা পরিমাণ বিভিন্ন বস্তু, খনিজ জল ও বরফের উপস্থিতি রয়েছে। এর পৃষ্ঠে খানাখন্দ এবং উচ্চ পর্বত বিদ্যমান যার কিছু-কিছু চাঁদের সাথে তুলনা করার মত। ভয়েজার ১ ও ২ মহাকাশযানের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে প্রথম থিবির ছবি গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে মহাকাশযান গ্যালিলিও অরবিটারের মাধ্যমে ১৯৯০ সালে থিবির বিস্তারিত জানা যায়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮

মাসলামা ইবনে আবদুল মালিক

মাসলামা ইবনে আবদুল মালিক ছিলেন একজন উমাইয়া রাজপুত্র এবং ৮ম শতাব্দীর প্রথমদিকের একজন বিখ্যাত আরব সেনাপতি। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ও খাজার খাগানাতের বিরুদ্ধে তিনি বেশ কিছু অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কনস্টান্টিনোপলে দ্বিতীয় ও শেষ আরব অবরোধে নেতৃত্ব প্রদান এবং ককেশাসে মুসলিমদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য তিনি বেশি পরিচিতি পান। তিনি মুসলিম দারবান্দের প্রতিষ্ঠাতা। মাসলামা ছিলেন উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের (শাসনকাল ৬৮৫–৭০৫) পুত্র। খলিফা প্রথম আল-ওয়ালিদ (শাসনকাল ৭০৫–৭১৫), সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক (শাসনকাল ৭১৫-৭১৭), দ্বিতীয় ইয়াজিদ (শাসনকাল ৭২০–৭২৪) ও হিশাম ইবনে আবদুল মালিক (শাসনকাল ৭২৪–৭৪৩) তার সৎভাই ছিলেন। ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে গ্রীষ্মকালের বার্ষিক অভিযানের সময় তিনি প্রথম নেতৃত্ব দেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এশিয়া মাইনরের দক্ষিণপূর্বে বাইজেন্টাইন শহর তিয়ানার বিরুদ্ধে ৭০৭-৭০৮ খ্রিষ্টাব্দের অবরোধ তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ অভিযান। আগের বছর সেনাপতি মাইমুনের পরাজয় ও মৃত্যুর পাল্টা আঘাত হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯

আবদুল্লাহ আল-বাত্তাল ছিলেন ৮ম শতাব্দীর প্রথমদিকে আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধের একজন মুসলিম যোদ্ধা। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে উমাইয়া খিলাফতের অভিযানে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। আবদুল্লাহ আল-বাত্তালের শৈশব বা প্রথম জীবন নিয়ে কিছু জানা যায় না। আবদুল্লাহ আল-বাত্তালের শৈশব বা প্রথম জীবন নিয়ে কিছু জানা যায় না। অনেক পরের বিবরণে তাকে এন্টিওক বা দামেস্কের ব্যক্তি বলে দাবি করা হয়। তার কয়েকটি কুনিয়াত রয়েছে যেমন আবু মুহাম্মদ, আবু ইয়াহিয়া বা আবুল হাসান। শেষোক্তটি দ্বারা তাকে সাধারণত সম্বোধন করা হয়। ধারণা করা হয় যে, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং এরপর তার নাম আবদুল্লাহ ("আল্লাহর দাস") রাখা হয়। এই নামটি তৎকালীন নতুন ইসলাম গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। আল-ইয়াকুবিআল-তাবারির ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী, আল-বাত্তাল প্রথম ৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে বাইজেন্টাইন এশিয়া মাইনরের বিরুদ্ধে বার্ষিক অভিযানের সময় আবির্ভূত হন। এই অভিযানে তৎকালীন খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালিকের পুত্র মুয়াবিয়া ইবনে হিশাম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আল-বাত্তাল সেনাবাহিনীর সম্মুখভাগের নেতৃত্ব দেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২০ উমর ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মারওয়ান ছিলেন মালাতিয়ার একজন অর্ধ-স্বাধীন আরব আমির। ৮৩০-এর দশক থেকে ৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা সেপ্টেম্বর লালাকাওনের যুদ্ধে নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময় বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে তিনি বাইজেন্টাইনদের একজন শক্ত প্রতিপক্ষ ছিলেন। আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধের অন্য অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির মত উমরও আরব ও বাইজেন্টাইন কিংবদন্তীতে স্থান পেয়েছেন। আরবি মহাকাব্যিক সাহিত্য দিলহামাতে তিনি একজন প্রধান চরিত্র। তবে বনু সুলাইমের প্রতিপক্ষ বনু কিলাবের প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারণে এতে তার ছোট করা হয়েছে। তার সংক্রান্ত গল্প আরব্য রজনীর গল্পে উমর ইবনুল নুমান ও তার ছেলের গল্পকে প্রভাবিত করেছে। এছাড়াও উমর আল-আকতা তুর্কি মহাকাব্যিক সাহিত্য বাত্তাল গাজিতে স্থান পেয়েছেন। বাত্তাল গাজি উমাইয়া সেনাপতি আবদুল্লাহ আল-বাত্তালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এবং তিনিও দিলহামার একজন প্রধান চরিত্র। উমর আল-আকতা বনু সুলাইম গোত্রের সদস্য ছিলেন। মুসলিম বিজয়ের সময় এই গোত্র পশ্চিম আল-জাজিরাতে স্থায়ী হয়। মালাতিয়া ও জাজিরার সীমান্ত অঞ্চলে বাইজেন্টাইন এবং ককেসাস সীমান্তে খাজারিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২১

নেপুলিন হ্রদের উত্তর-পশ্চিম অংশ, ছবিটি বাঁধের পাশ থেকে তোলা
নেপুলিন হ্রদের উত্তর-পশ্চিম অংশ, ছবিটি বাঁধের পাশ থেকে তোলা

নেপুলিন হ্রদ হল মানুষের তৈরি একটি স্বাদু পানির হ্রদ যা সাসেক্স সিটির ওয়ান্টেজ টাউনশিপ, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। পাপাকাটিং খাঁড়ির জল বিভাজিকায় অবস্থিত, ওয়ালকিল নদীর একটি উপনদী, একটি নামহীন পাহাড়ি ঢলের বাঁধ তৈরি করার সময় হ্রদটি ১৯৫০ সালে বেসরকারি আবাসন উন্নয়নের অংশ হিসেবে তৈরি হয়। ঢলটি বর্তমানে নেপুলাকাটিং খাঁড়ি নামে পরিচিত, ২০০২ সালের আগে এটির কোন নামকরণ করা হয়নি। খাঁড়িটির উৎস নেপুলিন হ্রদের উত্তর দিক থেকে প্রায় ০.৪ মাইল (০.৬ কিমি)  উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। নেপুলিনের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০৯ ফুট (১৫৫ কি.মি.) উচ্চতায়। হ্রদটি একটি আবাসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে যা ওয়ালকিল নদীর একটি উপনদী, পাপাকাটিং খাঁড়িতে পতিত হবার আগে এটি বাঁধ থেকে ১.৫ মাইল (২.৪ কি.মি.) দক্ষিণপূর্বে প্রবাহিত হয়েছে। নিউ জার্সি ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন (NJDEP) এর মতে, পাপাকাটিং খাঁড়ির জলবিভাজিকায় দুটি উন্নত হ্রদ গোষ্ঠী - নেপুলিন হ্রদ ও কাছাকাছি অবস্থিত ক্লোভ এক্রেস হ্রদ  পাপাকাটিং খাঁড়ির পানিতে ফসফরাস বয়ে আনার কাজ করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২২

শানহুয়া মন্দিরের দাজিওংবাও হল
শানহুয়া মন্দিরের দাজিওংবাও হল

শানহুয়া মন্দির হচ্ছে একটি বৌদ্ধ মন্দির যা চীনের শানসি প্রদেশের তাথংয়ে অবস্থিত। তাং রাজবংশের ৮ম শতকের প্রথম দিকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হলেও এটার প্রথম সময় নিরূপণ করা হয়েছিল ১১ শতকে। ঐ বছরেই মন্দিরের ব্যাপকভাবে পুননির্মাণের কাজ হয়, এবং বর্তমানে তিনটা প্রধান হল ও সাম্প্রতিককালে পুনর্নির্মিত দুটি পূজামণ্ডপ অক্ষত অবস্থায় আছে। দাজিওংবাও হল হচ্ছে ১১ শতকে লিআও রাজবংশের সময় হতে প্রাপ্ত সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ হল, এমনকি এ ধরণের হলের মধ্যে এটা চীনেও বৃহত্তম। শানহুয়া মন্দির তাং রাজবংশের সম্রাট জুয়াংজং-এর পৃষ্ঠপোষকতায় কাইয়ুয়ানের সময়ে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে তৎকালীন সময়ে এটি কাইয়ুয়ান মন্দির নামে পরিচিত ছিল। তাং রাজবংশের পঞ্চম রাজার পতনের পর মন্দিরের নাম পরিবর্তিত হয়ে দা পু'এনজি নামে পরিচিত হয়। শানহুয়া মন্দির তিনটি প্রধান হলের (দাজিওংবাও হল, সানশেং হল ও প্রধান ফটক) সমন্বয়ে গঠিত, যার একটি উত্তর-দক্ষিণ অক্ষের উপর সাজানো ও সানশেং হলের পূর্ব ও পশ্চিমে অবস্থিত দুটি মণ্ডপ নিয়ে গঠিত। দাজিওংবাও হলের প্রতিটি পাশ দিয়ে আরও দুটি করে ছোট হল আছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২৩ আবু উকাবা আল-জাররাহ ইবনে আবদুল্লাহ আল-হাকামি ছিলেন হাকামি গোত্রের একজন আরব অভিজাত ও সেনাপতি। ৮ম শতাব্দীর প্রথম দিকে তিনি বসরা, সিস্তান, খোরাসান, আর্মি‌নিয়া ও আজারবাইজানের গভর্নরের দায়িত্বপালন করেছেন। জীবদ্দশায় তিনি একজন কিংবদন্তীসম যোদ্ধা ছিলেন। ককেসাস রণাঙ্গনে খাজারদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নেয়ার কারণে তিনি বেশি পরিচিত। আল-জাররাহ জুন্দ আল-উরদুনে জন্মগ্রহণ করেন এবং সম্ভবত ৬৯৬ খ্রিষ্টাব্দে সুফিয়ান ইবনুল আবরাদ আল-কালবি ও আবদুর রহমান ইবনে হাবিব আল-হাকামিকে ইরাকে অনুসরণ করেন। ৭০১ খ্রিষ্টাব্দে ইবনে আল-আশআসের বিদ্রোহের সময় তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। পরবর্তীতে ৭০৬ খ্রিষ্টাব্দে বা তার কয়েক বছর পরে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের অধীনে তাকে বসরার গভর্নর নিয়োগ দেয়া হয়। ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে হাজ্জাজের স্থলে ইয়াজিদ ইবনুল মুহাল্লাব নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। ৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা দ্বিতীয় উমর আল-জাররাহকে ইয়াজিদের উত্তরসূরি হিসেবে খোরাসান ও সিস্তানের গভর্নর নিয়োগ দেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২৪ আল-হারিস ইবনে সুরাইজ ছিলেন একজন আরব নেতা। তিনি ৭৩৪ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হওয়া খোরাসানমাওয়ারাননহরে সংঘটিত বৃহদাকার উমাইয়া বিরোধী বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হারিস তার বিদ্রোহকে ধর্মীয় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আরব ও অনারব উভয় শ্রেণীর জনতার সমর্থন আদায় করতে তিনি সক্ষম হন। তবে তিনি প্রাদেশিক রাজধানী মার্ভ‌ দখলের জন্য দুইবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। শেষপর্যন্ত আসাদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-কাসরি ৭৩৬ খ্রিষ্টাব্দে এই বিদ্রোহ দমন করেন। হারিস তার কিছু সমর্থকসহ পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তিনি তুরগেশ খাগানাতের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেছিলেন। হারিস তুরগেশদের আরব অঞ্চলে অভিযানে সহায়তা করেন। ৭৩৭ খ্রিষ্টাব্দে খারিস্তানের যুদ্ধে এই অভিযানকে প্রতিহত করা হয়। এরপর হারিস মাওয়ারাননহরে স্থানীয় শাসকদের সমর্থন নিয়ে অবস্থান করতে থাকেন। হারিস ও তার স্থানীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে আসাদের উত্তরসুরি নাসের ইবনে সাইয়ার অভিযান চালান। কিন্তু আরবদের অন্তর্দ্বন্দ্বে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে হারিসকে ব্যবহার করা যেতে পারে বিবেচনা করে নাসের খলিফার কাছ থেকে হারিসের জন্য ক্ষমা মঞ্জুর করান। হারিস এরপর ৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দে মার্ভ‌ ফিরে আসেন। শীঘ্রই তিনি একটি সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন এবং নাসেরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২৫ দ্য জাকার্তা পোস্ট হল ইন্দোনেশিয়ার একটি ইংরেজি ভাষার দৈনিক পত্রিকা। পত্রিকাটির মালিক হল পিটি বিনা মিডিয়া তেংগারা। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এর সদর দপ্তর অবস্থিত। পত্রিকাটি দেশটির তথ্যমন্ত্রী আলী মুরতোপো ও রাজনীতিবিদ জুসুফ ওয়ানান্দির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং চারটি ইন্দোনেশীয় গণমাধ্যমের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৫শে এপ্রিল ১৯৮৩-এ প্রথম প্রকাশের পর, এটি বেশ কয়েক বছর সীমিত বিজ্ঞাপন এবং ক্রমবর্ধমান পাঠক নিয়ে অতিবাহিত করে। ১৯৯১ সালে প্রধান সম্পাদকদের মাঝে পরিবর্তন আনার পর, এটি আরও অধিক গনতন্ত্রপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা শুরু করে। ১৯৯৭ সালের এশীয় অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে টিকে থাকা অল্প কিছু ইন্দোনেশীয় ইংরেজি দৈনিকের মাঝে এটি অন্যতম। বর্তমানে এর পাঠক সংখ্যা প্রায় ৪০,০০০। পত্রিকাটি মূল প্রকাশনার পাশাপাশি রবিবারে পৃথক এবং অনলাইনে বিশদ বিবরণ সম্বলিত বিস্তারিত সংস্করণ প্রকাশ করে থাকে। পত্রিকাটির প্রধান লক্ষ্য হল বিদেশী এবং শিক্ষিত ইন্দোনেশীয় পাঠক আকর্ষণ, যদিও এর মধ্যবিত্ত পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পত্রিকাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র হিসেবে সুপরিচিত। ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক হিসেবে খ্যাত এই পত্রিকাটি একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননার অধিকারী। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২৬

চেনগুও মন্দির চীনের পিংইয়াও থেকে ১০ কি.মি. দূরে শানশি প্রদেশের হাদংসুন গ্রামে অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দির। ওয়াংফো হল নামে পরিচিত মন্দিরটির সবচেয়ে পুরাতন কক্ষটি ৯৬৩ সনে উত্তরাঞ্চলীয় হান রাজবংশের রাজত্বকালে নির্মাণ করা হয়। এটি কক্ষের বিমগুলোর জন্য প্রসিদ্ধ যা কক্ষের ছাদ ও এর ঝুলে থাকা প্রলম্বিত অংশকে ধরে রাখে। কক্ষের ভিতরের কারুকার্যগুলো চীনের ১০ম শতাব্দীর বৌদ্ধ কারুশিল্পের সীমিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। ৯৬৩ সালে ওয়াংফো হল নির্মাণের মধ্য দিয়ে মন্দিরটির ইতিহাসের সূচনা হয়। চেনগুও মন্দিরের সবচেয়ে পুরাতন কুঠি হল এই ওয়াংফো হল। মন্দিরটির ইতিহাস সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। প্রস্তরলিপি অনুসারে, ১৫৪০ ও ১৮১৬ সালে এটি সংস্কার করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে পার্শ্ববর্তী পিংইয়াও শহর এবং শুয়াংলিন মন্দিরের সাথে এই মন্দিরটিও 'পিংইয়াও-এর প্রাচীন শহর' নামে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহে অন্তর্ভুক্ত হয়। হলঘরটিতে উত্তরাঞ্চলীয় হান শাসনামলের ১১টি ভাস্কর্য বিদ্যমান। 'মোগাও কু'-এর বাইরে চীনের একমাত্র ভাস্কর্য হল এগুলো যা এখনও টিকে আছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২৭

বিদ্যা বালান

বিদ্যা বালান একজন ভারতীয় মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলা, তামিল, মালয়ালম এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তরুণ বয়সেই চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততা ঘটে এবং ১৯৯৫ সালে হাম পাঁচ হিন্দি সাইটকমের মাধ্যমে প্রথম অভিনয়ে আসেন। তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করার পূর্বে ভিন্ন-ভিন্ন পেশায় ব্যর্থ ভূমিকা রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার পর ২০০৩ সালে তিনি স্বাধীন বাংলা চলচ্চিত্র ভালো থেকো-র মাধ্যমে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে পরিণীতা চলচ্চিত্রের একটি চরিত্রে অভিনয় ছিল তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয়। ২০০৬ সালে রম্য-নাট্যধর্মী লাগে রাহো মুন্না ভাই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যা বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে। অভিনয় জীবনে তিনি এ যাবৎ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং পাঁচটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত সরকার কর্তৃক তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয়। বিদ্যা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি মানব। হিতৈষী কার্যকলাপে জড়িত রয়েছেন এবং নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সহায়ক হিসেবে অবদান রেখেছেন। প্রাথমিকভাবে তাঁর ভারী শরীর এবং প্রশ্নসাপেক্ষ পোশাক নির্বাচনের কারণে তাঁকে বিভিন্ন সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি ২০১২ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরকে বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে তিনি ভারতীয় কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য হন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২৮

ভারতরত্ন হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি এই সম্মান চালু হয়। জাতি, পেশা, পদমর্যাদা বা লিঙ্গ নির্বিশেষে "সর্বোচ্চ স্তরের ব্যতিক্রমী সেবা/কার্যের স্বীকৃতি স্বরূপ" এই সম্মান প্রদান করা হয়। প্রথম দিকে এই সম্মান কেবলমাত্র শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, জনসেবায় বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারীদের দেয়া হলেও ২০১১ সালের ডিসেম্বর হতে ভারত সরকার মানবিক কৃতিত্বের যে কোনো ক্ষেত্র নামে আরো একটি শর্ত যুক্ত করে। ভারতীয় পদমর্যাদা ক্রমে ভারতরত্ন প্রাপকদের স্থান সপ্তম। যাকে ভারতরত্ন প্রদান করা হয় তার নাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেন। বছরে সর্বোচ্চ তিন জনকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। বিদেশি বংশোদ্ভুত ভারতীয় নাগরিক মাদার টেরেসা ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন সম্মাননা পেয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানি নাগরিক খান আবদুল গাফফার খান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯০ সালে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। শচীন তেন্ডুলকর ৪০ বছর বয়সে ভারতরত্ন সম্মান পান; তিনিই এই সম্মাননার কনিষ্ঠতম প্রাপক। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২৯

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ১৯শ-শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রি়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ১৯শ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতগুলির মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং সেই সঙ্গে হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণা প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠরামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভাই ও বোনেরা ...," ১৮৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৯৩ সালের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩০

১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে উইলিয়াম ওয়ালেস ডেন্সলোর তুলিতে
১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে উইলিয়াম ওয়ালেস ডেন্সলোর তুলিতে

ব্যা, ব্যা, ব্ল্যাক শীপ ১৭৩১ খ্রিস্টাব্দে রচিত জনপ্রিয় ইংরেজি শিশুতোষ ছড়া যা, ১৭৩১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত টিকে থাকা সংস্করণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো। বিগত দুইশত পঞ্চাশ বছরে ছড়াটির কিছু শব্দ পরিবর্তিত হয়েছে। আহ! ভৌ দিরাই-জে, মামাঁ নামক ১৭৬১ সালে রচিত ফরাসী সঙ্গীতের সুরে ছড়াটি গাওয়া হয়। ছড়াটির ব্যাখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন অসমর্থিত তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। যার মধ্যে মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডে ভেড়ার পশমের উপর কর-আরোপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং দাসপ্রথা সম্পর্কে বক্তব্য রয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে ছড়াটি রাজনৈতিক শুদ্ধতা সম্পর্কিত বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছিল। সাহিত্যে, জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে রূপকভাবে এবং ইঙ্গিতমূলকভাবে ছড়াটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রাউড ফোক সং ইনডেক্স ছড়াটির কথা এবং রূপান্তরগুলোকে ৪৪৩৯ নম্বরে শ্রেণিভুক্ত করেছে। অন্যান্য শিশুতোষ ছড়ার মত এই ছড়াটিরও উৎস এবং ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে, তবে যার বেশিরভাগেরই কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩১

সামবেদে হিন্দু দেবতা অগ্নির অনেকগুলি স্তোত্র রয়েছে
সামবেদে হিন্দু দেবতা অগ্নির অনেকগুলি স্তোত্র রয়েছে

সামবেদ হল সংগীতমন্ত্রের বেদ। এটি হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ যা বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। গবেষকেরা সামবেদের আদি অংশটিকে ঋগ্বৈদিক যুগের সমসাময়িক বলে মনে করেন। বহুপঠিত ছান্দোগ্য উপনিষদ্‌ ও কেন উপনিষদ্‌ সামবেদের অন্তর্গত। দুই উপনিষদ্‌ প্রধান (মুখ্য) উপনিষদ্‌গুলির অন্যতম এবং হিন্দু দর্শনের (প্রধানত বেদান্ত দর্শন) ছয়টি শাখার উপর এই দুই উপনিষদের প্রভাব অপরিসীম। সামবেদকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতনৃত্যকলার মূল বলে মনে করা হয়। ভগবদ্গীতায় কৃষ্ণ নিজেকে চার বেদের মধ্যে সামবেদ বলে বর্ণনা করেছেন। সামবেদকে সাম বেদ বানানেও অভিহিত করা হয়। সামবেদে স্বরলিপিভুক্ত সুর পাওয়া যায়। এগুলিই সম্ভবত বিশ্বের প্রাচীনতম স্বরলিপিভুক্ত সুর, যা আজও পাওয়া যায়। স্বরলিপিগুলি সাধারণত মূল পাঠের ঠিক উপরে অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাঠের অভ্যন্তরে নিহিত রয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩২

২০১৫ খ্রিস্টাব্দে মালালা ইউসুফজাই
২০১৫ খ্রিস্টাব্দে মালালা ইউসুফজাই

মালালা ইউসুফজাই একজন পাকিস্তানি শিক্ষা আন্দোলনকর্মী, যিনি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকা অঞ্চলে শিক্ষা এবং নারী অধিকারের ওপর আন্দোলনের জন্য পরিচিত মালালার ওপর ২০১২ খ্রিস্টাব্দে উগ্রপন্থী তালিবান গুলিবর্ষণ করে, কিন্তু উন্নত চিকিৎসার সাহয্যে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন। তার আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে টাইম পত্রিকা ইউসুফজাইকে বিশ্বের ১০০জন সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের একজন বলে গণ্য করেন। তিনি ২০১১ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে শাখারভ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেন ও অক্টোবর মাসে কানাডা সরকার তাকে কানাডীয় নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা ঘোষণা করে। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাছাইকৃত তথ্যচিত্র হি নেমড মি মালালা তার জীবন নিয়ে তৈরি। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩৩

কার্নোটরাস ডাইনোসরের মাথা ও ঘাড়ের কঙ্কাল। এই গণের লম্বা কাঁটার মত এপিপোফাইসিস গুলি সহজেই চোখে পড়ে।
কার্নোটরাস ডাইনোসরের মাথা ও ঘাড়ের কঙ্কাল। এই গণের লম্বা কাঁটার মত এপিপোফাইসিস গুলি সহজেই চোখে পড়ে।

ডাইনোসর বলতে জনপ্রিয় ধারণায় একটি অধুনা অবলুপ্ত, সাধারণত বৃহদাকার মেরুদণ্ডী প্রাণীগোষ্ঠীকে বোঝায়। এরা পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের প্রাগৈতিহাসিক অধিবাসী এবং বৈজ্ঞানিকদের অনুমান এই প্রভাবশালী প্রাণীরা প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে। পরবর্তীকালে বিবর্তিত দৈত্যাকার প্রাগৈতিহাসিক স্তন্যপায়ীও সরোপড জাতীয় ডাইনোসরদের পাশে আয়তনের বিচারে ছিল বামনতুল্য, আর কেবলমাত্র আধুনিক তিমিরা আয়তনে তাদের সাথে পাল্লা দিতে পারে বা তাদের থেকেও বড় হয়। ভূতাত্ত্বিক ক্রিটেশিয়াস যুগের শেষে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর পূর্বে একটি বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডাইনোসরদের প্রভাবকে পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে দেয়। তবে তাদের একটি শাখা আজও বহাল তবিয়তে টিকে আছে— শ্রেণীবিন্যাসবিদরা ধারণা করেন আধুনিক পাখিরা থেরোপড ডাইনোসরদের সরাসরি বংশধর। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ডাইনোসরের প্রথম জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়। এরপর থেকে পর্বতগাত্র বা শিলায় আটকা পড়ে থাকা ডাইনোসরের কঙ্কাল পৃথিবীর বিভিন্ন জাদুঘরে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩৪

জাবালোপনিষদ্‌ গ্রন্থের প্রধান আলোচ্য বিষয় হল হিন্দুধর্মের সন্ন্যাস সংক্রান্ত ধারণাটি।
জাবালোপনিষদ্‌ গ্রন্থের প্রধান আলোচ্য বিষয় হল হিন্দুধর্মের সন্ন্যাস সংক্রান্ত ধারণাটি।

জাবালোপনিষদ্‌ হল হিন্দুধর্মের একটি অপ্রধান উপনিষদ্‌। এই গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত ও শুক্লযজুর্বেদ গ্রন্থের সম্পর্কযুক্ত অন্যতম সন্ন্যাস উপনিষদ্‌। জাবালোপনিষদ্‌ ৩০০ খ্রিস্টাব্দেরও আগে রচিত হয়। এই গ্রন্থে সাংসারিক জীবন পরিত্যাগ করে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অনুসন্ধানের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এতে হিন্দুদের পবিত্র তীর্থ বারাণসী (অধুনা ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) নগরীটিকে একটি আধ্যাত্মিক পরিভাষায় (‘অভিমুক্তম্‌’) বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া এই গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, মানুষের অন্তরে নিহিত আত্মাই পবিত্রতম স্থানের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। এই উপনিষদের মূল উপজীব্য বিষয় হল ধ্যানসন্ন্যাস। ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য “এই উপনিষদের প্রবক্তা রূপে” আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে সাংসারিক জীবন ত্যাগের উপদেশ দিয়েছেন। এই জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে “সন্ন্যাসের ইচ্ছা সহ সকল ইচ্ছাকে অতিক্রম করা সম্ভব।” প্রাচ্যধর্ম ও নীতিবিদ্যার অধ্যাপক সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের মতে, এই উপনিষদে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আত্মহত্যা করাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাচীনতর বৈদিক ধর্মগ্রন্থ ও মুখ্য উপনিষদ্‌গুলিতে আত্মহত্যা করাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩৫ অন দ্য ইন্টারনেট, নোবডি নোস ইউ আর অ্যা ডগ হল একটি প্রবচন যা পিটার স্টেইনারের একটি ব্যঙ্গচিত্রের ক্যাপশন হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জুলাই ৫, ১৯৯৩ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার সাময়িকীতে। ব্যঙ্গচিত্রটিতে দেখা যায় একটি কুকুর কম্পিউটারের সামনে চেয়ারে বসে, ক্যাপশনে লেখা প্রবচনটি বলছে মেঝেতে বসে থাকা অন্য একটি কুকুরকে উদ্দেশ্য করে। ২০১১ সালে স্টেইনারের এই ব্যঙ্গচিত্র নিউ ইয়র্কার পেনেলের হিসেব মতে অজস্রবার পুনঃমুদ্রিত হয়েছিল, যার ফলে স্টেইনারের আয় ইউএস$৫০,০০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এক সময় ইন্টারনেট ছিল শুধুমাত্র সরকারি আমলা, প্রকৌশলী আর জ্ঞানতাত্ত্বিকদের কাজের ক্ষেত্র, বর্তমানে এটি যে জনসাধারণের অন্যতম আগ্রহের বিষয় তা দ্য নিউ ইয়র্কার সাময়িকীর আলোচনা থেকে অণুমেয়। লোটাস সফটওয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও অগ্রগণ্য ইন্টারনেট কর্মী মিচ কাপুরের উদ্ধৃতি দিয়ে ১৯৯৩ সালে টাইম সাময়িকী একটি নিবন্ধে বর্ণনা করে যে, দুইটি কুকুরের কথোপকথনের এই ব্যঙ্গচিত্রটি নিউ ইয়র্কারে প্রকাশের পর একটি বিষয় আরও স্পষ্ট হল যে, জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে এই ইস্যু এখন গণমানুষের আগ্রহের বিষয় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩৬

.বিভি (.bv) হল জনবসতিশূন্য নরওয়েজীয় নির্ভরশীল এলাকা বোভেত দ্বীপের ইন্টারনেট প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় সংকেত ও ডোমেইন সাফিক্সডোমেইন নাম রেজিস্ট্রি ও পৃষ্ঠপোষক হল নোরিড, কিন্তু .বিভি নিবন্ধনের জন্য উন্মুক্ত নয়। ১৯৯৭ সালের ২১শে আগস্ট .বিভি ডোমেইন নাম উন্মুক্ত করা হয় এবং তখন থেকেই এটি .এনও নোরিড নিবন্ধনের অধীনে। নরওয়ের নীতিমালা অনুসারে যেসব প্রতিষ্ঠান বোভেত দ্বীপের সাথে সম্পর্কিত তাদের জন্য .এনও ডোমেইন নামই যথেষ্ট সেজন্যই .বিভি ডোমেইন নামটি উন্মুক্ত নয়। নরওয়ের রাষ্ট্রীয় নীতিমালার অধীনে থাকলেও এই ডোমেইন নামটি বাণিজ্যিকভাবেও অবমুক্ত করা হচ্ছে না। পরবর্তীতে এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে এটি নরওয়েজীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের অধীন .এনও-এর সঙ্গে একই নীতিমালায় পরিচালিত হবে। ১৯২৭ সালে এটি নরওয়ে দাবি করেছিল। ডোমেইন নামটি ১৯৯৭ সালের ২১শে আগস্ট .এসজে ডোমেইনের সাথে একই সাথে অবমুক্ত করা হয়। .এসজে স্বালবার্ড ও জান মেয়েন-এর ডোমেইন নাম। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩৭

এমেকো ১০০৬ (উচ্চারিত হয় টেন-ও-সিক্স) এমেকো উৎপাদিত অ্যালুমিনিয়াম চেয়ার, যা নেভি চেয়ার হিসেবেও পরিচিত। ১০০৬ চেয়ার মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে এটি নকশাকার চেয়ার হিসেবে পরিচিত হয়, যা বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ এবং গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৯০-এর দশকে কোম্পানিটি ১০০৬ চেয়ারের নকশার সংস্করণ তৈরি করে, যেমন স্ট্যাক্যাবল হাডসন চেয়ার এবং প্রক্রিয়াজাতকৃত প্লাস্টিক থেকে ১১১ নেভি চেয়ার। এমেকো স্টুল, টেবিল এবং অন্যান্য আসবাবপত্রও নির্মাণ করে। ২০১২ সাল পর্যন্ত ১০ লক্ষের বেশি এমেকো ১০০৬ চেয়ার তৈরি হয়েছে। চেয়ারটি নিয়মিত বিভিন্ন নকশা ম্যাগাজিন এবং চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত হয়েছে, যেমন দ্য ম্যাট্রিক্স, ল অ্যান্ড অর্ডার এবং সিএসআই। মূল ১০০৬ চেয়ার সরকারি কারাগারে এবং কারাগার সম্পর্কিত চলচ্চিত্র দৃশ্যে ব্যবহারের কারণে ইউরোপে প্রায় এটিকে "কারাগার চেয়ার" বলা হয়। চেয়ারের লম্বভাবে তিনটি দাগসহ বাঁকানো পিঠ রয়েছে এবং এর পেছনের পায়াগুলোও সামান্য বাঁকানো। ওজন প্রায় সাত পাউন্ড। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩৮

তাপসী পান্নু একজন ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় এবং বলিউড চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করেন। প্রাথমিকভাবে তিনি একজন সফটওয়্যার পেশাজীবি হিসেবে কাজ করতেন এবং অভিনয় পেশায় যুক্ত হওয়ার পূর্বে কিছুসময় মডেলিং কর্মজীবনে জড়িত থেকে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি "প্যান্টালুন ফেমিনা মিস ফ্রেশ ফেস" এবং "সাফি ফেমিনা মিস বিউটিফুল স্কিন" খেতাব অর্জন করেন। রাঘবেন্দ্র রাও পরিচালিত ২০১০ সালের ঝুম্মান্ডি নাডাম তেলুগু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে তার অভিষেক ঘটে। এরপর আদুকালাম, ভাস্তাধু না রাজু এবং মি. পারফেক্ট চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তার তামিল আদুকালাম চলচ্চিত্র ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। ২০১৬ সালে, তিনি পিংক চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১৭ সালে, প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন নাম শাবানা চলচ্চিত্রে। তিনি বিভিন্ন মুদ্রণ মাধ্যম এবং টেলিভিশন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে উপস্থিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে ফোর্বস ইন্ডিয়া সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় ৬৮তম স্থানে অন্তর্ভুক্ত হন তাপসী। ২০১৯ সালে ষাণ্ড কি আঁখ জীবনীমূলক চলচ্চিত্রে সত্তরোর্ধ শার্পশুটার প্রকাশী তোমরের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার পেয়েছিলেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৩৯

মুনির মালিক
মুনির মালিক

মুনির মালিক ছিলেন একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তিনি ডানহাতি দ্রুতগতির বোলার ছিলেন। তিনি ১৯৫৯-১৯৬২ সালের মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে ৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। তার টেস্ট অভিষেক হয় ১৯৫৯ সালে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে; ঐ ম্যাচে তিনি ১০০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন। লিডসের হেডিংলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি ১২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন, যেটি তার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ বোলিং পারফর্মেন্স ছিল। নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে তার সর্বশেষ টেস্টে তিনি মাত্র একটি উইকেট নিয়েছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে গড়ে ৩৯.৭৭ করে তিনি মোট ৯টি উইকেট নেন। মালিক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে গড়ে ২১.৭৫ করে তিনি মোট ১৯৭টি উইকেট নেন। তিনি ১৯৫৬-১৯৬৬ সালের মধ্যে করাচি, পাঞ্জাব ও রাওয়ালপিন্ডির হয়ে মোট ৪৯টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলেন। প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ১৪টি ম্যাচে তিনি ৫টি বা তার বেশি উইকেট নেন এবং ৪টি ম্যাচে তিনি ১০ বা তার বেশি উইকেট নেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে আইয়ুব ট্রফির সময়কালে তিনি তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪০

জর্জ বেথুন অ্যাডামস
জর্জ বেথুন অ্যাডামস

জর্জ বেথুন অ্যাডামস ছিলেন মার্কিন আইনজীবী, সমুদ্র বাণিজ্য আইনে বিশেষজ্ঞ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে ব্যক্তিগত আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন, এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন জেলার জেলা আদালতে জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি আইন নিয়ে পড়ালেখা করেন এবং ১৮৭৮ ইং সালে ফিলাডেলফিয়ার একজন আইনজীবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়স হওয়ার আগেই তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর পেনসিলভানিয়া রেজিমেন্টে তালিকাভূক্ত হন। পরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ১৮৮৩ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে জজ বেবি এবং উইলক্সের ফার্মে সমুদ্র বিষয়ক আইনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে আইন ব্যবসা করেন ১৮৮৪ সালে জজ বেবি এর মৃত্যুর পর, তিনি সেই ফার্মের অংশীদার হন এবং ফার্মটিকে উইলক্স, আ্যাডামস এন্ড গ্রিন হিসেবে নামকরণ করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪১

স্ভালবার্ড এর এডভেন্টডালেন
স্ভালবার্ড এর এডভেন্টডালেন

আইএসও ৩১৬৬-২:এসজে হল স্‌ভালবার্দ ও ইয়ান মায়েনের জন্য প্রবর্তিত আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) কর্তৃক প্রকাশিত আইএসও ৩১৬৬-২-এর একটি ভুক্তি যা আইএসও ৩১৬৬ এর অংশ। আইএসও ৩১৬৬-১ এ সব দেশের মূল মান সমূহ এবং তাদের উপ-বিভাগসমূহের কোড ব্যাখ্যা করা হয়েছে। স্‌ভালবার্দ ও ইয়ান মায়েনের প্রশাসনিক কোন ভুক্তি নেই, তবে নরওয়ের আলাদা দু'টি অংশ হিসেবে বিদ্যমান। নরওয়ের ভুক্তি আইএসও ৩১৬৬-২:এনও-তে স্‌ভালবার্দের জন্য এনও-২১ এবং ইয়ান মায়েনের জন্য এনও-২২ আলাদা উপ-বিভাগ রয়েছে। বর্তমানে স্‌ভালবার্দ ও ইয়ান মায়েনের জন্য আইএসও ৩১৬৬-২ এ আলাদা কোন কোড নেই। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪২

.এসজে
.এসজে

.এসজে হল স্বালবার্ড এবং ইয়ান মায়েনের জন্য প্রদত্ত ইন্টারনেট কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন (সিসিটিএলডি) সাফিক্স। ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রি হল নোরিড কিন্তু .এসজে ডোমেইন নামটি নিবন্ধনের জন্য উন্মুক্ত নয়। .এসজে ডোমেইন দেওয়া হয়েছিল আইএসও ৩১৬৬ কোড অনুসারে যা স্বালবার্ড এবং ইয়ান মায়েন দুটি স্বতন্ত্র দ্বীপের প্রথম অক্ষর থেকে নেওয়া হয়েছে। দ্বীপ দুটি নরওয়েতে অবস্থিত। দ্বীপ দুটির প্রথমটিতে কিছু মানুষ বসবাস করলেও দ্বিতীয়টিতে আগ্নেয়গিরি রয়েছে ও মানুষ নেই বললেই চলে। ১৯৯৭ সালের ২১শে আগস্ট ভোবেত দ্বীপের ডোমেইন নাম .বিভি দেওয়ার সময়ই এই ডোমেইন নামটি অ্যাসাইন করা হয়। দুটি ডোমেইনই তখন নোরিড রেজিস্ট্রির নিয়ন্ত্রনে দেওয়া হয়। নরওয়েজীয় কর্তৃপক্ষের অনুসারে যে সকল প্রতিষ্ঠান এই তিনটি অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের জন্য .এনও ডোমেইন নামটিই যথেষ্ট সেজন্য ডোমেইন নামটি নিবন্ধনের জন্য উন্মুক্ত নয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪৩

"এরোপ্লেন জেলি"র মুদ্রিত গান ও গানের কথার প্রচ্ছদ।
"এরোপ্লেন জেলি"র মুদ্রিত গান ও গানের কথার প্রচ্ছদ।

এরোপ্লেন জেলি বার্ট অ্যাপলেরথের তৈরি অস্ট্রেলিয়ার একটি জেলি ব্র্যান্ড। অ্যাপলেরথ পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রেডারস প্রোপাইটারি লিমিটেড, অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহত্তম পারিবারিক খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। কারখানা নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনির একটি শহরতলী প্যাডিংটনে তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে ৩৩ বছর নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়েস্ট রাইডের কারখানায় জেলি প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাকরমিক অ্যান্ড কোম্পানির সহায়ক প্রতিষ্ঠান ম্যাকরমিক ফুডস অস্ট্রেলিয়ার অধীনে বিক্রি হয়ে যায়। ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয়ভাবে ভিক্টোরিয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে ম্যাকরমিক ফুডস অস্ট্রেলিয়া এরোপ্লেন জেলির কারখানা ভিক্টোরিয়ার ক্লেটনে স্থানান্তর করে। বার্ষিক ১৮ মিলিয়ন প্যাকেট বিক্রি করে অস্ট্রেলিয়ার জেলির বাজারে এরোপ্লেন জেলি শীর্ষস্থানে অবস্থান নিয়েছে। সবচেয়ে বিক্রিত আস্বাদন (ফ্লেভার) হল স্ট্রবেরি। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪৪

ফ্যান্টাসি ম্যাগাজিন
ফ্যান্টাসি ম্যাগাজিন

ফ্যান্টাসি একটি ব্রিটিশ পাল্প-বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ম্যাগাজিন, যা ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৯ সালের মধ্যে তিনটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৩৮ সালে ফ্যান্টাসি প্রথম প্রকাশিত হয়, যাতে শুধু বর্ষ উল্লেখ করা থাকত, পরবর্তী সংখ্যা ছয় মাস পর এবং তৃতীয় বা শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল জুন ১৯৩৯ সালে এবং যথারীতি শুধু বর্ষ উল্লেখ করে। সম্পাদক ছিলেন টি. স্ট্যানহোপ স্পৃগ; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে, তিনি আরএএফ-এ একজন বৈমানিক হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। যদিও চতুর্থ সংখ্যা প্রস্তুত করা হয়েছিল, যুদ্ধের কারনে কাগজের সংভাগ বা রেশনিং শুরু হলে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। প্রকাশক জর্জ নিউনেস লিমিটেড উচ্চ সম্মানী প্রদান করত, যার ফলে স্পৃগ ভাল মানের লেখা সংগ্রহ করতে পারতেন। তিনি জন উইন্ডহ্যাম, এরিক ফ্রাঙ্ক রাসেল এবং জন রাসেল ফেয়ারনের কাছ থেকে গল্প আদায় করতে সমর্থ হন। তা সত্ত্বেও অন্য তিন শিরোনাম- এয়ার স্টোরিস, ওয়ার স্টোরিস এবং ওয়েষ্টান স্টোরিস সমূহ ১৯৩৫, ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হলেও, কল্পবিজ্ঞান শিরোনামেরটা প্রকাশ হতে বেশ বিলম্ব হয়েছিল।। ফ্যান্টাসির প্রধান চিত্রশিল্পী ছিলেন সেরগে দ্রিগিন, জন্মসুত্রে একজন রুশ শিল্পী, যিনি পিয়ারসনে কাজ করতেন এবং স্কুপ-এর সকল প্রচ্ছদ তৈরি করতেনl দ্রিগিন ভেতরের অলংকরনসহ তিনটি প্রচ্ছদই করেছিলেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪৫

টেলস্ অব ম্যাজিক অ্যান্ড মিস্ট্রি, ১৯২৮
টেলস্ অব ম্যাজিক অ্যান্ড মিস্ট্রি, ১৯২৮

টেলস্ অব ম্যাজিক অ্যান্ড মিস্ট্রি ছিল একটি মাসিক ম্যাগাজিন যার ১৯২৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯২৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কেবল পাঁচটি সংখ্যাই প্রকাশিত হয়েছিল। ওয়ালটার গিবসন সম্পাদিত এই ম্যাগাজিনে থাকত নানা ধরণের কল্পকাহিনী ও নিবন্ধের মিশ্রন। ইন্টারন্যাশনাল করেসপন্ডেন্স স্কুলস্ (আইসিএস) এর মালিকানাধীন পার্সোনাল আর্টস কর্তৃক টেলস্ অব ম্যাজিক অ্যান্ড মিস্ট্রি প্রকাশিত হত। ১৯২৭ সালে আইসিএস "বয়সের রহস্য" (সিক্রেটস অব দ্য এইজেস) নামক একটি লেখার মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর অবদানকারীদের মধ্যে এইচ. পি. লাভক্র্যাফ্ট, ফ্র্যাঙ্ক ওয়েন, মিরিয়াম এলেন ডিফোর্ড অন্যতম। লাভক্র্যাফটের কুল এয়ার; ফ্র্যাঙ্ক ওয়েনের তিনটি গল্প - দ্য ইয়েলো পুল, দ্য ব্ল্যাক ওয়েল অব ওয়াদি এবং দ্য লুর অব দ্যা শ্রিভেলড্ হ্যান্ড; এবং ডিফোর্ড গোস্টলি হ্যান্ডস গল্পগুলো এই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৪ সালে ওয়াইল্ডসাইড প্রেস ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮ সংখ্যার একটি হস্তলিখিত সংস্করণ প্রকাশ করে, এবং ২০১৩ সালে অ্যাডভেঞ্চার হাউস মার্চ, ১৯২৮ সালের সংখ্যাটির হস্তলিখিত সংস্করণ বের করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪৬

এশিয়া
এশিয়া

এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ, প্রাথমিকভাবে পূর্বউত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এটি ভূপৃষ্ঠের ৮.৭% ও স্থলভাগের ৩০% অংশ জুড়ে অবস্থিত। এশিয়ার সীমানা সাংস্কৃতিকভাবে নির্ধারিত হয়, যেহেতু ইউরোপের সাথে এর কোনো স্পষ্ট ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা নেই, যা এক অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডের গঠন যাকে একসঙ্গে ইউরেশিয়া বলা হয়। এশিয়ার সবচেয়ে সাধারণভাবে স্বীকৃত সীমানা হলো সুয়েজ খাল, ইউরাল নদী, এবং ইউরাল পর্বতমালার পূর্বে, এবং ককেশাস পর্বতমালা এবং কাস্পিয়ানকৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণে। পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে উত্তর মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। ইউরাল পর্বতমালা, ইউরাল নদী, কাস্পিয়ান সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং ভূমধ্যসাগর দ্বারা এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশ দুটি পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন। এছাড়া লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল এশিয়া মহাদেশকে আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সংকীর্ণ বেরিং প্রণালী একে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪৭ ডব্লিউসিএসপি-এফএম, যা সি-স্প্যান বেতার নামেও পরিচিত, ক্যাবল স্যাটেলাইট পাবলিক এফেয়ার্স নেটওয়ার্ক বা সি-স্প্যান (C-Span) কর্তৃক নিবন্ধিত ওয়াশিংটন, ডি.সি. এলাকার একটি বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র। ১৯৯৭ সালের ৯ই অক্টোবর থেকে ডব্লিউসিএসপি, সি-স্প্যান এর বেতার কেন্দ্র হিসেবে প্রচার শুরু করে। এই বেতার কেন্দ্রটি ৯০.১ মেগাহার্টজে ২৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। এর স্টুডিওগুলি ক্যাপিটাল হিলের কাছে সি-স্প্যানের হেডকোয়ার্টারে অবস্থিত। ডব্লিউসিএসপি-এফএম এর বাইরে সি-স্প্যান এর বেতার অনুষ্ঠানসমূহ অনলাইনে c-span.org সাইটে এবং স্যাটেলাইট রেডিও'র এক্সএম চ্যানেল ৪৫৫ এ শোনা যায়। ডব্লিউসিএসপি-এফ এইচডি (ডিজিটাল) ফরম্যাটে প্রচার করে থাকে। জুলাই ২৮, ২০১০ থেকে সি-স্প্যান রেডিও যে কোন ফোন থেকে শোনা যাচ্ছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪৮

কেপলার-৪-এর গ্রহের আকৃতি
কেপলার-৪-এর গ্রহের আকৃতি

কেপলার-৪ সূর্যের মত একটি নক্ষত্র যা তারকামণ্ডলে ১৬৩১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এটি পৃথিবী সাদৃশ গ্রহ খোঁজার উদ্দেশ্যে নাসা কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযান কেপলার মিশনের একটি ক্ষেত্র এবং এই মহাকাশযানের নামে এর নামকরণ করা হয়। কেপলার-৪ একটি জি০-টাইপ তারকা যা সূর্যের অনুরূপ, কিন্তু উজ্জ্বলতা সামান্য বেশি। নক্ষত্রটি ১.০৯২ সূর্যের ভর এবং ১.৫৩৩ সূর্যের ব্যসার্ধ Msun, বা সূর্যের ভরের ১০৯% এর এবং সূর্যের ব্যাসার্ধের ১৫৩%। কেপলার-৪বিনেপচুন আকারের একটি গ্রহ, ০.০৭৭ এম.জে. (জুপিটার ভর এর ৭%) এবং ০.৩৫৭ আর.জে (জুপিটার ব্যাসার্ধ এর ৩৬%) সমৃদ্ধ, যা এই নক্ষত্রের অত্যন্ত নিকটবর্তী কক্ষপথে আবর্তিত হচ্ছে বলে আবিষ্কৃত হয় এবং ৪ জানুয়ারি ২০১০ সালে কেপলার দলের মাধ্যমে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। কেপলার-৪বি কেপলার স্যাটেলাইটের প্রথম আবিষ্কার ছিল, এবং তার নিশ্চিতকরণ মহাকাশযানের কার্যকারিতা প্রদর্শনে সাহায্য করেছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৪৯

ডানস্টারের চলমান ওয়াটারমিল
ডানস্টারের চলমান ওয়াটারমিল

ডানস্টারের চলমান ওয়াটারমিল (ক্যাসল মিল নামেও পরিচিত) ইংল্যান্ডের সমারসেট-এর ডানস্টার-এ ১৮ শতকে পুনঃস্থাপিত একটি ওয়াটারমিল, যা এভিল নদীর উপর এবং ডানস্টার ক্যাসল এর ভূমির উপর অবস্থিত গ্যালক্স সেতুর নিকটে অবস্থিত। এটি একটি গ্রেড-২* তালিকাভুক্ত দালান। বর্তমানে কারখানাটি যেখানে রয়েছে সেখানে ডুমসডে বুক-এ একটি কারখানা পূর্বে তালিকাভুক্ত ছিল, কিন্ত বর্তমান দালানটি ১৭৮০ সালের কাছাকাছি সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি ১৯৬২ সালে বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯৭৯ সালে পুনরায় চালু করা হয় এবং এখনও গম ভানতে ব্যবহৃত হয়। যন্ত্রপাতিগুলো দুটি জলচক্রের মাধ্যমে চালিত হয়। এটির মালিক ন্যাশনাল ট্রাস্ট, কিন্তু পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা পরিচালিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫০

ডায়নামিক সায়েন্স ফিকশন
ডায়নামিক সায়েন্স ফিকশন

ডায়নামিক সায়েন্স ফিকশন হল একটি পাল্প ম্যাগাজিন যার ছয়টি সংখ্যা ডিসেম্বর ১৯৫২ থেকে জানুয়ারি ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল। এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালের নভেম্বর মাসে।ফিউচার সায়েন্স ফিকশনের সহযোগি প্রকাশনা হিসেবে, এটিও রবার্ট ডব্লিউ. লাউনডেস কর্তৃক সম্পাদিত এবং লুইস সিলবারক্লেইট কর্তৃক প্রকাশিত হয়ছিল। এতে বেশকিছু সংখ্যক উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিকদের লেখা প্রকাশিত হয়। এতে প্রকাশিত কিছু বিখ্যাত গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্থার সি. ক্লার্কের "দ্য পজেসড্" (মার্চ, ১৯৫৩); লেস্টার ডেল রে'র "আই এম টুমরো" (ডিসেম্বর, ১৯৫২) এবং জেমস ব্লিস ও লাউনডেসের উপন্যাস "দ্য ডুপ্লিকেটেড ম্যান" (আগস্ট, ১৯৫৩) উল্লেখযোগ্য। লাউনডেস বেশকিছু ভালোমানের নন-ফিকশন লেখাও প্রকাশ করেন; যার মধ্যে জেমস ই. গুনের "দ্য ফিলোসোফি অব সায়েন্স ফিকশন" (মার্চ ও জুন, ১৯৫৩-এর সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল), এবং "দ্য প্লট ফর্মস অব সায়েন্স ফিকশন"। পাল্প যুগের শেষ দিকে এই ম্যাগাজিনের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে সিলবারক্লেইট ১৯৫৪ সালে ফিউচারকে একটি সংকলন আকারে রূপান্তরের কথা চিন্তা করেন। লাউনডেস ডায়নামিকের সাথেও এরকম করতে চান নি, তাই তিনি ম্যাগাজিনটির কাজই বন্ধ করে দেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫১ এলজি মোবাইল বিশ্বকাপ, এলজি ইলেকট্রনিকসের আয়োজনে ২০১০ সালের ১৪ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা মোবাইলে বার্তা আদান-প্রদাণে তাদের গতি ও নির্ভুলতার উপর ভিত্তি করে অংশগ্রহণ করেন। এটি নিউ ইয়র্ক শহরের গথাম হলে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বমোট ১৩০,০০০ ডলার পুরস্কারের এই প্রতিযোগিতায় ১৩টি দল তাদের নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। অংশগ্রহণকারী দলগুলো হল: আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ২০১০ সালেই প্রথমবারের মত দেশগুলো একে অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিযোগিতা হয় ২০০৮ ও ২০০৯ সালে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫২

ইয়োহানা ভেলিন
ইয়োহানা ভেলিন

ইয়োহানা ভেলিন হলেন সুইডেনে জন্মগ্রহণকারী একজন জার্মান ২.০ পয়েন্ট হুইলচেয়ার বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ফিনল্যান্ড-সুইডেন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত পাজালা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ভেলিন সুয়েডীয় লীগে টরবোদা আই.কে.-এর হয়ে ফুটবল খেলতেন। ২০০৪ সালে গোথার্নবাগে একটি স্নোবোর্ডিং প্রতিযোগিতায় খারাপ পতনের ফলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং তার কোমরের বামদিকের নিচের অংশ প্যারালাইস্ট হয়। পরে তিনি হু্ইলচেয়ার বাস্কেটবলকে পেশা হিসাবে গ্রহন করেন এবং সুয়েডীয় লীগে জি.আর.বি.কে. গোথার্নবাগ-এর হয়ে খেলেন। তিনি জার্মান হুইলচেয়ার বাস্কেটবল লীগে ইউ.এস.সি. মিউনিখ-এর হয়ে এবং জার্মান জাতীয় দলে খেলে থাকেন। এ দলটি লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিকে স্বর্ণ পদক জেতে এবং একই সালে রাষ্ট্রপতি জোয়াকিম গোঁউক-এর নিকট হতে জার্মানির সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কার সিলভার লরেল লিফ লাভ করেছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫৩

আভ্যন্তর-বহিরঙ্গন থার্মোমিটার
আভ্যন্তর-বহিরঙ্গন থার্মোমিটার

আভ্যন্তর-বহিরঙ্গন থার্মোমিটার হল একটি থার্মোমিটার যা একই সাথে আভ্যন্তর ও বহিরঙ্গণের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারে। এই তাপমাপক যন্ত্রের বাইরের অংশের জন্য এক ধরনের দূরবর্তী তাপমাত্রা অনুভূতিমাপক যন্ত্রের প্রয়োজন হয়; এটা সাধারনত করা হয় বাইরের দিকের বিস্তৃত তাপমাপক যন্ত্রের বাল্ব (ডুম) দ্বারা। আধুনিক যন্ত্রগুলোতে বেশির ভাগই এই ধরনের ইলেকট্রনিক ট্রাসডিউসার (পরিণত করার যন্ত্র) ব্যবহার করে থাকে। আভ্যন্তর-বহিরঙ্গণ থার্মোমিটারের ভিত্তি হচ্ছে প্রচলিত লিকুইড-ইন-গ্লাস থার্মোমিটার, বহিরঙ্গণ থার্মোমিটারের স্টেম একটি দীর্ঘ, নমনীয় বা আধা অনমনীয় সূক্ষ্ম নলের বাল্বের সাথে সংযুক্ত থাকে। স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রার স্কেল স্টেমে চিহ্নিত করা থাকে। যাইহোক, আসলে তাপমাত্রা মাপা হয় বাল্বের তাপমাত্রা থেকে। ইলেকট্রনিক থার্মোমিটারে সেন্সরের যে কোনো প্রকারের ব্যবহার হতে পারে। থার্মোমিটারে হল সাধারণ এবং অর্ধপরিবাহীর সংযোগস্থল এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫৪

এভরি সানডে চলচ্চিত্রের পোস্টার
এভরি সানডে চলচ্চিত্রের পোস্টার

এভরি সানডে (কখনো কখনো এভরি সানডে আফটারনুন বা অপেরা ভার্সেস জ্যাজ বলা হয়) ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন স্বল্পদৈর্ঘ্য সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র। যেটির কাহিনীতে দেখা যায় দু'জন তরুণীর চেষ্টায়, অল্পদর্শক উপস্থিতির হাত থেকে একটি স্থানীয় ধারাবাহিক কনসার্ট রক্ষা পায়। ফেলিক্স ই ফিস্ট পরিচালিত এটি একটা উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র যেখানে, অভিনেত্রী ডায়ানা ডার্বিন ও জুডি গারল্যান্ডের অডিশন এবং পর্দায় উপস্থিতি দেখে, তাদের বড় তারকা হবার সম্ভাবনার কথা ধারণা করা হয়েছিল। মুক্তির সময় তেমন একটা সমালোচকদের দৃষ্টি অর্জন করতে পারেনি। ডার্বিনের স্থানীয় পত্রিকা দ্যা উইনিং ফ্রী প্রেস চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করলেও এটিকে খুবই সংক্ষিপ্ত বলে উল্লেখ করে এবং গারল্যান্ডকে গার্ল সিংগার অব ডিস্টিংশান উপাধি দেয়। এছাড়া গারল্যান্ড জীবনীকারদের নিকট থেকে ইতিবাচক সুনাম অর্জন করেছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫৫ উসামা ইবনে মুনকিজ ছিলেন উত্তর সিরিয়ার শাইজারের বনু মুনকিজ বংশীয় মধ্যুযুগের একজন মুসলিম কবি, লেখক, ফারিস ও কূটনৈতিক। তার জীবনকালে কয়েকটি মুসলিম রাজবংশের উত্থান হয়েছে। এছাড়াও এসময় প্রথম ক্রুসেড সংঘটিত হয় এবং ক্রুসেডার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। উসামা শাইজারের আমিরের ভ্রাতুষ্পুত্র এবং সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী ছিলেন। কিন্তু ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নির্বাসিত হন। বাকি জীবন তিনি অন্যান্য নেতাদের অধীনে কাজ করেছেন। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় তিনি বুরি, জেনগিআইয়ুবীয় দরবারের সদস্য ছিলেন এবং ইমাদউদ্দিন, নুরউদ্দিন সালাহউদ্দিনকে সহায়তা করেছেন। এছাড়াও তিনি কায়রোতে ফাতেমীয় দরবারে ও হিসন কাইফায় অরতুকিদের অধীনে দায়িত্বপালন করেছেন। জীবনকালে ও মৃত্যুপরবর্তী সময়ে তিনি একজন কবি ও আদিব হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি কবিতা সংকলন প্রণয়ন করেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে কিতাব আল-আসা, লুবাব আল-আদাব ও আল-মানজিল ওয়াল-দিয়ার। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫৬

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট রুট ১৮৬
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট রুট ১৮৬

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট রুট ১৮৬ (এসআর ১৮৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত একটি রাজ্য মহাসড়ক। রাস্তাটি কলরাডো নদীর তীরে অবস্থিত যেটি কিনা ইউএস-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে ইন্টারস্টেট ৮ (আই-৮) এর সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসআর ১৮৬ এর দক্ষিণ প্রান্তবিন্দু অবস্থিত লস অ্যানগোডন্স, বাজা ক্যালিফোর্নিয়া এবং উত্তর প্রান্তবিন্দু অবস্থিত আরজা জাংশনের নিকটবর্তী উইন্টারহ্যাভেন, ক্যালিফোর্নিয়াতে। মাত্র ২.০৭ মাইল (৩.৩৩১কি.মি.) লম্বা রাস্তাটি আলমো ক্যানেল ধরে অল আমেরিকান ক্যানেল পাড়ি দেয় ফোর্ট উমা-কুইচ্যান রিজারভেশান এলাকায়। এসআর ১৮৬, ১৯৭২ সালে ইম্পিরিয়াল কাউন্টির অধীন হিসেবে চিহ্নিত করা করা হয়, যদিও এর অপরপ্রান্ত আই-৮ একবছর পর নির্মাণ করা হয়েছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫৭

নাইটস টেম্পলার
নাইটস টেম্পলার

নাইটস টেম্পলার অথবা অর্ডার অফ দ্য টেম্প্‌ল হল সোলমনের মন্দির এবং খ্রিস্টের দরিদ্র সহযোগী-সৈনিকবৃন্দ। খ্রিস্টান সামরিক যাজক সম্প্রদায়গুলোর (অর্ডার) মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিখ্যাত এবং পরিচিত। মধ্য যুগে প্রায় দুই শতক ব্যাপী এই সংগঠনের অস্তিত্ব বিরাজমান ছিল। ১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ক্রুসেডের পরই এর সৃষ্টি হয় যার উদ্দেশ্যে ছিল জেরুসালেমে আগত বিপুল সংখ্যক ইউরোপীয় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জেরুসালেম মুসলিমদের দখলে চলে যাওয়ার পরই এই নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ১১২৯ খ্রিস্টাব্দে চার্চ এই সংগঠনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দান করে। এর পর থেকে যাজক সম্প্রদায়টি গোটা ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এর সদস্য সংখ্যা এবং একই সাথে ক্ষমতা বিপুল হারে বাড়তে থাকে। স্বতন্ত্র ধরণের লাল ক্রস সংবলিত আলখাল্লা পরিধান করার কারণে যে কোন টেম্পলার নাইটকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। তারা ছিল ক্রুসেডের সময়কার সর্বোৎকৃষ্ট অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত, সর্বোচ্চ মানের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং সর্বোচ্চ শৃঙ্খলাবিশিষ্ট যোদ্ধা দল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫৮

দি অ্যাক্টর অ্যান্ড দ্য রুব চলচ্চিত্রে একটি দৃশ্য
দি অ্যাক্টর অ্যান্ড দ্য রুব চলচ্চিত্রে একটি দৃশ্য

দি অ্যাক্টর অ্যান্ড দ্য রুব ১৯১৫ সালের মার্কিন নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র যেটি ফলস্টাফ ব্র‍্যান্ডের অধীনে থানহাউসার কোম্পানি কর্তৃক প্রযোজিত হয়েছে। ফিলিপ লোনারগ্যান রচিত এবং আর্থার এলারি পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ছিল ফলস্টাফের প্রথম পরিচালনা। এর প্রযোজনা তত্ত্বাবধানে ছিলেন এডউইন থানহাউসার এবং এটি নিউ রোচেল স্টুডিওতে প্রযোজিত হয়েছিল। চলচ্চিত্রটির কাহিনী এক বদমেজাজি কৃষককে কেন্দ্র করে যাকে তার শহরের সবাই অপছন্দ করে, ফলে সে সিদ্ধান্ত নেয় নিউইয়র্ক যাবার। একজন অভিনেতা কৃষকের ছদ্মবেশ নিয়ে কৃষকের গ্রামে ফিরে যায় এবং তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর অভিনেতা কৃষককে তার গ্রামে ফিরে যেতে বলে। গ্রামে ফিরে গিয়ে কৃষক দেখে সে সবার প্রিয়পাত্র এবং জনপ্রিয়, কৃষক তখন তার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে। দি ওয়ান রিল কমেডি প্রোডাকশনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে বিশদভাবে মুক্তি পেয়েছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৫৯

পেঁয়াজ গম্বুজ
পেঁয়াজ গম্বুজ

পেঁয়াজ গম্বুজ একটি গম্বুজ যার আকৃতি পেঁয়াজের মত। এই ধরনের গম্বুজ সাধারনত যেখানে বসানো হয়, তার চেয়ে ব্যাস বড় এবং উচ্চতা প্রস্থের চেয়ে লম্বা থাকে। এই কন্দল কাঠামোর উপরে একটি বিন্দুতে মসৃণ সরু মাথা থাকে। এই চার্চ গম্বুজের কর্তৃত্ববাদী কাঠামো আছে রাশিয়ায় (রাশিয়ায় অধিকাংশ অর্থডক্স গির্জায়) এবং বাভারিয়া, জার্মানি, কিন্তু প্রায়শই এটি দেখা যায় অস্ট্রিয়া, উত্তরপূর্ব ইতালি, পূর্ব ইউরোপ, মুঘল সাম্রাজ্য, এবং মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়ায়। অন্য ধরনের পূর্বাঞ্চলীয় অর্থডক্স গম্বুজের মধ্যে আছে "হেলমেট গম্বুজ" (উদাহরনস্বরূপ, নভগরডের সেন্ট সোফিয়া ক্যাথিড্রাল ও ভ্লাদিমিরের আজাম্পশন ক্যাথিড্রাল), ইউক্রেনের "নাশপাতি গম্বুজ" (কিয়েভের সেন্ট সোফিয়া ক্যাথিড্রাল), এবং রারক কুঁড়ি গম্বুজ (সেন্ট অ্যান্ড্রু চার্চ, কিয়েভ)। বাইজেন্টাইন গীর্জাসমূহ ও কিয়েভের রুশ স্থাপত্যগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল বৃহত্তম কাঠামো ও স্তাবক গম্বুজ দিয়ে এবং গম্বুজের উপরে কোন কাঠামো ছাড়া। এই প্রাচীন কাঠামোর বিপরীতে, রাশিয়ার গির্জার গম্বুজের মাথায় ধাতু বা কাঠের বিশেষ কাঠামোর মধ্যে লোহা বা টাইলস বিশেষ সরু রেখা থাকে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬০

লাহোর দুর্গ
লাহোর দুর্গ

লাহোর দুর্গ পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লাহোরে অবস্থিত একটি দুর্গ। এই দুর্গ ইকবাল পার্কে লাহোরের দেয়ালঘেরা শহরের উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। এই পার্ক পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় নগর পার্কের অন্যতম। ট্রাপোজয়েড আকৃতির স্থানটি ২০ হেক্টর এলাকা নিয়ে গঠিত। দুর্গের উৎস প্রাচীনকাল হলেও বর্তমান স্থাপনা মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে নির্মিত হয়েছে। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাটদের সময়ে দুর্গের বৃদ্ধি ঘটেছে। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর শিখব্রিটিশ শাসকরাও দুর্গের বৃদ্ধি ঘটান। এর দুইটি ফটক রয়েছে। এর মধ্যে একটি সম্রাট আওরঙ্গজেব নির্মাণ করেছেন। এটি আলমগিরি ফটক বলে পরিচিত এবং তা বাদশাহী মসজিদমুখী। অন্যটি আকবরের সময় নির্মিত হয় এবং এটি মাসিতি বা মসজিদি ফটক নামে পরিচিত। এটি দেয়ালঘেরা শহরের মাসিতি এলাকামুখী। বর্তমানে আলমগিরি ফটকটি প্রধান প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং মাসিতি ফটকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। দুর্গে মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন রয়েছে। দুর্গের কিছু বিখ্যাত স্থানের মধ্যে রয়েছে শিশ মহল, আলমগিরি ফটক, নওলাখা প্যাভেলিয়ন ও মোতি মসজিদ। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬১

স্ট্রেঞ্জ টেলস্‌ অ্যান্ড মিস্ট্রি অব টেরর
স্ট্রেঞ্জ টেলস্‌ অ্যান্ড মিস্ট্রি অব টেরর

স্ট্রেঞ্জ টেলস্‌ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত একটি পাল্প ম্যাগাজিন। ক্লেটন পাবলিকেশনস প্রকাশিত এই ম্যাগজিনটি ১৯৩১ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হত। এটি কল্পনা ও অপার্থিব কল্পকাহিনী ধরণের লেখার উপর গুরুত্বারোপ করত। এই ম্যাগজিনটি ওয়্যার্ড টেলস ম্যাগাজিনের অন্যতম প্রতিযোগী ছিল। এই বিষয়ভিত্তিক ম্যাগাজিনসমূহের মধ্যে ওয়্যার্ড টেলস্‌ ঐ সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। ম্যাগাজিনটি নানা বিখ্যাত লেখনী প্রকাশ করেছে, তন্মধ্যে জ্যাক উইলিয়ামসনের "উলফস্‌ অভ ডার্কনেস", রবার্ট ই. হাওয়ার্ড ও ক্লার্ক অ্যাশটন স্মিথ এর গল্পগুলো উল্লেখযোগ্য। তবে পরবর্তীতে ক্লেটন দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় ম্যাগাজিনের প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন ওয়াইল্ডসাইড প্রেস সাময়িকভাবে এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়ে তোলে। পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে এই প্রকাশনা সংস্থা রবার্ট এম. প্রিন্সের সম্পাদনায় ম্যাগাজিনটির পরবর্তী ৩টি সংখ্যা প্রকাশ করে। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ওয়াইল্ডসাইড পুনরায় তিনটি ম্যাগাজিন অনুলিপি হিসেবে প্রকাশিত হয়; এই সংখ্যাগুলোর মুদ্রিত তারিখ ছিল মার্চ ও অক্টোবর, ১৯৩২ এবং জানুয়ারি, ১৯৩৩। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬২

১৯৮৮ বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়
১৯৮৮ বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়

১৯৮৮ বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় (যৌথ ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র কর্তৃক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় 04B হিসাবে মনোনীত) বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। ১৯৮৮ সালে সংঘঠিত এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দেশে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্বনাশা বন্যা হিসেবে পরিচিত। ২১ নভেম্বর মালাক্কা প্রণালীতে এই ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছিল। শুরুতে এটি পশ্চিমগামী ছিল, এরপর গভীর নিম্নচাপ থেকে ক্রমান্বয়ে আন্দামান সাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। নভেম্বর ২৬ তারিখে, এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং উত্তরদিকে ঘুরে যায়। ধীরে ধীরে, এর গতি তীব্রতর হয় এবং ১২৫ মাইল/ঘণ্টা (২০০ কিমি/ঘণ্টা) বাতাসের গতিতে ২৯শে নভেম্বর বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের স্থলভূমিতে আঘাত করে। এই গতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শক্তিশালী অবস্থা ধরে রাখে এবং এটি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মাঝারি ঘূর্ণিঝড় হিসাবে সক্রিয় ছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬৩

২০১১ কমনওয়েলথ যুব গেমসের পদক অনুযায়ী ম্যাপ
২০১১ কমনওয়েলথ যুব গেমসের পদক অনুযায়ী ম্যাপ

২০১১ সালের ৭ হতে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইল অব ম্যানে অনুষ্ঠিত ২০১১ কমনওয়েলথ যুব গেমসে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে; যা দাপ্তরিকভাবে ৪র্থ কমনওয়েলথ যুব গেমস নামে পরিচিত। কমনওয়েলথ যুব গেমসে এটি ছিলো বাংলাদেশের দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে দেশটি এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়, যারা কমনওয়েলথ গেমস এবং কমনওয়েলথ যুব গেমসে দেশের হয়ে প্রতিযোগী ও প্রতিনিধি প্রেরণ করে থাকে। বাংলাদেশ দলে ছিলেন চারজন কর্মকর্তা ও চারজন প্রতিযোগী। দুইজন পুরুষ ও দুজন মহিলা ক্রীড়াবিদ নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ দল অ্যাথলেটিক্স, মুষ্টিযুদ্ধ এবং সাঁতার - এই তিনটি ভিন্ন ক্রীড়ায় অংশ নেয় (পূর্ববর্তী গেমসে বাংলাদেশ দলে ছিলেন দশজন পুরুষ ক্রীড়াবিদ)। এতে বাংলাদেশ দল কোন পদক জয়ে ব্যর্থ হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬৪

শিল্পি লিকতেনস্তাইন
শিল্পি লিকতেনস্তাইন

গরররররররররর!! তেল এবং ম্যাগনা দ্বারা ১৯৬৫ সালে রয় লিকতেনস্তাইন অঙ্কিত একটি ক্যানভাস পেইন্টিং। পেইন্টিংটি লিকতেনস্তাইন তার শিল্পকর্ম থেকে শলোমন আর. গগেনহেম জাদুঘরে উইল করেন। এটি একটি রাগান্বিত কুকুরের রাগ প্রকাশের মুখচ্ছবির অনোমেটোপোইক অভিব্যক্তি "গরররররররররর!!" চিত্রকর্মটির অনুপ্রেরণা ছিল আওয়ার ফাইটিং ফোর্সেস #৬৬ (ফেব্রুয়ারি ১৯৬২) থেকে প্রপ্ত কাঠামো, যেটি ন্যাশনাল পিরিয়ডিক্যাল পাবলিকেশন্স কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়াও এটি লিকতেনস্তাইনের আঁকা অন্যান্য সামরিক কুকুরের চিত্রকর্মের উৎস হিসেবে নিষেবিত হয়ে থাকে। পেইন্টিং ১৯৯২ সালে করা প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে, ১৯৯৭ সালে লিকতেনস্তাইনের মৃত্যুর পর গগেনহেম জাদুঘরে উইল করা হয়। চিত্রকর্মটি ১৯৯৩ সালের আর্ট নিউজের নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদে প্রকাশিত হয়েছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬৫

অ্যাড্রাস্টিয়ার আলোকচিত্র
অ্যাড্রাস্টিয়ার আলোকচিত্র

অ্যাড্রাস্টিয়া বা বৃহস্পতি ১৫ হল চারটি অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক উপগ্রহের মধ্যে ক্ষুদ্রতম তথা দূরত্বের নিরিখে এই শ্রেণির উপগ্রহগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। ১৯৭৯ সালে ভয়েজার ২ মহাকাশযান থেকে গৃহীত আলোকচিত্রগুলোর মাধ্যমে এই উপগ্রহটি আবিষ্কৃত হয়। অ্যাড্রাস্টিয়াই প্রথম উপগ্রহ যেটির আবিষ্কার দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে ঘটেনি; বরং কোনও আন্তঃগ্রহ মহাকাশযান থেকে তোলা আলোকচিত্রের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছিল। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রিক দেবতা জিউসের (যার রোমান সমরূপ হলেন জুপিটার) পালিকা মাতা অ্যাড্রাস্টিয়ার নামানুসারে এই উপগ্রহটির নামকরণ করা হয়। ১৯৯০-এর দশকে গ্যালিলিও মহাকাশযানের পর্যবেক্ষণ সত্ত্বেও এই উপগ্রহটির আকার এবং বৃহস্পতির সঙ্গে জোয়ার-সংক্রান্ত বন্ধনের তথ্য ছাড়া আর কোনও ভৌত বৈশিষ্ট্যের কথা জানা যায়নি। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬৬

মালাজগির্দ‌ের যুদ্ধ
মালাজগির্দ‌ের যুদ্ধ

মালাজগির্দ‌ের যুদ্ধ ১০৭১ সালের ২৬ আগস্ট বর্তমান তুরস্কের মাশ প্রদেশের মালাজগির্দ‌ের নিকটে সেলজুক সাম্রাজ্যবাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে বাইজেন্টাইনরা পরাজিত হয় এবং সম্রাট চতুর্থ রোমানোস বন্দী হন যার ফলে আনাতোলিয়া, আর্মেনিয়ায় বাইজেন্টাইন কর্তৃত্ব হ্রাস পায় এবং আনাতোলিয়া তুর্কিদের হস্তগত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। মালাজগির্দ‌ে পরাজয় বাইজেন্টাইনদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করে। এর ফলে গৃহযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় ফলে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সীমান্ত রক্ষার সক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে তুর্করা ব্যাপক সংখ্যায় মধ্য আনাতোলিয়ায় প্রবেশ করতে থাকে। ১০৮০ সাল নাগাদ প্রায় ৭৮,০০০ বর্গকিলোমিটার (৩০,০০০ মা২) এলাকা সেলজুক তুর্কিরা অধিকার করে নেয়। আভ্যন্তরীণ গোলযোগ দূর করে বাইজেন্টিয়ামে স্থিতিশীলতা আনার জন্য প্রথম আলেক্সিওসের তিন দশক সময় লেগেছিল। ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বাইজেন্টাইন সম্রাট একজন মুসলিম সম্রাটের কাছে বন্দী হন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬৭ হ্যারি পটার হচ্ছে ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত সাত খন্ডের কাল্পনিক উপন্যাসের একটি সিরিজ। এই সিরিজের উপন্যাসগুলিতে জাদুকরদের পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে এবং কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হ্যারি পটার নামের এক কিশোর জাদুকরকে ঘিরে, যে তার প্রিয় বন্ধু রন উইজলিহারমায়নি গ্রেঞ্জারকে সাথে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়। কাহিনীর বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরিতে। মূল চরিত্র হ্যারি পটারের বড় হওয়ার পথে যেসব ঘটনা ঘটে, তার শিক্ষাজীবন, সম্পর্ক ও অ্যাডভেঞ্চার নিয়েই কাহিনী রচিত হয়েছে। আবার বইটিতে মানুষের বন্ধুত্ব, উচ্চাশা, ইচ্ছা, গর্ব, সাহস, ভালবাসা, মৃত্যু প্রভৃতিকে জাদুর দুনিয়ার জটিল ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ অধিবাসী, অনন্য সংস্কৃতি ও সমাজ প্রভৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। এর কাহিনী মূলত কালো-যাদুকর লর্ড ভলডেমর্ট, যে জাদু সাম্রাজ্যে প্রতিপত্তি লাভের উদ্দেশ্যে হ্যারির বাবা-মাকে হত্যা করেছিল ও তার চিরশত্রু হ্যারি পটারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।(বাকি অংশ পড়ুন...)


৬৮

ভীম ভবানী
ভীম ভবানী

ভবেন্দ্রমোহন সাহা বা ভীম ভবানী ছিলেন একজন ভারতীয় কুস্তিগিরভারোত্তলক। তার যখন ১৯ বছর বয়স তখন ভারতের প্রসিদ্ধ কুস্তিগির প্রফেসর রামমূর্তী নাইডু তার সার্কাসের দল নিয়ে কলকাতায় খেলা দেখাতে আসেন। তিনি রামমূর্তীর কাছে শরীরচর্চার প্রশিক্ষণ নেন এবং তার সাথে ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে তার শারীরিক শক্তির পরিচয় দেন। পরে তিনি রামমূর্তীর সার্কাসের দলে যোগ দিয়ে রেঙ্গুনে পাড়ি দেন এবং রেঙ্গুন, সিঙ্গাপুর হয়ে জাভায় পৌঁছান। পরে প্রফেসর বসাকের হিপোড্রোম সার্কাসের সাথে এশিয়া যাত্রা করেন ও তার কৃতিত্বের পরিচয় দেন। জাপান সম্রাট (মিকাডো) তার শারীরিক শক্তির পরিচয় পেয়ে তাকে স্বর্ণপদক দান করেন। বুকের উপর হাতী তোলার জন্য তিনি কিংবদন্তিতে পরিণত হন। তার বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি মোট ১২০ খানা স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক লাভ করেন। এছাড়াও পুরস্কার স্বরূপ শাল, আলোয়ান, আংটি, মোটর গাড়ি ও নগদ টাকাও পেয়েছিলেন। কলকাতায় স্বদেশী মেলায় অমৃতলাল বসু তার বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে তাকে মহাভারতের ভীমের সাথে তুলনা করেন ও তাকে কলিকালের ভীম বলে বর্ণনা করেন এবং 'ভীম ভবানী' আখ্যা দেন। পশ্চিম ভারতে তিনি 'ভীমমূর্তী' নামে খ্যাত ছিলেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৬৯

কাগজি
কাগজি

কাগজি এক প্রজাতির মাঝারি আকারের পাহাড়ি অরণ্যবাসী প্রজাপতি। পাহাড়ে ৮০০০ ফুট উচ্চতা অবধি এদের দেখা মেলে। কাগজির মূল শরীর হালকা হলদেটে সাদা বর্ণের এবং ডানাদুটি মানচিত্রের ন্যায় সীমানাচিহ্নের মতো সরু সরু কালো রেখায় চিত্রিত। সামনের ডানার শীর্ষে এবং উভয় ডানার কিনারাতে গাঢ় খয়েরি রঙের পটি লক্ষ্য করা যায়। নিচের ডানার নিম্নভাগে কমলা রঙের ছোঁয়া থাকে। কাগজির প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৫০-৬০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। মি. বেল লিখেছেন আর কোন ভারতীয় প্রজাপতি এতক্ষণ ডানা না কাঁপিয়ে ভেসে থাকতে পারে না। এরা নিমফ্যালিডি পরিবার এবং সাইরেসটিস উপগোত্রের সদস্য। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭০

আরবিতে লিখিত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর নাম
আরবিতে লিখিত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর নাম

মুহাম্মাদ হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মাদের নিকট আসা ওহীসমূহ কুরআনের আয়াত হিসেবে রয়ে যায় এবং মুসলমানরা এই আয়াতসমূহকে ‘আল্লাহর বাণী’ বলে বিবেচনা করেন। এই কুরআনের উপর ইসলাম ধর্মের মূল নিহিত। কুরআনের পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত হযরত মুহাম্মাদের শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭১

লুডভিগ বোলৎসমান
লুডভিগ বোলৎসমান

লুডভিগ এডুয়ার্ড বোলৎসমান ছিলেন প্রখ্যাত অষ্ট্রীয় পদার্থবিজ্ঞানী, দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ। তিনিই প্রথম বলেছিলেন, পরমাণুকে না দেখলেও কিছু পরিসাংখ্যিক সমীকরণের মাধ্যমে তাদের গতিবিধি বর্ণনা করা সম্ভব। এভাবেই তিনি পরিসাংখ্যিক গতিবিদ্যার জন্ম দেন। তখনকার প্রতিষ্ঠিত নিয়মের বাইরে গিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, তাপগতিবিদ্যায় সম্ভাব্যতার ধারণা সংযোজন করা উচিত। এভাবে তার হাত ধরে পরিসাংখ্যিক তাপগতিবিদ্যারও জন্ম হয়েছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রকৃতির বিশৃঙ্খলাকে বিশৃঙ্খলা-মাত্রা বা এনট্রপি নামক একটি গাণিতিক রাশির মাধ্যমে পরিমাপ করা সম্ভব। সে সময় প্রচলিত ধ্রুব প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রকৃতির বাস্তব বিশৃঙ্খলা এবং সম্ভাব্যতার প্রভাব আবিষ্কার করেছিলেন বলেই তাকে বলা হয় দ্য জিনিয়াস অফ ডিসঅর্ডার। পরিসাংখ্যিক ব্যত্যয় বিরল এবং একটি মহাবিশ্ব সৃষ্টির মত ব্যত্যয় আরও বিরল। তবে জ্ঞানের এই ধারার অগ্রদূত হিসেবে লুক্রেতিউসের পরই বোলৎসমানের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭২

আ ২৯-সেন্ট রবারি (১৯১০)
আ ২৯-সেন্ট রবারি (১৯১০)

আ টোয়েন্টিনাইন-সেন্ট রবারি ১৯১০ সালের মার্কিন নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য নাট্য চলচ্চিত্র। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মতে চলচ্চিত্রটি পরিচালা করেছেন ব্যারি ওনিল। এটি প্রযোজনা করেছে থানহাউসার কোম্পানি। এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে এডনা রবিনসন নামে এক কিশোরী চরিত্রে মারি এলিনের অভিষেক হয়, যে তার পরিবারের বাড়ি লুট করার সময় চোরকে বাধাদানের প্রচেষ্টা চালায়। যেখানে একদল চোর একত্রিত হয়ে তার ২৯ সেন্ট সমেত খেলনা ব্যাংক লুট করে। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের দ্বারা ইতিবাচক মন্তব্য অর্জন করে এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রদর্শিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি ছিল থানহাউসার কোম্পানি কর্তৃক প্রথম স্প্লিট-রিল; একটি একক রিলের মধ্যে এই চলচ্চিত্রটি ছাড়াও দ্য ওল্ড সু কাম ব্যাক অন্তর্ভুক্ত ছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭৩

গিজা পিরামিড চত্বর
গিজা পিরামিড চত্বর

গিজা পিরামিড চত্বর হচ্ছে মিশরের কায়রোর উপকন্ঠে গিজা মালভূমির উপর অবস্থিত একটি প্রত্নস্থল। প্রাচীন মিনার সম্বলিত এই চত্বরে আছে তিনটি পিরামিড কমপ্লেক্স যা গ্রেট পিরামিড নামে পরিচিত, গ্রেট স্পিংক্স নামে পরিচিত বিশাললাকৃতির ভাস্কর্য, বিভিন্ন কবরস্থান, একটি শ্রমিদকদের গ্রাম এবং একটি শিল্প চত্বর। এটি লিবিয় মরুভূমিতে অবস্থিত।, নীল নদের প্রায় ৯ কিলোমিটার (৫ মাইল) পশ্চিমে পুরনো গিজা শহরে এবং কায়রো শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার (৮ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। পশ্চিমাদের ধারণা পিরামিড ঐতিহাসিকভাবে প্রাচীন মিশরের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি, হেলেনীয় সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে, যখন সিদনের এন্তিপেতার একে প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য তালিকাভুক্ত করেন। এটা প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যসমূহের মধ্যে সব থেকে প্রাচীন এবং একমাত্র টিকে থাকা নিদর্শন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭৪

ব্যক্তিগত কম্পিউটার
ব্যক্তিগত কম্পিউটার

ব্যক্তিগত কম্পিউটার হল সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কম্পিউটার। এর আকার, ক্ষমতা এবং প্রকৃত দাম একজন ব্যক্তির জন্য উপযোগি এবং একজন ব্যবহারকারীর দ্বারা সরাসরি পরিচালিত হয় কোন তৃতীয় পক্ষ ছাড়া। এই ব্যবস্থাটি সময় অংশীদারি মডেল অথবা ক্রমানুসারে প্রক্রিয়াকারী ব্যবস্থার ঠিক বিপরীত কারণ অংশীদারি মডেল অথবা ক্রমানুসারে প্রক্রিয়াকারী ব্যবস্থায় বড়, দামি মিনি কম্পিউটার এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় যা একই সঙ্গে অনেক মানুষ ব্যবহার করে। বেশিরভাগ ব্যক্তিগত কম্পিউটারেই সফটওয়্যার এ্যাপ্লিকেশন, যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট, ডাটাবেস, ওয়েব ব্রাউজার এবং ইমেইল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারগুলো চলে। এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম চালনা, গেমস, নিজস্ব প্রয়োজনীয় উৎপাদনশীলতার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা সফটওয়্যার চালানো যায়। আধুনিক ব্যক্তিগত কম্পিউটারগুলোতে প্রায়শই ইন্টারনেট সুবিধা থাকে যা বিশ্ব বিস্তৃত ওয়েবে প্রবেশ করতে দেয় সাথে আরো অনেক ইন্টারনেট সম্পদ ব্যবহারের সুবিধাও থাকে। ব্যক্তিগত কম্পিউটার ল্যান তার বা তার বিহীন সংযোগের মাধ্যমে ল্যানের সাথে যুক্ত হতে পারে। একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার হতে পারে ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নেটবুক, ট্যাবলেট অথবা পামটপ। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭৫

পিংক ফ্লয়েড ব্রিটিশ রক ব্যান্ড, যারা তাদের দার্শনিক গানের কথা, সম্প্রসারিত সুরারোপ (কম্পোজিশন), ধ্বনিত নিরীক্ষণ এবং বিস্তৃত সরাসরি পরিবেশনার জন্য বিখ্যাত। দলটি রক মিউজিকের সবচেয়ে সফল এবং প্রভাবশালী ব্যান্ডগুলির মধ্যে একটি, যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৭৩.৫ মিলিয়ন এবং বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়নেরও অধিক অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। পিংক ফ্লয়েড ১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে সিড ব্যারেটের নেতৃত্বে সাইকেডেলিক ব্যান্ড হিসেবে মাঝারি সাফল্য অর্জন করেছিল। ব্যারেটের খেয়ালী আচরণের কারণে তার সহকর্মীরা গিটারবাদক ডেভিড গিলমোরের দ্বারা তার প্রতিস্থাপন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ব্যান্ডটি ১৯৭৩-এর দ্য ডার্ক সাইড অব দ্য মুন, ১৯৭৫-এর উইশ ইউ ওয়্যার হেয়ার, ১৯৭৭-এর অ্যানিমল্‌স এবং ১৯৭৯-এর দ্য ওয়াল সহ বিভিন্ন বিস্তৃত ধারণা অ্যালবাম প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী সাফল্য অর্জন করেছিল, যেগুলি শ্রেষ্ঠ-বিক্রি, সর্বাধিক সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত এবং রক সঙ্গীত ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী জনপ্রিয় অ্যালবাম হয়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালে দলটি মার্কিন রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমের এবং ২০০৫ সালে ইউকে মিউজিক হল অব ফেমের অর্ন্তভুক্ত হয়। পিংক ফ্লয়েডের সর্বশেষ স্টুডিও অ্যালবাম দি এন্ডলেস রিভার (২০১৪), যা মূলত তাদের অপ্রকাশিত সঙ্গীত উপাদানের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭৬

কাজল একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। মুম্বইয়ের মুখার্জী-সমর্থ পরিবারে জন্ম নেওয়া কাজল অভিনেত্রী তনুজা সমর্থ এবং চলচ্চিত্রনির্মাতা শমু মুখোপাধ্যায়ের কন্যা। তিনি ভারতের অন্যতম সফল এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। কর্মজীবনে বারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার মনোনয়নের মধ্যে ছয়টি পুরস্কার জিতেছেন। তার মাসী নূতনের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচবার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছেন তিনি। ২০১১ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মানিত পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৯২ সালে প্রণয়ধর্মী বেখুদি চলচ্চিত্রে। তার প্রথম বাণিজ্যিক সফল চলচ্চিত্র বাজীগর (১৯৯৩) এবং ইয়ে দিল্লাগি (১৯৯৪)। ১৯৯৭ সালে গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং ১৯৯৮ সালে দুশমন চলচ্চিত্র তাকে সমালোচনামূলক স্বীকৃতি এনে দেয়। ১৯৯৫ সালে দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে, ১৯৯৮ সালে কুছ কুছ হোতা হ্যায়, ২০০১ সালে কাভি খুশি কাভি গাম..., ২০০৬ সালে ফনা, এবং ২০১০ সালে মাই নেম ইজ খান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ২০১৫ সালে দিলওয়ালে তার সর্বাধিক উপার্জনকারী চলচ্চিত্র ছিল। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বিধবা নারী এবং শিশুদের নিয়ে কাজের জন্য ২০০৮ সালে তিনি কর্মবীর পুরস্কার লাভ করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭৭

স্যার আইজাক নিউটন ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগতে একক আধিপত্য করেছে। কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সাথে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার গবেষণার ফলেই সৌরকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়। নিউটন এবং গট‌ফ্রিড লাইব‌নিৎস যৌথভাবে ক্যালকুলাস নামে গণিতের একটি নতুন শাখার পত্তন ঘটান। এই নতুন শাখাটিই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে বিপ্লব সাধনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া নিউটন সাধারণীকৃত দ্বিপদী উপপাদ্য প্রদর্শন করেন, একটি ফাংশনের শূন্যগুলোর আপাতকরণের জন্য তথাকথিত নিউটনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন এবং পাওয়ার সিরিজের অধ্যয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত প্রথম এবং সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার, যেটি ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত এই গ্রন্থাগারের বর্তমান সংগ্রহ সংখ্যা চার লক্ষের অধিক। এটি বাংলাদেশের একটি প্রধান গবেষণা গ্রন্থাগার, যেখানে বিভিন্ন ভাষায় ও বিন্যাসে মুদ্রিত এবং ডিজিটাল সংস্করণে: বই, পাণ্ডুলিপি, সাময়িকী, সংবাদপত্র, পত্রিকা, উপাত্ত, গবেষণা, বিশ্বকোষ, অভিধান, হ্যান্ডবুক, ম্যানুয়েল, মানচিত্র সহ বিভিন্ন সংগ্রহ বিদ্যমান। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রায় আড়াইশ থেকে একশ বছরের মধ্যে অনুলিখিত প্রাচীন ভূজপত্র, তানপত্র, হাতে তৈরি তুলট কাগজ, তালপাতা ও বাঁশখণ্ডের উপর বাংলা, সংস্কৃত, পালি, আরবি, ফার্সি এবং উর্দু ভাষায় রচিত পাণ্ডুলিপি সংগহ এবং আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কর্তৃক সংগৃহীত ১৮৭২ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে প্রকাশিত প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরানো সাময়িকী। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৭৯

অ্যামান্ডা সাইফ্রেড

অ্যামান্ডা মাইকেল সাইফ্রেড হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল এবং সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ১১ বছর বয়সে মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং ১৫ বছর বয়সে সোপ অপেরা এজ দা ওয়ার্ল্ড টার্ন্স (১৯৯৯-২০০১)-এ অভিনয় শুরু করেন। ২০০৪ সালে মিন গার্লস-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অভিষেক ঘটে। পরবর্তীতে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে নাইন লাইভস (২০০৫) ও আলফা ডগ (২০০৬) চলচ্চিত্রে উপস্থিত হন তিনি। ভেরোনিকা মার্স (২০০৪-২০০৬) ইউপিএন টেলিভিশন ধারাবাহিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে এবং এইচবিওর বিগ লাভ (২০০৬-২০১১) টেলিভিশন ধারাবাহিকে মূল ভূমিকায় উপস্থিত হয়েছিলেন সাইফ্রেড। ২০০৮ সালে মাম্মা মিয়া! সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্রে এবং ২০১৮ সালে মামা মিয়া! হেয়ার উই গো অ্যাগেইন সিক্যুয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এছাড়াও তিনি সলস্টিস (২০০৮), জেনিফার'স বডি (২০০৯), ক্লোয়ি (২০০৯), ডিয়ার জন (২০১০), লেটারস টু জুলিয়েট (২০১০), রেড রাইডিং হুড (২০১১), ইন টাইম (২০১১), লে মিজেরাবল (২০১২), গন (২০১২), লাভলেস (২০১৩), দ্য বিগ ওয়েডিং (২০১৩), এবং সেথ ম্যাকফার্লেনের হাস্যরসাত্মক অ্যা মিলিয়ন ওয়েস টু ডাই ইন দা ওয়েস্ট (২০১৪) এবং টেড ২ (২০১৫) প্রভৃতি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি লোকার্নো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার, এমটিভি মুভি পুরস্কার, টিন চয়েস পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১০ সালে সাইফ্রেড ফোর্বসের "দ্য সেভেন্টিন স্টার টু ওয়াচ" তালিকায় যুক্ত হন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮০

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, যা সাধারণত বিমান নামে পরিচিত, বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি এবং জাতীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা। এটি প্রধানত ঢাকায় অবস্থিত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক রুটের পাশপাশি আভ্যন্তরীণ রুটেও যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন করে। বিশ্বের প্রায় ৪২ টি দেশের সাথে বিমানের আকাশ সেবার চুক্তি রয়েছে এবং বর্তমানে ১৬টি দেশে এর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিমানের প্রধান কার্যালয়ের নাম বলাকা ভবন, যেটি ঢাকার উত্তরাঞ্চলে কুর্মিটোলায় অবস্থিত। বিমান বাংলাদেশের যাত্রীদের অধিকাংশই হজ্জযাত্রী, পর্যটক, অভিবাসী এবং প্রবাসী বাংলাদেশী এবং সহায়ক সংস্থাগুলির ক্রিয়াকলাপসমূহ বিমান পরিবহন সংস্থার কর্পোরেট ব্যবসায়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ গঠন করে। ব্যাপক সংখ্যক বিদেশী পর্যটক, দেশীয় পর্যটক এবং প্রবাসী বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের সেবা প্রদানের জন্য দেশের পরিবহন খাতে 8% বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হারের অভিজ্ঞতা অর্জনকারী বাংলাদেশ বিমানের অন্যান্য বাংলাদেশী বেসরকারী বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৯৯৬ পর্যন্ত দেশে উড়োজাহাজ খাতের একক সংস্থা হিসেবে ব্যবসা চালায়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮১

চামেক হাউজ

চামেক হাউজ, ২৭৯ মিজ স্ট্রিট, এথেন্স, জর্জিয়া তে, ১৮৩৪ সালে জেমস চামেক নির্মাণ করেছিল এবং এটি জর্জিয়ার প্রথম রেলপথের ইতিহাস সৃষ্টি করে। যুক্তরাষ্ট্রীয় স্থাপত্যের একটি অনন্য নিদর্শন হিসাবে এটি বিবেচিত। এখানে বেসমেন্ট এবং রান্নাঘরে অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য আছে। উভয় ঘরের প্রধান মেঝেতে চারটি করে আলাদা কক্ষ আছে; সিঁড়িতে রয়েছে একটি মেহগনির রেলিং এবং এতে মোল্ডিং ছাঁটা একটি গ্রিক কী প্যাটার্ন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি দীর্ঘদিন একটি পারিবারিক বাড়ির মত ব্যবহৃত হওয়ার পর, এটি একটি স্থাপত্য লজ হিসাবে কোকা কোলা এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি কিনে নেয়। ১৯৭৫ সালে চামেক হাউস ঐতিহাসিক স্থানসমূহের জাতীয় নিবন্ধনে তালিকাবদ্ধ ছিল, কিন্তু তারপরও বিল্ডিংটি ভগ্নদশার মধ্যে পতিত হয়। পরে এটি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং এটি আইন অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হত। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বাড়িটি বিক্রি করা হয়। চামেক হাউস জর্জিয়ার ডব্লিউপিএ গাইড এর "সুদ পয়েন্ট" (যা জর্জিয়ান উপনিবেশিক স্থাপত্যবিদ্যা হিসাবে চিহ্নিত) হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে এথেন্সের ঐতিহাসিকগন এটিকে ঐতিহাসিক হিসবে চিহ্নিত করে। ঐতিহাসিকগন এটিকে আমেরিকান ইমারত সার্ভের নথিভুক্ত করে (জিএ-১৪-৬৭)। ৭ জুলাই, ১৯৭৫ তে, এটা ঐতিহাসিক স্থানসমূহের জাতীয় নিবন্ধনে যোগ করা হয়েছিল। ৬ মার্চ, ১৯৯০ তে, এটা স্থানীয়ভাবে একটি ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক হিসাবে মনোনীত হয়েছিল পরে জর্জিয়ার ঐতিহাসিক "মার্কার প্রোগ্রাম" দ্বারা স্বীকৃতি পায়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮২

রোলান্ড এমেরিখ

২০১২ হল ২০০৯ সালের মার্কিন দুর্যোগ চলচ্চিত্র, যেটি রচনা এবং পরিচালনা করেছেন রোলান্ড এমেরিখ। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন হ্যারাল্ড ক্লোজার, মার্ক গর্ডন এবং ল্যারি জে. ফ্রাঙ্কো। ক্লোসার এবং এমেরিখ যৌথভাবে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন এবং এটির প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছে যথাক্রমে সেন্ট্রোপলিস এন্টারটেইনমেন্ট ও কলাম্বিয়া পিকচার্স। মূল চরিত্রসমূহের অভিনয়ে ছিলেন জন কিউস্যাক, চুয়াটেল এজিওফর, অ্যামান্ডা পিট, অলিভার প্লাট, ট্যান্ডি নিউটন, ড্যানি গ্লোভার এবং উডি হ্যারেলসন। চলচ্চিত্রটিতে ভূতাত্ত্বিক অ্যাড্রিয়ান হেল্মস্‌লে (চুয়াটেল এজিওফর) আবিষ্কার করেন যে গ্রহগুলির দূরত্বের কারণে সৃষ্ট বিশাল সৌর বিস্তারণ ঘটার কারণে পৃথিবীর ভূত্বক অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে এবং এর ফলে সৃষ্ট চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্ব ধ্বংস হওয়ার মুহূর্তে ঔপন্যাসিক জ্যাকসন কার্টিসের (জন কুস্যাক) তার পরিবারকে নিরাপদ অবস্থানে আনার কাহিনি চিত্রায়ন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রে মায়াবাদ ও মেসোআমেরিকান লং কাউন্ট পঞ্জিকা থেকে সূত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ২০১২ সালের রাহস্যিক বিষয়ের আকস্মিক ও প্রচণ্ড পরিবর্তনের ঘটনা বর্ণনাকারে উন্মোচিত হয়েছে। শুরুতে লস অ্যাঞ্জেলেসে চিত্রধারণের পরিকল্পনা থাকলেও ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে ভ্যানকুভারে এটির চিত্রধারণ শুরু হয়। দীর্ঘসময়ব্যাপী প্রচারাভিযানের পর চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে ২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর মুক্তি পায়। মার্কিন$২০০ মিলিয়ন বাজেটের চলচ্চিত্রটি বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে মার্কিন$৭৬৯.৭ মিলিয়ন আয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের পঞ্চম সর্বোচ্চ-উপার্জনকারী চলচ্চিত্র হয়ে উঠে। সমালোচকদের অধিকাংশই চলচ্চিত্রটির নেতিবাচক সমালোচনা করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮৩

রোলান্ড এমেরিখ

হুমায়ুন আজাদ ছিলেন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, গবেষক, এবং অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক যিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কারবিরোধিতা, যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে তার বক্তব্যের জন্য ১৯৮০-এর দশক থেকে পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আজাদের ৭টি কাব্যগ্রন্থ, ১২টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৭টি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ, ৮টি কিশোরসাহিত্য ও অন্যান্য প্রবন্ধসংকলন মিলিয়ে ৬০টিরও অধিক গ্রন্থ তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালে তার নারীবাদী গবেষণা-সংকলনমূলক গ্রন্থ নারী প্রকাশের পর বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সাড়ে চার বছর ধরে বইটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ছিল। এছাড়াও তার পাক সার জমিন সাদ বাদ (২০০৪) উপন্যাসটি পাঠকমহলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। তার রচিত প্রবচন সংকলন ১৯৯২ সালে হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ নামে প্রকাশিত হয়। তাকে ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১২ সালে সামগ্রিক সাহিত্যকর্ম এবং ভাষাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮৪

হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বিজ্ঞান কল্পকাহিনির পথিকৃৎ। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনাসহ একাধিক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮৫

রিভারভিউ থিয়েটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের হাউই আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি অভ্যন্তরীণ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ। লিবেনবার্গ এবং কাপলান দ্বারা নকশাকৃত প্রেক্ষাগৃহটি ১৯৪৮ সালে প্রেক্ষাগৃহ মালিক বিল এবং সিডনি ভোক কর্তৃক তৈরি হয়। কিছু অত্যাধুনিক ধরনের প্রেক্ষাগৃহ তৈরির পর ভোক ভ্রাতৃদ্বয় ১৯৫৬ সালে রিভারভিউতে ফিরে আসেন এবং এটির লবির জায়গাটিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নবায়ন ও হালনাগাদ করেন। রিয়ারভিউ মিনিয়াপোলিস–সেইন্ট পল এলাকার টিকে থাকা গুটিকয়েক একক পর্দার চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের একটি এবং সাধারণত ২ ডলার বা ৩ ডলার দিয়ে দ্বিতীয়বার চলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে। ২০০০-এর দশকের প্রথম থেকে এটি সিটি পেজেস কর্তৃক এলাকার অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ হিসেবে নিয়মিত স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮৬

কম্পিউটার বিজ্ঞান জ্ঞানের একটি শাখা যেখানে তথ্যগণনার তাত্ত্বিক ভিত্তির গবেষণা করা হয় এবং কম্পিউটার নামক যন্ত্রে এসব গণনা সম্পাদনের ব্যবহারিক পদ্ধতির প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞান ক্ষেত্রে গবেষণাকারী বিজ্ঞানীদেরকে "কম্পিউটার বিজ্ঞানী" বলা হয়। একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী গণনার তত্ত্ব ও সফটওয়্যার পদ্ধতির নকশার ব্যবহার সম্পর্কে অধ্যয়ন করেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানকে প্রায়শই অ্যালগরিদমীয় পদ্ধতির একটি বিধিবদ্ধ অধ্যয়ন হিসেবে অভিহিত করা হয়, যে পদ্ধতির সাহায্যে তথ্য সৃষ্ট, বর্ণিত ও পরিবর্তিত হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞানের অনেক উপশাখা আছে। কিছু শাখা, যেমন কম্পিউটার গ্রাফিক্‌সে নির্দিষ্ট ফলাফল গণনাটাই মূল লক্ষ্য। আবার কিছু শাখা, যেমন গণনামূলক জটিলতা তত্ত্বে বিভিন্ন গণনা সমস্যার বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করাই আলোচ্য। এছাড়াও কিছু শাখা আছে যেখানে বিভিন্ন ভৌত ব্যবস্থায় গণনা বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি সমূহ আলোচিত হয়; যেমন প্রোগ্রামিং ভাষা তত্ত্বে একটি গণনামূলক পদ্ধতিকে কীভাবে কম্পিউটারের ভাষায় প্রকাশ করা যায় তা আলোচনা করা হয়। কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গণনামূলক সমস্যা সমাধান করে থাকেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮৭

কলকাতা হল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক) ৬০ থেকে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বইনতুন দিল্লির ঠিক পরেই। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮৮

সারাহ ভিঞ্চি হলেন একজন ১ পয়েন্ট হুইল চেয়ার বাস্কেটবল খেলোয়াড়, যিনি অস্ট্রেলীয় জাতীয় মহিলা হুইলচেয়ার বাস্কেটবল লীগে পার্থ ওয়েস্টার্ন স্টার্সের হয়ে খেলে থাকেন। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থে জন্মগ্রহণকারী ভিঞ্চি স্পাইনা বাইফিডায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে হুইল চেয়ার বাস্কেটবল খেলা শুরু করেন। ভিঞ্চি ২০০৯ সালে পার্থ ওয়েস্টানর্স স্টার্সের হয়ে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় মহিলা হুইলচেয়ার বাস্কেটবল লীগে খেলা শুরু করেন এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত স্টার্সের হয়ে খেলেছেন। ২০১১ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত ওসাকা কাপে তার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক ঘটে। সেখানে তিনি হুইল চেয়ার বাস্কেটবলের গ্লিডার্স নামে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া জাতীয় মহিলা হুইর চেয়ার বাস্কেটবল দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০১১ এশিয়া ওসেনিয়া আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশীপ, ২০১১ অনূর্ধ্ব-২৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ২০১২ বি.টি. প্যারালিম্পিক বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। ভিঞ্চি ২০১২ গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিকে অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এই প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অংশগ্রহণ করে রৌপ্য পদক অর্জন করেন। তার সাম্প্রতিকালের সেরা আন্তর্জাতিক অর্জন হল ২০১৩ ওসাকা কাপ। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৮৯ হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র বড় ভালো লোক ছিল-এর একটি গান। ধীর-লয়ের এই মরমী সংগীতের গীতিকার ছিলেন খ্যাতনামা সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হকআলম খানের সুর ও সংগীত আয়োজনে এই গানে কন্ঠ দেন এন্ড্রু কিশোর। চলচ্চিত্রে এই গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলান অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। এই গানের দৃশ্যায়নে প্রবীর মিত্রও ছিলেন। মানব জীবনের অবধারিত পরিণতি এই গানের মুখ্য বিষয়। গানটির গীতি কতিপয় দেশী বাংলা শব্দ ব্যবহারের জন্য আলোচিত। গীতি রচনা করার ক্ষেত্রে সৈয়দ শামসুল হক রবীন্দ্র সঙ্গীতনজরুল গীতিতে ব্যবহার হয়নি, এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন। এই গানটির সঙ্গীতায়োজন ও কণ্ঠদানের জন্য আলম খান এবং এন্ড্রু কিশোর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯০

পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। ৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল এই গ্রহের বায়ুমণ্ডল ও অন্যান্য অজৈবিক অবস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বায়ুজীবী জীবজগতের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে, অন্যদিকে তেমনি ওজন স্তর গঠিত হয়েছে। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে একযোগে এই ওজন স্তরই ক্ষতিকর সৌর বিকিরণের গতিরোধ করে গ্রহের বুকে প্রাণের বিকাশ ঘটার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে। পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে। মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে সূর্য ও চাঁদের সঙ্গে এই গ্রহের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে পৃথিবী নিজ কক্ষপথে মোটামুটি ৩৬৫.২৬ সৌর দিনে বা এক নক্ষত্র বর্ষে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯১

ডেমেট্রিয়া ডেভন লোভাটো হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা এবং গীতিকারবার্নি এন্ড ফ্রেন্ডসের ৭ম এবং ৮ম মৌসুমে একজন শিশু অভিনেত্রী হিসেবে টেলিভিশনে অভিষেকের পর তিনি ২০০৮ সালে ডিজনি চ্যানেলের টেলিভিশন চলচ্চিত্র ক্যাম্প রকে অভিনয় করার মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছেন। একই সময় লোভাটো তার কর্মজীবনের প্রথম গান দিস ইজ মি প্রকাশ করেন, যেটি বিলবোর্ড হট ১০০-এ সর্বোচ্চ ৯ নম্বর স্থান অধিকার করে। ক্যাম্প রক চলচ্চিত্রটির এবং এর অ্যালবামের সফলতার ফলে হলিউড রেকর্ডস লোভাটোর সাথে একটি রেকর্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করে। তার প্রথম অ্যালবাম ডোন্ট ফরগেট (২০০৮) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড ২০০-এর ২ নম্বর স্থানে অভিষেক করেছিল। তিনি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে একটি এমটিভি ভিডিও মিউজিক পুরস্কার, ১৪টি টিন চয়েস পুরস্কার, ৫টি পিপল’স চয়েজ পুরস্কার, ১টি আলমা পুরস্কার এবং ২টি ল্যাটিন আমেরিকান মিউজিক পুরস্কার উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি একজন গিনেস বিশ্ব রেকর্ডধারী এবং ২০১৭ সালে টাইম পত্রিকায় প্রকাশিত ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯২

শাহরুখ খান হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবসেবী। গণমাধ্যমে "বলিউডের বাদশাহ", "বলিউডের কিং" ও "কিং খান" হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান ৮০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে চৌদ্দটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, যার আটটিই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে এবং ফ্রান্স সরকার তাকে অর্দ্র দে আর্ত এ দে লেত্র ও লেজিওঁ দনর সম্মাননায় ভূষিত করে। অভিনেতা হিসেবে বৈশ্বিক অবদানের জন্য শাহরুখ খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করেছে স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। এশিয়ায় ও বিশ্বব্যাপী ভারতীয় বংশোদ্ভূত তার প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ভক্ত রয়েছে এবং তার মোট অর্থসম্পদের পরিমাণ ২৫০০ কোটি রুপি-এরও বেশি। ওয়েলথ-এক্স সংস্থার বিচারে বিশ্বের সবথেকে ধনী হলিউড, বলিউড তারকার তালিকায় শাহরুখ খান দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। দর্শক ও আয়ের দিক থেকে তাকে বিশ্বের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র তারকা বলে অভিহিত করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯৩

সালাম বম্বে! ১৯৮৮ সালের ভারতীয় হিন্দি অপরাধ-নাট্য চলচ্চিত্র, যেটি রচনা, সহ-প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছেন মীরা নায়ার। নায়ারের গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তার দীর্ঘকালীন সৃজনশীল সহযোগী সোনি তারাপোরেভেলা। চলচ্চিত্রটি ভারতের বৃহত্তম শহর বম্বের (বতর্মানে মুম্বই) বস্তিগুলিতে বাস করা শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের ইতিহাস চিত্রায়নের পাশাপাশি ভারতে সংগঠিত অপরাধচিত্র তুলে ধরেছে। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শফিক সাইয়েদ, রঘুবীর যাদব, অনিতা কানওয়ার, নানা পাটেকর, হাসনা ভিতাল এবং চন্দ শর্মা। নায়ারের এই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা ছিল বম্বের পথশিশুদের উদ্দীপনা। ১৯৮৮ সালের শুরুতে নির্মাণ শুরু হয়েছিল, এবং জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন চলচ্চিত্রটির সহ-অর্থায়ন করেছিল। ১৯৮৮ সালের ৬ অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী মুক্তির পর $৪৫,০০,০০০ মার্কিন ডলারে নির্মিত চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে প্রায় $৭৪,৩৪,১৭৬ মার্কিন ডলার আয় করে। এটি ১৯৮৮ সালে ৬১তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতের নিবেদিত দ্বিতীয় মনোনীত চলচ্চিত্র। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৮ কান চলচ্চিত্র উৎসবে আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনীর পর সালাম বম্বে! গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনামূলক প্রশংসা অর্জন করে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি ক্যামেরা দ'র (গোল্ডেন ক্যামেরা) ও দর্শক পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার, এবং মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। চলচ্চিত্রটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের "সর্বকালের নির্মিত সেরা ১,০০০ চলচ্চিত্রের" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯৪

পশ্চিমাঞ্চলীয় সবুজ মাম্বা এলাপিড পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এরা পশ্চিম আফ্রিকার সবুজ মাম্বা বা হ্যালোওয়েলস সবুজ মাম্বা নামেও পরিচিত। মাম্বা গোত্রীয় এই পশ্চিমাঞ্চলীয় সবুজ মাম্বা প্রজাতির সাপ দীর্ঘ, সরু এবং অতিমাত্রায় বিষধর। ১৮৪৪ সালে আমেরিকান সরীসৃপ-উভচর বিদ এডওয়ার্ড হ্যালোওয়েল প্রথম এই প্রজাতি (ডেন্ড্রোয়াস্পিস) সাপের বর্ণনা করেন। তার নামানুসারেই হ্যালোওয়েলস গ্রিন মাম্বা নামটি। পশ্চিমাঞ্চলীয় সবুজ মাম্বা অতি দীর্ঘকায় ও মুখ্যতঃ বৃক্ষবাসী। এরা গাছের বিভিন্ন অংশে দ্রুত এবং সাবলীলভাবে চলাফেরা করতে পারে। তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণী তথা ইঁদুর, গারবিলাস ও অন্যান্য ক্ষুদ্রাকার স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শিকার করার উদ্দেশ্যে এই প্রজাতির সাপেরা মাটিতে নেমে আসে। পশ্চিমাঞ্চলীয় সবুজ মাম্বা অত্যন্ত সতর্ক, ভীরু এবং অতিমাত্রায় ক্ষিপ্র ও দ্রুতগামী সাপ। এদের বসবাস প্রধানত পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলবর্তী বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলের বনের ঘন ঝোপঝাড়ে এবং জঙ্গলে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯৫

আল-আকসা মসজিদ, যা মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত, জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলাকুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। এছাড়াও স্থানটি "টেম্পল মাউন্ট" বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাহমিয়ার মতে, আসলে সুলায়মান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা। মুহাদ্দিসগণ (হাদিস বিষয়ে পণ্ডিত) এই বিষয়ে একমত যে সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটিই ইসলামের নবী সুলাইমান (আঃ) তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মুসলমানরা বিশ্বাস করে, নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) (খ্রিস্টধর্মে যিশু) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯৬

হট চকলেট গরম কোকো নামেও পরিচিত শক্ত চকলেট, গলানো চকলেট বা কোকো, উত্তপ্ত দুধ বা পানি এবং চিনির সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের উত্তপ্ত পানীয়। গলানো চকলেট দিয়ে তৈরি এই হট চকলেটকে কখনও কখনও বেভারেজ চকলেট বা পানীয় চকোলেটও বলা হয়। এটি কম মিষ্টি জাতীয় এবং ইহা কম ঘন চকলেট দ্বারা তৈরি করা হয়। প্রথম চকলেটের পানীয় আনুমানিক প্রায় ২,০০০ বছর আগে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হয় এবং কোকোয়া হতে তৈরি পানীয় ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে অ্যাজটেক সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ ছিল। এ পানীয় নিউ ওয়ার্ল্ড মেক্সিকো থেকে চালু হওয়ার পর ইউরোপে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং তারপর থেকে এর একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। ১৯ শতকে হট চকলেট বিভিন্ন রোগ যেমন যকৃত এবং পেটের রোগের চিকিৎসায় ডাক্তারি কাজের উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হত। খুব পুরু চকোলেট ইতালিতে "ডেনসা" এবং স্পেনে "লা তাজা" নামে পরিবেশিত হয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাতলা গরম কোকোসহ হট চকোলেট খাওয়া হয় যা একাধিক বিচিত্রতা নিয়ে তৈরি করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯৭

গাজরের স্যুপ গাজর থেকে তৈরি স্যুপ। এই স্যুপ তৈরির প্রাথমিক উপাদান গাজর হলেও এর পাশাপাশি শাকসবজি, মূলের সবজি এবং অন্যান্য বিভিন্ন উপাদান এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি ক্রিম বা ঝোলজাতীয় স্যুপ হিসাবে প্রস্তুত করা যায়, এটি কেমন হবে তা নির্ভর করে এর প্রস্তুতপ্রণালীর উপর। বিভিন্ন রন্ধনশৈলীতে প্রস্তুত গাজরের স্যুপ গরম কিংবা ঠান্ডা উভয়ভাবেই পরিবেশন করা যায়। গাজরের স্যুপ ফরাসি রান্নায় ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় দুই ধরনের খাবার হিসেবে পরিচিত। ১৩৪৬ সালের ২৬শে আগস্ট ক্রিসির যুদ্ধের স্মরণে রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড এই স্যুপ খাওয়ার প্রচলন করেছিলেন। অস্ট্রিয় চিকিৎসকশিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যপক আর্নস্ট মোরো গাজরের স্যুপ আবিষ্কার করেছিলেন, যা অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াজনিত ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯৮

গোশিন হল জন নাকা কর্তৃক তৈরিকৃত একটি বনসাই বন। এটি একটি হাতে লাগানো ফোমিনা জুনিপার্সের বন, যা নাকা ১৯৪৮ সালে যখন তিনি বনসাইয়ের প্রশিক্ষণ শুরু করেন তখন লাগিয়েছিলেন। ১৯৫৩ সালে একটি প্রদর্শনী চলাকালে, নাকা তার বনসাই শ্রেণীর জন্য প্রথাগত লম্ব পদ্ধতিতে একটি ফোমিনিয়া তৈরি করেন। নাকা ১৯৮৪ সালে এটি জাতীয় বনসাই ফাউন্ডেশনকে দান করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আরবোরেটুমে প্রদর্শন করা হয়। সাতটি গাছের একটি বনসাই তৈরি করতে তিনি শীঘ্রই আরও তিনটি গাছ যোগ করেন। এছাড়াও নাকা পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে পাত্র পরিবর্তন করেছিলেন- যার অভাবের কারণে গাছগুলোর একটি মরে এবং তা বারবার প্রতিস্থাপন করতে হত। নাকার সাতজন নাতি ছিল এবং গাছগুলো পৃথকভাবে একেকটি নাকার একেকজন নাতিদের প্রতিনিধিত্ব করে। সহযোগী বনসাই শিল্পিদের অনুরোধে তার এ সংকলনের নাম দেন গোশিন, যার অর্থ আত্মার রক্ষক। তিনি কবরস্থানের বন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে এ নামকরণ করেন বলে মনে করা হয়। ১৯৭৩ সালে নাকার ১১ জন নাতি ছিল এবং তিনি গোশিনের সাদৃশ রক্ষা করতে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


৯৯

রেবন্ত বা রাইভত হলেন একজন হিন্দু দেবতা। ঋগ্বেদ অনুযায়ী, রেবন্ত হলেন প্রধান সৌর দেবতা সূর্য এবং তার স্ত্রী সরণ্যুর কনিষ্ঠ সন্তান। রেবন্তের জন্মের উপাখ্যান বিষ্ণু পুরাণ এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার কন্যা সংজ্ঞা ছিলেন সূর্যের পত্নী। তিনি সূর্যের অনুগ্রহ লাভে বঞ্চিত হয়ে নিজের প্রতিচ্ছায়া ছায়াকে সূর্যের কাছে রেখে বনে গিয়ে এক ঘোটকীর রূপ ধারণ করে কঠোর তপস্যায় রত হন। ছায়া যে সংজ্ঞা নন, সে কথা বুঝতে পেরে সূর্য সংজ্ঞাকে খুঁজতে বের হন এবং উত্তর কুরুতে তাঁর সাক্ষাৎ পান। তারপর তিনি ঘোড়ার ছদ্মবেশে তাঁর সঙ্গে মিলিত হন এবং তাঁদের মিলনের ফলে যমজ অশ্বিনীকুমার এবং রেবন্তের জন্ম হয়। রেবন্ত হলেন যক্ষ প্রভৃতি উপদেবতা ও দানবীয় সত্ত্বা গুহ্যকদের প্রধান। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এই যক্ষেরা হিমালয়ের বনাঞ্চলে বাস করেন। রেবন্তের প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্যে প্রায়শই তাঁকে ধনুর্বানধারী অশ্বারোহী এক শিকারী পুরুষের রূপে দেখা যায়। রেবন্তকে যোদ্ধা ও অশ্বের রক্ষক, অরণ্যের বিপদে ত্রাণকর্তা ও শিকারীদের রক্ষাকর্তা হিসেবে পূজা করা হত। তাঁর পূজার সঙ্গে সূর্যোপাসক সৌর সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণকালিকা পুরাণের মতো কয়েকটি গ্রন্থে সূর্য দেবতার সঙ্গে রেবন্তের অথবা সূর্যপূজার বিধি অনুযায়ী রেবন্তের পূজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সভা-কল্প-দ্রুম গ্রন্থের বিবরণ থেকে জানা যায়, যোদ্ধাদের দ্বারা হিন্দু মাস আশ্বিন মাসে যোদ্ধারা সূর্যপূজার পর রেবন্তের পূজা করতেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০০

বাংলা ভাষা একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের চতুর্থ ও বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতস্তোত্র বাংলাতে রচিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০১

মুখতার ইবনে আবি উবায়েদ আল সাকাফি কুফা কেন্দ্রীক একজন আলীয়পন্থী বিপ্লবী। তিনি ৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং দ্বিতীয় ইসলামি গৃহযুদ্ধের সময় আঠারো মাসের জন্য ইরাকের অধিকাংশ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। তায়েফে জন্মগ্রহণ করা মুখতার শৈশবে ইরাকে চলে আসেন এবং কুফায় বেড়ে ওঠেন। ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে কারবালার যুদ্ধে উমাইয়া বাহিনীর হাতে ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নাতি হোসাইন ইবনে আলীর মৃত্যুর পর মক্কায় বিদ্রোহী খলিফা আব্দুল্লাহ ইবনে আল জুবায়েরের সাথে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য জোটবদ্ধ হন। মুখতার কুফায় ফিরে এসে খলিফা আলীর (শা. ৬৫৬–৬৬১) সন্তান ও হোসাইনের ভাই মুহাম্মদ ইবনে আল হানাফিয়াকে মাহদীইমাম ঘোষণা করেন এবং আলীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা ও হোসাইন হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের ডাক দেন। জুবায়েরিয় গভর্নরকে বহিষ্কারের পর ৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে তিনি কুফা দখল করেন এবং পরে হোসাইনের হত্যাকান্ডে জড়িতদের হত্যার আদেশ দেন। ইবনে আল জুবায়েরের সাথে বিরূপ সম্পর্কের জেরে চার মাস অবরোধের পর বসরার জুবায়েরিয় গভর্নর মাস'আব ইবনে আল জুবায়েরের হাতে তিনি নিহত হন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০২

মাটির ময়না ২০০২ সালের বাংলাদেশী বাংলা যুদ্ধভিত্তিক নাট্য চলচ্চিত্র। এটি রচনা এবং পরিচালনা করেছেন তারেক মাসুদ। এটি তারেক পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তারেকের গল্প অবলম্বনে যৌথভাবে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তারেক এবং ক্যাথরিন মাসুদ। চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে তারেক মাসুদের ছেলেবেলার অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে। চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নুরুল ইসলাম বাবলু, রাসেল ফরাজী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, শোয়েব ইসলাম এবং লামিসা আর রিমঝিম। পুরো চলচ্চিত্র জুড়ে ঐতিহাসিক ঘটনার উদ্ধৃতি থাকলেও সেগুলো একটি কিশোরের মানবিক অভিজ্ঞতায় প্রকাশিত হয়েছে। মাদ্রাসায় তার শিক্ষক, সহপাঠীদের আচরণ আর পরিবারের সদস্যদের সাথে তার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটির কাহিনি এগিয়ে যায়। ফরাসি সরকারের প্রাথমিক অর্থায়নে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ২০০২ সালের ১৫ মে ৫৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটির আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী হয়। ক্যাথরিন মাসুদের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর বক্স অফিসে প্রায় মার্কিন$৪৬,৮৫২ মার্কিন ডলার আয় করে। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বহিষ্কারাদেশ বাতিলের পর ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল লেজার ভিশন চলচ্চিত্রটির ভিসিডি এবং ডিভিডি সংস্করণ মুক্তি দেয়। ২০০২ সালে প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে মাটির ময়না কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট আয়োজনে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে ফিপরেস্কি আন্তর্জাতিক সমালোচকদের পুরস্কার লাভ করে। ২০০৪ সালে চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীশ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও ২৪তম বাচসাস পুরস্কার অনুষ্ঠানে পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার সহ বিভিন্ন দেশিয়-আন্তর্জাতিক পুরস্কার জেতে। এটি ২০০২ সালে ৭৫তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশের নিবেদিত প্রথম চলচ্চিত্র। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০৩

ক্যাথরিন হৌটন হেপবার্ন ছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ষাট বছরের অধিক সময় হলিউডের প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন। তিনি স্কুবল কমেডি থেকে শুরু করে সাহিত্যিক নাট্যধর্মীসহ অনেক ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাকে ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রের সেরা নারী তারকা বলে ঘোষণা দেয়। তিনি তার উগ্র স্বাধীনতা, প্রফুল্ল ব্যক্তিত্ব এবং নারীদের সীমানা অতিক্রমের জন্য পরিচিত। কানেটিকাটে প্রগতিশীল পিতামাতার ঘরে বেড়ে ওঠা হেপবার্ন ব্রিন মার কলেজে অধ্যয়নকালীন অভিনয় শুরু করেন। ব্রডওয়ে থিয়েটারে চার বছর অভিনয় করে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর তিনি হলিউডে মনোনিবেশ করেন। চলচ্চিত্রে তার শুরুর বছরগুলোতে তিনি সফলতা অর্জন করেন এবং তার অভিনীত তৃতীয় চলচ্চিত্র মর্নিং গ্লোরি (১৯৩৩) দিয়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তবে সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হলেও ধারাবাহিক বাণিজ্যিক ব্যর্থতার পর তিনি ক্যারি গ্র্যান্টের সাথে ব্রিংগিং আপ বেবি (১৯৩৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

টি. বি. ব্ল্যাকস্টোন মেমোরিয়াল গ্রন্থাগার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় অবস্থিত শিকাগো গণগ্রন্থাগার সংস্থার অংশ। এটি টিমোথি ব্ল্যাকস্টোনের নামে নামকরণ করা হয়েছে। শিকাগোর স্থপতি সোলন এস. বিমার ভবনটির নকশা প্রণয়ন করেছেন। বর্তমানে এটি "শিকাগো গণগ্রন্থাগার - ব্ল্যাকস্টোন শাখা" হিসেবে পরিচিত এবং সাধারণভাবে একে ব্ল্যাকস্টোন গ্রন্থাগার, বা ব্ল্যাকস্টোন শাখা এবং কখনো সংক্ষেপে ব্ল্যাকস্টোন বলা হয়। ১৯০২ সালে কনকর্ড গ্রানাইট ভবনের দুই বছর ব্যাপী নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ১৯০৪ সালের ৮ জানুয়ারি সম্পন্ন করা হয়। এটি শিকাগো গণগ্রন্থাগার সংস্থার প্রথম শাখা, এবং সংস্থাটির ৭৯টি শাখার মধ্যে একমাত্র শাখা যা ব্যক্তিগত তহবিলের সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে। ভবনটি শিকাগোর কুক কাউন্টির কেনউড কমিউনিটি এলাকায় অবস্থিত এবং হাইড পার্ক, কেনউড ও ওকল্যান্ড কমিউনিটি এলাকায় সেবা প্রদান করে। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে। বর্তমানে গ্রন্থাগারটি ব্রোঞ্জমেহগনি দিয়ে সজ্জিত এবং যার বৃত্তাকার ছাদে চিত্রকর্মে সজ্জিত। গ্রন্থাগারটি বিশেষভাবে তৈরি আসবাবপত্রে সজ্জিত এবং জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত ওয়াই-ফাই সেবা প্রদান করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০৫

পশ্চিমভাগ তাম্রশাসন বা চন্দ্রপুর তাম্রশাসন মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে প্রাপ্ত একটি তাম্রশাসন। এটি দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার চন্দ্রবংশীয় রাজাদের প্রণীত ও এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বারোটি তাম্রশাসনের অন্যতম। চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্রীচন্দ্র রাজত্বের পঞ্চম বর্ষে, আনুমানিক ৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে, ব্রাহ্মণদের ভূমিদানের দলিলস্বরূপ শাসনটি জারি করেন। ১৯৬০ এর দশকে আবিষ্কারের পর কমলাকান্ত গুপ্ত উত্তরবঙ্গীয় নাগরী লিপিতে সংস্কৃত ভাষায় লেখা শাসনটির পাঠোদ্ধার করেন। তাম্রশাসনে বৌদ্ধধর্মীয় রাজা শ্রীচন্দ্র ছয় হাজার ব্রাহ্মণকে জমি অনুদান দেন, যা ইতিহাসবিদদের মতে অনন্য। শাসনে শ্রীহট্ট অঞ্চলের নয়টি মঠে ভূমি অনুদানের মাধ্যমে শ্রীচন্দ্র নিজ নামে অধুনালুপ্ত চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন বলে ধারণা করা হয়। পশ্চিমভাগ শাসনের মাধ্যমেই চন্দ্র রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। এছাড়া শাসনটি সমকালীন পাল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থা, বিশেষ করে সাম্রাজ্যে কম্বোজ রাজবংশের উত্থানের ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। সিলেট বা তৎকালীন শ্রীহট্টের পুণ্ড্রবর্ধনে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি পশ্চিমভাগ তাম্রশাসন থেকে মধ্যযুগীয় বাংলার সমাজব্যবস্থা সম্পর্কেও ব্যাপক ধারণা পাওয়া যায়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০৬

অপারেশন পাইথন হচ্ছে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় অপারেশন ট্রাইডেন্টের পর পশ্চিম পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচীতে ভারতীয় নৌবাহিনী পরিচালিত একটি নৌ-হামলার ছদ্মনাম। করাচী বন্দরে অপারেশন ট্রাইডেন্টের প্রথম হামলার পর প্রচুর ভারতীয় নৌ-জাহাজের উপস্থিতি দেখে অন্য আরেকটি হামলা পরিকল্পনার কথা আশঙ্কা করে পাকিস্তান তাদের উপকূলবর্তী এলাকায় আকাশপথে নজরদারি জোরদার করে এবং বাণিজ্য জাহাজের সাথে যুদ্ধ জাহাজ মিশিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭১ সালের ৮/৯ ডিসেম্বর ভারত অপারেশন পাইথন পরিচালনা করে। তারা একটি মিসাইল বোট এবং দুইটি ফ্রিগেট নিয়ে করাচী উপকূলের অদূরে নোঙর করা জাহাজগুলোকে আক্রমণ করে। ভারতের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পাকিস্তানি ফ্লিট ট্যাংকার পিএনএস ঢাকা মেরামতের অযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কিমারি তেল সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও এই হামলায় করাচীতে নোঙর করা দুইটি বিদেশি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। (বাকি অংশ পড়ুন)


১০৭

ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া বাংলা ভাষায় রচিত চলচ্চিত্রের একটি গান। এই গানটি ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সারেং বৌ চলচ্চিত্রের অন্তর্গত। এই গানের গীতিকার ছিলেন মুকুল চৌধুরী। আলম খানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় এই গানে কন্ঠ দেন সংগীতশিল্পী আব্দুল জব্বারঢাকার ইপসা রেকর্ডিং স্টুডিওতে ধারণকৃত গানটির সঙ্গীতায়জনে নিরীক্ষামূলক রাগ সঙ্গীতের সাথে গ্রামীণ সুরের মিশ্রন আছে। চলচ্চিত্রে সারেং বউয়ের স্বামী বাড়ি ফিরে আসছেন এমন একটি স্বপ্নে এই গানের ব্যবহার করা হয়েছে। ফারুক এই গানের দৃশ্যায়নে ঠোঁট মিলান, যিনি এই ছবিতে সারেংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। জনপ্রিয়তার নিরিখে গানটির কয়েকবার পুনরুৎপাদন হয়েছে। গানটি আরটিভি কর্তৃক স্বর্ণযুগের সেরা বাংলা নাগরিক গান হিসেবে স্বীকৃত। (বাকি অংশ পড়ুন)


১০৮

আপেলসস কেক এক প্রকার মিষ্টি কেক যা প্রাথমিক উপাদান হিসাবে আপেল সস, ময়দা এবং চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। সাধারণত বিভিন্ন মশলা ব্যবহৃত এই কেক প্রায়শই আর্দ্র হয়ে থাকে। প্রস্তুতিতে বেশকয়েকটি অতিরিক্ত উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি কখনও কখনও কফি কেক হিসেবে পরিবেশন এবং প্রস্তুত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম উপনিবেশিক সময়ে এই কেকের প্রচলন শুরু হয়। প্রতি বছর ৬ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় আপেলসস কেক দিবস পালন করা হয়। আপেলসস কেক প্রস্তুতিটি উত্তর-পূর্ব আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ডের কলোনিতে প্রাথমিক উপনিবেশিক সময়ে শুরু হয়। ১৯০০ থেকে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত, আপেলসস কেকের প্রস্তুতপ্রণালি প্রায়শই আমেরিকান রান্নার বইগুলিতে উপস্থিত হত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ জুন, জাতীয় আপেলসস কেক দিবস উদ্যাপন করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১০৯

খঞ্জর হচ্ছে ওমানে প্রথম তৈরী একধরনের ঐতিহ্যবাহী চাকু। এটি দেখতে অনেকটা ইংরেজি অক্ষর “J”-এর মত বক্রাকৃতির নাতিদীর্ঘ তলোয়ারের অনুরুপ, যা পুরুষেরা বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে পরিধান করে থাকে। মানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে এটি তৈরী করা হয়। ওমানের বাজারগুলোতে এটি বিক্রি করা হয়ে থাকে এবং ভ্রমণের স্মারকচিহ্ন হিসেবে পর্যটকদের মধ্যে এটি জনপ্রিয়। সুলতানাতের ঐতিহ্যের প্রতীক খঞ্জর ওমানের জাতীয় প্রতীক ও ওমানি রিয়ালে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও এটিকে ওমানের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগো এবং বিজ্ঞাপনী চিত্রকল্পগুলোতেও দেখা যায়। ওমানি খঞ্জর প্রথম কবে তৈরী হয়েছিল তা জানা না গেলেও ওমানের রুস'আস জিবাল অঞ্চলের মধ্যভাগে অবস্থিত সমাধিফলকে পাথরের খচিত খঞ্জরের যেসব চিত্র পাওয়া গিয়েছে সেগুলো ১৭০০ শতকের শেষদিকে সংঘঠিত ওয়াহাবি আন্দোলনের পুণর্জাগনের পূর্বের সময়কার বলে ধারণা করা হয়। ১৬৭২ খ্রিষ্টাব্দের জুনে মাস্কাট সফর করা ডাচ প্রজাতন্ত্রের রবার্ট প্যাডব্রাগের বর্ণনায়ও খঞ্জরের উল্লেখ রয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১১০ এ কে এম মিরাজ উদ্দিন ছিলেন একজন বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৬৩ হতে ১৯৭০ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া আসরসমূহে মল্লক্রীড়ার হার্ডলস, পোল ভল্টদীর্ঘ লম্ফ খেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত সাফল্য অর্জন করেন এবং এসব খেলায় জাতীয় রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন। তিনি খেলোয়াড়ি জীবনে জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব সময়ের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ গণ্য করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন)


১১১

এ ফ্রি রাইড

এ ফ্রি রাইড ( গ্রাস স্যান্ডউইচ নামেও পরিচিত) নির্বাক যুগের গোপনে ধারণকৃত হার্ডকোর পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত সবচেয়ে পুরনো হার্ডকোর পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচিত। এই চলচ্চিত্রে একজন গাড়িচালককে দেখানো হয়েছে যিনি রাস্তার পাশে থেকে দুজন নারীকে উঠিয়ে নিয়ে যান অতঃপর তাদের সাথে বেশ কয়েকবার যৌনাচারে লিপ্ত হন। বেশিরভাগ চলচ্চিত্র বোদ্ধারা এ ফ্রি রাইডকে ১৯১৫ সালের চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচনা করেছেন। চলচ্চিত্রটির কলাকুশলীদের নাম এখন অজানা কারণ, পরিচালক ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন এবং অভিনয়শিল্পীদের নাম অপ্রকাশিত রেখেছেন। চলচ্চিত্রটির চিত্রায়ণের স্থান সম্পর্কে জানা যায়নি, ধারণা করা হয়, এটি নিউ জার্সিতে নির্মিত হতে পারে। এই ছায়াচিত্রের অভিনয়শিল্পীদের পরিচয় সম্পর্কে দুটি পরস্পরবিরোধী তত্ত্ব রয়েছে: কিছু সূত্রে জানা যায় যে তারা নিম্ন সামাজিক মর্যাদার অধিকারী ছিলেন, তবে অন্যান্য সূত্র এর বিপরীত দাবি করে। যৌনতাবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিনসে ইনস্টিটিউটের সংগ্রহে এই ছায়াছবির একটি মুদ্রণ রয়েছে। ২০০২ সালে নিউ ইয়র্কে মিউজিয়াম অব সেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক গুরুত্বের নিরিখে ২০০৪ সালে নিউ ইয়র্কের শিল্পী লিসা ওপেনহাইম চলচ্চিত্রটির পুনর্নির্মাণ করেন। (বাকি অংশ পড়ুন)


১১২

অ্যাভোকাডো কেক এক প্রকারের কেক যা অন্যান্য সাধারণ কেকের উপাদানের সাথে প্রাথমিক উপাদান হিসেবে অ্যাভোকাডো ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয়। অ্যাভোকাডোগুলি উপরে ছড়ানো থাকে এবং কেকের বেটার, কেক টপিং এবং কেকের উপরে একক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। কেকের বিভিন্নতার মধ্যে রয়েছে কাঁচা অ্যাভোকাডো কেক, অ্যাভোকাডো ব্রাউনি এবং অ্যাভোকাডো চিজকেক। অ্যাভোকাডো কেকের কাঁচা, অনাবৃত সংস্করণগুলিতে ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকতে পারে যা অ্যাভোকাডো থেকে প্রাপ্ত। অ্যাভোকাডোর তৈরি কেক টপিংয়ে অ্যাভোকাডো ফুল এবং অ্যাভোকাডো ক্রেজি অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য সাধারণ কেকের উপাদানের পাশাপাশি অ্যাভোকাডো কেকের মূল উপাদান হল অ্যাভোকাডো। বিভিন্ন ধরনের অ্যাভোকাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যাভোকাডো কেক একটি সূক্ষ্ম অ্যাভোকাডো গন্ধযুক্ত খাবারের মধ্যে উজ্জীবিত থাকতে পারে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১১৩

পথ পত্রিকা এমন এক ধরনের খবরের কাগজ বা ম্যাগাজিন, যা সাধারণত গৃহহীন বা দরিদ্র ব্যক্তিরা বিক্রি করেন এবং মূলত এই জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রকাশিত হয়। এ জাতীয় বেশিরভাগ সংবাদপত্র প্রাথমিকভাবে গৃহহীনতা ও দারিদ্র্যজনিত সমস্যা সম্পর্কিত খবর সরবরাহ করে এবং গৃহহীন সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে। পথ পত্রিকাগুলি এইসব ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের আওয়াজ তুলে ধরতে সাহায্য করে। গৃহহীন ব্যক্তিরা এইসব পত্রিকা বিক্রি করার পাশাপাশি এইরকম অনেক পত্রিকা আংশিকভাবে রচনা এবং প্রকাশও করে থাকেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১১৪

স্টিক্স প্লুটোর একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ। ২০১২ সালের ১১ জুলাই এই উপগ্রহটির আবিষ্কারের কথা ঘোষিত হয়। ২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী, এটিই প্লুটোর ক্ষুদ্রতম জ্ঞাত উপগ্রহ। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে মহাকাশযান নিউ হোরাইজনস প্লুটো ও তার অন্যান্য উপগ্রহগুলির সঙ্গে স্টিক্সের ছবিও তুলেছিল। তার মধ্যে একটি ছবি পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। উপগ্রহটি প্লুটোর দ্বিতীয় নিকটতম তথা পঞ্চম আবিষ্কৃত উপগ্রহ। প্লুটোর অপর উপগ্রহ কারবারোস আবিষ্কারের এক বছর পরে এই উপগ্রহটি আবিষ্কৃত হয়। দীর্ঘতম বেধে স্টিক্সের পরিধি প্রায় ১৬ কিমি (৯.৯ মা) এবং প্লুটোকে একবার প্রদক্ষিণ করতে এটির সময় লাগে ২০.১ দিন। (বাকি অংশ পড়ুন)


১১৫

আমা (১৯৬৪-এর চলচ্চিত্র)

আমা হিরা সিং খত্রি'র প্রথম নির্মিত, ১৯৬৪ সালের নেপালি চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির কাহিনি লিখেন দূর্গা শ্রেষ্ঠ ও চৈত্য দেবী। চলচ্চিত্রটি নেপাল সরকারের তথ্য বিভাগের (প্রাক্তন রাজকীয় নেপাল চলচ্চিত্র কর্পোরেশন) ব্যানারে নেপালের তৎকালীন রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব কর্তৃক প্রযোজিত হয়েছিল। চলচ্চিত্রটির মূখ্য ভূমিকায় শিব শংকর ও ভুবন চন্দ থাপা ছাড়াও পার্শ্ব চরিত্র সমূহে বসুন্ধরা ভুশল, হিরা সিং খত্রি এবং হরি প্রসাদ রিমল প্রমুখ অভিনয় করেছেন।আমা-তে সেনাবাহিনীর চাকুরী ফেরত এক যুবকের কাহিনি চিত্রায়িত হয়েছে।রাজা মহেন্দ্র হিরালাল খত্রিকে আমা পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। মূলত ভারতের কলকাতায় চলচ্চিত্রটির গৃহমধ্যস্থ দৃশ্য ধারণ ও নির্মাণ পরবর্তী সম্পাদনা হয়েছিল। আমা নেপালে প্রযোজিত প্রথম নেপালি চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৬৪ সালের ৭ অক্টোবর মুক্তি পায়। (বাকি অংশ পড়ুন)


১১৬

ফিল্ড মার্শাল (ভারত)
ফিল্ড মার্শাল (ভারত)

ফিল্ড মার্শাল হচ্ছে ভারতের পাঁচ-তারকা জেনারেল অফিসার পদ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ পদমর্যাদা। ফিল্ড মার্শালকে জেনারেলের ঠিক উপরে স্থান দেওয়া হয়, তবে নিয়মিত সেনা কাঠামোতে এটি ব্যবহৃত হয় না। এটি মূলত একটি আনুষ্ঠানিক বা যুদ্ধকালীন পদমর্যাদা তথা র‌্যাঙ্ক। ভারতে কেবল দুজন সেনা কর্মকর্তাকে এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, ১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধকালীন ভারতের সেনাপ্রধান শ্যাম মানেকশ’ (১৯৭৩) এবং প্রথম ভারতীয় হিসেবে ভারতের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারী কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা (১৯৮৬)। ফিল্ড মার্শালের পদমর্যাদাচিহ্নের প্রশস্ত দিকে একটি পদ্ম ফুলের পুষ্পস্তবক বেষ্টিত আড়াআড়ি ছেদ করা লাঠি ও বাঁকা তলোয়ার এবং এর উপরে ভারতের জাতীয় প্রতীক তথা অশোকের সিংহস্তম্ভ রয়েছে। একজন ফিল্ড মার্শাল চার-তারকা জেনারেলের পুরো বেতন পান এবং তাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একজন সার্ভিসিং অফিসার হিসাবে বিবেচিত হন। তারা সবধরণের আনুষ্ঠানিক পরিবেশে পূর্ণ সামরিক পোশাক পরেন। বাকি অংশ পড়ুন...


১১৭

উজাইর

উজাইর কুরআনের সূরা আত-তাওবাহ্‌'র ৯:৩০ আয়াতে বর্ণিত একজন ব্যক্তি। বর্ণনানুসারে তিনি ইহুদিদের কাছে "ঈশ্বরের পুত্র" হিসেবে সম্মানিত ছিলেন। উজাইরকে প্রায়শই বাইবেলে বর্ণীত আরেক ব্যক্তি ইজরা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে উজাইর সম্পর্কে কোন সূত্র পাওয়া যায়নি, তাই আধুনিক ইতিহাসবিদরা কুরআনের এই বর্ণনাকে রহস্যময় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইবনে কাসিরের মতে উজাইর, রাজা সলোমন এবং ইয়াহিয়া'র বাবা যাকারিয়ার সময়কালের মাঝে জীবিত ছিলেন। কয়েকজন কুরআনের ভাষ্যকার উজাইরকে একজন আলেম মনে করেন, যিনি লোকদের ভুলে যাওয়া আল্লাহ'র বিধিবিধানের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। তাকে কখনও কখনও কুরআনে বর্ণিত শতবছর ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তির কাহিনির মূল চরিত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিছু ইসলামি পন্ডিত উজাইরকে নবিদের একজন মনে করেন। ধ্রুপদী মুসলিম পণ্ডিতদের মাঝে যারা ইজরার পুত্রত্ব সম্পর্কে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অস্বীকারের ব্যাপারে অবগত ছিলেন, তারা ব্যাখ্যা করেছিলেন যে কেবল একজন ইহুদি বা ইহুদিদের একটি ছোট দল উজাইরের উপাসনা করত, অথবা আয়াতটি তাদের আইন-কানুনে পারদর্শীতা ও প্রজ্ঞার জন্য ইহুদিদের অতিপ্রশংসা হিসেবে উজাইরকে "ঈশ্বরের পুত্র" অভিহিত করাকে বুঝিয়েছে। বাকি অংশ পড়ুন...


১১৮

ল্যাপটপ হল বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা দেখতে ঝিনুক আকৃতির এবং ভ্রমণ উপযোগী। ল্যাপটপ এবং নোটবুক উভয়কে পূর্বে ভিন্ন ধরা হত কিন্তু বর্তমানে তা মানা হয় না। ল্যাপটপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষায় এবং ব্যক্তিগত বিনোদনের কাজে। একটি ল্যাপটপ কম্পিউটারে ডেস্কটপ কম্পিউটারের সমস্ত উপাদান এবং সকল ইনপুটগুলোকে একত্রিত করা হয়, যেখানে শুধুমাত্র একটি যন্ত্রে মনিটর, স্পিকার, কিবোর্ড এবং টাচপ্যাড বা ট্র্যাকপ্যাড থাকে। বর্তমানের বেশিরভাগ ল্যাপটপের সঙ্গেই থাকে ওয়েবক্যাম এবং মাইক্রোফোন। ব্যাটারি অথবা এসি এডাপ্টারের মাধ্যমে বিদ্যুতের সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালানো যায়। ল্যাপটপের মডেল, প্রকারভেদ ও উৎপাদনের উপর হার্ডওয়্যারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। বহনযোগ্য কম্পিউটারগুলোকে পূর্বে ছোট একক বাজার হিসেবে গন্য করা হত এবং এগুলো বিশেষ ধরনের প্রায়োগিক কাজে ব্যবহার করা হত যেমন সৈনিকদের কাজে, হিসাববিজ্ঞানের কাজে, বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রয়োজনে ইত্যাদি। এগুলো পরে আধুনিক ল্যাপটপে পরিণত হয়। এগুলো আকারে আরও ছোট, পাতলা, সস্তা, হালকা এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে থাকে ফলে বহুমুখী কাজে এদের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১১৯

দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার ছিলেন। ভক্তদের কাছে এল পিবে দে অরো (সোনালী বালক) ডাকনামে পরিচিত মারাদোনা তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্স এবং নাপোলির হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় আক্রমভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। বহু ফুটবল খেলোয়াড় এবং বিশেষজ্ঞ তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। মারাদোনাকে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯১ সালে ইতালিতে মাদক পরীক্ষায় কোকেইনের জন্য ধরা পড়ায় তাকে ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপে ইফিড্রিন পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফলের জন্য তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে তিনি তার কোকেইন নেশা ত্যাগ করেন। তার কড়া রীতির জন্য সাংবাদিক-ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ এবং তার মধ্যে বেশ কিছু সময় মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন)


১২০

শ্রী টেমাসেক হল ১৮৬৯ সালে নির্মিত সিঙ্গাপুরের ইস্তানায় অবস্থিত একটি দুই তলাবিশিষ্ট বিচ্ছিন্ন বাড়ি। দ্বীপটির ঔপনিবেশিক শাসনকালে এটি কলোনিয়াল সেক্রেটারী বা চীফ সেক্রেটারীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯৫৯ সালে সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, যদিও  সিঙ্গাপুরের কোনো প্রধানমন্ত্রী কখনো এখানে থাকেন নি। ১৪ই ফেব্রুয়ারি  ১৯৯২ সালে ইস্তানার সাথে এটিকে সিঙ্গাপুরের জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২১

অসুরবানীপাল হল ফ্রেড পার্হাদ নির্মিত (যিনি একজন আসিরীয়-বংশজ এবং জন্মসূত্রে ইরাকি) একটি ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্গত ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো-এর পৌরকেন্দ্রে অবস্থিত। আসিরীয়ান ফাউন্ডেশন ফর দ্য আর্টস দ্বারা প্রযোজিত পনেরো ফুট দীর্ঘ আসিরীয় রাজা অসুরবানীপালের এই মূর্তিটি ১৯৮৮ সালে সান ফ্রান্সিসকো শহরে আসিরীয় জনগণের তরফে নিবেদন করা হয়। অসুরবানীপালের এই প্রথম দীর্ঘদেহী ব্রোঞ্জমূর্তি বানাতে এক লক্ষ ডলার খরচ হয়েছিল। সিটি অ্যান্ড কান্ট্রি অফ সান ফ্রান্সিসকো এবং সান ফ্রান্সিসকো আর্টস কমিশন এর তত্ত্বাবধান করেছিল। পার্হাদের তৈরি পুস্তক ও সিংহধারী বা স্কার্ট পরিহিত অসুরবানীপালের এই প্রতিকৃতি স্থানীয় আসিরীয়রা যথাযথ বা সঠিক নয় বলে সমালোচনা করেছিলেন। সমালোচকেরা এটিকে সুমেরীয় রাজা গিলগামেশের মত দেখতে বলে মনে করেন; রেনি কোভাক্স (একজন পণ্ডিত ও স্বঘোষিত আসিরীয়বিদ) বিশ্বাস করতেন যে, ভাস্কর্যটি একটি মেসোপটেমীয় প্রতিরক্ষাকর ব্যক্তিত্ব। পার্হাদ তার কাজের যথার্থতা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং বলেন যে, তিনি মূর্তি নির্মাণে শিল্পীর স্বাধীনতা অবলম্বন করেছেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২২ টেক্সাস পার্ক রোড ২ একটি ১.১১০-মাইল-দীর্ঘ (১.৭৮৬ কিমি) সড়ক যা ক্যাডো লেক স্টেট পার্ক থেকে খামার হয়ে মর্কেট রোড ২১৯৮ (এফএম ২১৯৮) পর্যন্ত বিস্তৃত। পার্ক রোড ২ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে, হ্যারিসন কাউন্টি এলাকায় অবস্থিত। বেসামরিক রক্ষণাবেক্ষণ কর্পোরেশন ১৯৩০-এর দশকে সড়কটি নির্মাণ করে, এবং ১৯৩৯ সালে এটি তালিকাভুক্ত হয়। পার্কের ভিতরে অধিকাংশ প্রধান সড়ক পিআর ২ ঠিকানা ব্যবহার করে। পিআর ২ একটি অখণ্ড, দুই লেনের, বাঁধানো রাস্তা যা এর দক্ষিণ প্রান্তে এফএম ২১৯৮-এর সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। মহাসড়কটি পার্কের সদর ভবনের চারপাশে অতিক্রম করে ক্যাডো লেক স্টেট পার্কের উত্তর দিকে এগিয়ে গেছে এবং কেবিন সাইট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। সড়কটি কেবিন সাইট অতিক্রম করে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একটি বৃহৎ লুপে বিভক্ত হয়ে গেছে। সড়কটি একটি লুপের শুরুতে খাড়া ঢাল বেয়ে নিচে নেমে যাবার পূর্বে একটি স'মিল পুকুরের পাশ অতিক্রম করেছে এবং সেখানে একটি ছোট পর্কিং লটের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও পিআর ২ সড়কের সঙ্গে তিনটি ছোট সড়ক যুক্ত রয়েছে যা প্রধান ক্যাম্প ক্ষেত্র যাবার সুব্যবস্থা করে দেয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২৩ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী নেতিবাচক এবং ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তার যাবতীয় চুলচেরা বিশ্লেষণকে বোঝাচ্ছে। ইউএনএফসিসিসি বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে মানুষের কারণে সৃষ্ট, আর জলবায়ুর বিভিন্নতাকে অন্য কারণে সৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন বোঝাতে ব্যবহার করে। কিছু কিছু সংগঠন মানুষের কারণে সৃষ্ট পরিবর্তনসমূহকে মনুষ্যসৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন বলে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণেই নয়, এর মধ্যে মানবসৃষ্ট কারণও শামিল। এই নিবন্ধে “বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন” বলতে স্রেফ প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ু পরিবর্তনকে বোঝানো হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের বিপর্যয়ের এই ঘটনাকে বাংলাদেশ সরকারের বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নব্বইয়ের দশকে প্রণীত ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ্যাকশন প্ল্যানে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২৪

মেঘনাদ সাহা এফআরএস একজন ভারতীয় বাঙালি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীজ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি গণিত নিয়ে পড়াশোনা করলেও পদার্থবিজ্ঞানজ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়েও গবেষণা করেছেন। তিনি তাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তাপীয় আয়নীকরণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তার আবিস্কৃত সাহা আয়নীভবন সমীকরণ নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মগুলো ব্যাখ্যা করতে অপরিহার্য। তিনি ভারতে নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানে আধুনিক গবেষণার জন্য ১৯৫০ সালে পশ্চিমবঙ্গে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স প্রতিষ্ঠা করেন। পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদানের জন্য ১৯২৭ সালে লন্ডনের রয়াল সোসাইটি তাকে এফআরএস নির্বাচিত করে। তিনি ও তার সহপাঠী এবং সহকর্মী সত্যেন্দ্রনাথ বসু সর্বপ্রথম আলবার্ট আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্রকে জার্মান থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন যা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। স্বনামধন্য এই পদার্থবিজ্ঞানী পদার্থবিজ্ঞান ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বিজ্ঞানসম্মত ধারায় পঞ্জিকা সংশোধন করেন। এছাড়া ভারতের নদীনিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি ভারতে পদার্থবিজ্ঞানের বিকাশ ও প্রসারের জন্য ১৯৩১ সালে ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স, ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও ১৯৩৪ সালে ভারতে পদার্থবিজ্ঞানীদের সংগঠন ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটিও প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্যোগেই ভারতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব সায়েন্সের সূচনা হয়, যা বর্তমানে ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব টেকনোলজি (আই.আই.টি.) নামে পরিচিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২৫ জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ ভারতের দেওবন্দি আলেমদের অন্যতম প্রধান সংগঠন। একইসাথে এটি ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ পুরনো সংগঠন। আব্দুল বারি ফিরিঙ্গি মহল্লী, কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি, আহমদ সাইদ দেহলভিসহ প্রমুখ আলেম ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। সংগঠনটি ভারত বিভাজনের বিরোধিতাসহ মুসলিম এবং অমুসলিমদের একই জাতি স্বীকৃত দিয়ে সম্মিলিত জাতীয়তাবাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলস্বরূপ ১৯৪৫ সালে এই সংগঠন থেকে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম নামে একটি ছোট উপদল বের হয়ে পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসআদ মাদানির মৃত্যুর পর তার ভাই আরশাদ মাদানি সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে ২০০৮ সালের মার্চে সংগঠনটি আরশাদ গ্রুপ এবং মাহমুদ গ্রুপ নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। উসমান মনসুরপুরী মাহমুদ গ্রুপের সভাপতি হন এবং ২০২১ সালের মে মাসে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এই সংগঠন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারসহ ইদারা মাবাহিছে ফিকহিয়্যাহ, জমিয়ত জাতীয় উন্মুক্ত বিদ্যালয়, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ হালাল ট্রাস্ট, লিগ্যাল সেল ইনস্টিটিউট এবং জমিয়ত যুব ক্লাবের মত প্রতিষ্ঠান ও শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২৬ ডাব্লিউসিডাব্লিউ ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ রেসলিং (ডাব্লিউসিডাব্লিউ)-এর একটি সক্রিয় শিরোপা ছিল। এটি ডাব্লিউসিডাব্লিউ'র মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত ছিল তথাপি শিরোপাটি ডাব্লিউসিডাব্লিউ'র কল্পিত সহায়ক সংস্থা ডাব্লিউসিডাব্লিউ ইন্টারন্যাশনাল-এর সর্বোচ্চ শিরোপা হিসেবে গণ্য হতো। শিরোপাটির জন্য ডাব্লিউসিডাব্লিউ ও এবং জাপানের নিউ জাপান প্রো রেসলিংয়ের (এনজেপিডাব্লিউ)-এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রক্ষার লড়াই ও প্রতিযোগিতা হতো। প্রাথমিকভাবে পেশাদার কুস্তি সংস্থা জোট ন্যাশনাল রেসলিং এলাইয়েন্স(এনডাব্লিউএ)-এর বিশ্বশিরোপা এনডাব্লিউএ ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ হিসেবে শিরোপাটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। এই শিরোপার বেল্ট ঐতিহাসিক বিগ গোল্ড বেল্ট নামে অধিক পরিচিত। এনডাব্লিউএ-এর সদস্য হিসেবে ডাব্লিউসিডাব্লিউ'র কুস্তিগীরদের মধ্যে এই বিশ্বশিরোপার জন্য প্রতিযোগিতা ও লড়াই অনুষ্ঠিত হতো। ১৯৯৩ সালে ডাব্লিউসিডাব্লিউ এনডাব্লিএ-এর সদস্যতা ত্যাগ করে। এ প্রেক্ষাপটে এনডাব্লিউএতাদের বিশ্বশিরোপার প্রতিযোগিতা ও লড়াই নিয়ন্ত্রণে ডাব্লিউসিডাব্লিউ-এর ক্ষমতা প্রত্যাহার করে। এসময় শিরোপা বেল্টটি ব্যবহারের জন্য একটি কল্পিত বিকল্প প্রচারসংস্থা তৈরি ও নতুন করে ডাব্লিউসিডাব্লিউ ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ নামকরণ করা হয়েছিল। বাকি অংশ পড়ুন...


১২৭

মাহমুদ হাসান দেওবন্দি একজন ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য রেশমি রুমাল আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী ও মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র ছিলেন। সুফিবাদে তিনি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কিরশিদ আহমদ গাঙ্গুহির খলিফা ছিলেন। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসের (অধ্যক্ষ) দায়িত্ব পালন করেন এবং সামরাতুত তারবিয়াত, জমিয়তুল আনসার, নাযারাতুল মাআরিফের মত সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি উর্দু ভাষায় কুরআনের অনুবাদক এবং আদিল্লায়ে কামিলাহ, ইজাহ আল-আদিল্লাহ, আহসান আল কিরাজাহদ আল মুকিল গ্রন্থসমূহের রচয়িতা। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে হাদিস শিক্ষাদানের পাশাপাশি সুনানে আবু দাউদের অনুলিপি করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশ শাসনের কট্টর বিরোধী ছিলেন। ভারতে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য তিনি আন্দোলন শুরু করেন কিন্তু ১৯১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়ে মাল্টায় কারাবন্দী হন। তিনি ১৯২০ সালে মুক্তি লাভ করেন এবং খিলাফত কমিটি তাকে ‘শায়খুল হিন্দ’ (ভারতের নেতা) উপাধি প্রদান করে। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ফতোয়া প্রদান করেছিলেন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। তিনি ১৯২০ সালের নভেম্বরে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সংগঠনটির সভাপতি মনোনীত হন। তার স্মৃতিতে শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান মেডিকেল কলেজের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ভারত সরকার তার রেশমি রুমাল আন্দোলন নিয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২৮ মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও সুফিবাদী রাজনীতিবিদ। সারাজীবন আধ্যাত্মিক সাধনা, জ্ঞান চর্চা ও শিক্ষাবিস্তারে কাটানোর পর শেষ বয়সে তিনি রাজনীতিতে আগমণ করেন। জীবন সায়াহ্নে তার রাজনীতিতে আগমণকে বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি খিলাফত কায়েমের লক্ষ্যে সকলকে তওবা করার ডাক দিয়ে দুইটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি দলটির ১ম আমীর ছিলেন। তাকে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক বলা হয়। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং সেজন্য তিনি সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। তাকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেওবন্দি আলেম বিবেচনা করা হয়। মাজাহির উলুম সাহারানপুরদারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষা অর্জন করে দেশে ফিরে তিনি দেওবন্দের নকশায় বড় কাটরা মাদ্রাসা, লালবাগ মাদ্রাসা, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, মাদ্রাসায়ে নূরিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে, হাজার হাজার হাফেজীকওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। তিনি আশরাফ আলী থানভীর খলিফা ছিলেন। আধ্যাত্মিক সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা ছিল। তার শিষ্যদের মধ্যে আজিজুল হক, সৈয়দ ফজলুল করিম, ফজলুল হক আমিনী, আবদুল হাই পাহাড়পুরী অন্যতম। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১২৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি "প্রাচ্যের অক্সফোর্ড" নামে স্বীকৃতি পায়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১২টি ইনস্টিটিউট, ৫৬টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও ৩টি ছাত্রাবাস, এবং ৭টি স্নাতক পর্যায়ের অধিভুক্ত সরকারি কলেজসহ মোট ১০৫টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে। অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভিন্ন অবকাঠামো ও কর্মকাণ্ড রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য কৃতি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন রাষ্ট্রপতি, ৭ জন প্রধানমন্ত্রী এবং একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এখানে পড়াশোনা করেছেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদান ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পদক লাভ করেছেন। এছাড়া এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়া উইকের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নেয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩০

পথের পাঁচালী ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রযোজিত ও সত্যজিৎ রায় পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস পথের পাঁচালী অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। অপু ত্রয়ী চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালীতে এর মুখ্য চরিত্র অপুর (সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়) শৈশবকে কেন্দ্র করে বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের বাংলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের জীবনধারা চিত্রায়িত করা হয়েছে। স্বল্প নির্মাণব্যয়ে অপেশাদার অভিনেতা ও অনভিজ্ঞ শিল্পীদের নিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। সেতার বাদক রবিশঙ্কর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ ব্যবহার করে চলচ্চিত্রের সঙ্গীতাবহ সৃষ্টি করেন। এই ছবিতে সুব্রত মিত্র চিত্রগ্রহণ ও দুলাল দত্ত সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে নিউ ইয়র্ক শহরের মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টের একটি প্রদর্শনীতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ও পরে সেই বছরই কলকাতা শহরে মুক্তি লাভ করলে দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে। সমালোচকরা চলচ্চিত্রটিতে প্রদর্শিত বাস্তবতাবাদ, মানবতা ও গুণমানকে প্রশংসা করলেও অনেকে এর মন্থর লয়কে চলচ্চিত্রটির খামতি বলে মনে করেন। অপুর জীবন সত্যজিৎ রায়ের অপরাজিত (১৯৫৬) এবং অপুর সংসার (১৯৫৯) নামক অপু ত্রয়ী চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের পরবর্তী দুইটি চলচ্চিত্রে দেখানো হয়। পথের পাঁচালী ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সামাজিক বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে সমান্তরাল চলচ্চিত্রের ধারা তৈরি করে। স্বাধীন ভারতে নির্মিত পথের পাঁচালী ছিল প্রথম চলচ্চিত্র যা আন্তর্জাতিক মনোযোগ টানতে সক্ষম হয়। এটি ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ মানবিক দলিল পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার লাভ করে, যার ফলে সত্যজিৎ রায়কে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে একজন বলে গণ্য করা হয়। এছাড়াও এই চলচ্চিত্রটিকে প্রায়শই সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায় দেখা যায়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩১

ডার্ট দ্বীপ রাজ্য উদ্যান

ডার্ট দ্বীপ রাজ্য উদ্যান একটি জনবিনোদন এলাকা। এটি কানেটিকাট নদীর উপর ১৯-একর (৭.৭ হেক্টর) এলাকার একটি বালুচর দ্বীপ যা শুধুমাত্র নৌকা দিয়ে গমনযোগ্য। দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট রাজ্যের মিডলটাউন শহরের কর্পোরেট সীমার অন্তর্ভূক্ত, মিডলটাউন জেনারেটিং স্টেশন এবং নদীর পশ্চিম তীরে প্র্যাট এবং হুইটনি কোম্পানির উৎপাদন কারখানা এটির নিকটতম প্রতিবেশী স্থাপনা। দ্বীপটি উইলো, এল্ম, পপলার এবং লাল ম্যাপলের মতো সাধারণ নদীজ পরিবেশে বড় হওয়া বৃক্ষের জঙ্গলে আবৃত। কানেটিকাট শক্তি ও পরিবেশ রক্ষা বিভাগ উদ্যানটির পরিচালনা করে। ১৯২৪ সালে, মাত্র এক একর আকার হওয়ায় এটিকে বেসরকারীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রীয় উদ্যান হিসাবে চিহ্নিত করা হতো। উদ্যানে দর্শনার্থীদের জন্য নৌকা ভ্রমণ, মৎস্য শিকার ও পাখি দেখার মত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩২

এ নিউজবয় হিরো থানহাউসার কোম্পানি নির্মিত একটি আমেরিকান নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য নাট্য চলচ্চিত্র। এটি একটি আদর্শ রম্য নাটক, চলচ্চিত্রে দেখানো হয় শীত মৌসুমে কোন এক রাতে জন বেইলি নামের একজন মদ্যপ মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফিরে সে তার স্ত্রীকে আঘাত করে। তার স্ত্রী ও সন্তান এঅবস্থায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তারা তুষারপাতের মধ্যে বের হয়ে যায় এবং বরফের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। একজন খবরের কাগজ ফেরিওয়ালা ছেলে তাদের বাঁচিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। মদ্যপাবস্থা কেটে গেল জন তার পরিবারের খোঁজ করে, কিন্তু সংবাদপত্রে মৃত্যুর খবর পড়ে বিশ্বাস করে যে তারা মারা গেছে এবং সে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্যালভেশন আর্মির একজন সদস্য তাকে রক্ষা করেন এবং তারপর সে তার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হন। চলচ্চিত্রে একমাত্র পরিচিত কৃতিত্ব দেয়া হয়েছিল দম্পতির সন্তান মারি'র চরিত্রে অভিনয় করা মারি এলিনকে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩৩ হেমলক হোক্স, দ্য ডিটেকটিভ ১৯১০ সালের একটি আমেরিকান স্বল্পদৈর্ঘ্য হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। এটি লুবিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি দ্বারা নির্মিত এবং বিতরণ করা হয়েছিল। নির্বাক চলচ্চিত্রটিতে হেমলক হোক্স নামে একজন গোয়েন্দাকে দেখানো হয়েছে যিনি একটি হত্যারহস্যের সমাধান করার চেষ্টা করছেন, যা ছিল তার সাথে দুটি তরুণ ছেলের বাস্তব রসিকতা। ছেলে দুটির রসিকতার বিষয়টি তার অজানা ছিল। এটি ছিল সেসময়ের অনেকগুলি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি, যেটি গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানকর্ম হতে উৎপন্ন হাস্যরস নিয়ে সাজানো। ছায়াছবির শিরোনাম অনেকটা শার্লক হোমসের মতো ছিল। হেমলক হোক্সের চরিত্র চলচ্চিত্রের জন্য লিখিত ও প্রত্যাখ্যাত গল্পের একটি গৌণ চরিত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর এটি লুবিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ভিন্ন দুটি হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রের সাথে পৃথক রিল হিসাবে মুক্তি পায়। সাদা-কালো ফরম্যাটের এই ছায়াছবি ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক চলচ্চিত্রটির হাস্যরসের প্রশংসা করেছেন। চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী এবং কলাকুশলীদের পরিচয় নথিভূক্ত করা হয়নি। ছবিটির কোন টিকে থাকা মুদ্রণ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩৪ দ্য মনরো ডকট্রিন এছাড়াও দ্য ভেনিজুয়েলা কেস নামেও পরিচিত, ১৮৯৬ সালের মার্কিন নির্বাক প্রজ্ঞাপন চলচ্চিত্রটমাস এডিসন প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যেকার জাতীয় নির্ধারণবাদের বিরুদ্ধে রূপক লড়াই চিত্রায়িত করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি এডিসন কোম্পানি তাদের ভিটাস্কোপের জন্য ১৮৯৬ সালে মুক্তি দিয়েছিল। এটি একটি ১৮৯৫ সালের রাজনৈতিক বিরোধ চিত্রিত করেছিল যা ব্রিটিশ গায়ানা এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে ভূমির সার্বভৌমত্ব নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধের পটভূমি তুুলে এনেছে। ভেনেজুয়েলা থেকে খনি শ্রমিকরা বিতর্কিত ভুমি শোষণ শুরু করায় ব্রিটিশরা তাদের সশস্ত্র হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়ে সতর্ক করেছিল। ইউরোপিয় রাজনৈতিক শক্তি থেকে লাতিন আমেরিকার সুরক্ষক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব রোধে মধ্যস্থতা করেছিল। কতিপয় ইতিহাসবিদ এটিকে "সম্ভবত প্রথম প্রচারমূলক চলচ্চিত্র" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাকি অংশ পড়ুন...


১৩৫ কঞ্চে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় তেলুগু যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। ছবিটির কাহিনিকার ও পরিচালক ছিলেন কৃষ। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন বরুণ তেজ, প্রজ্ঞা জয়সওয়ালনিকিতিন ধীর। ফার্স্ট ফ্রেম এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেন ওয়াই. রাজীব রেড্ডি ও জে. সাই বাবু। কঞ্চে ছবির প্রধান উপজীব্য বিষয় হল দুই বন্ধু ধুপতি হরিবাবু ও ঈশ্বর প্রসাদের শত্রুতা। ১৯৩০-এর দশকের শেষ দিকে হরিবাবু ও ঈশ্বরের বোন সীতাদেবী মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একে অপরের প্রেমে পড়েন। তাদের গ্রামে প্রচলিত জাতপাতের পরিপ্রেক্ষিতে ঈশ্বর তাদের সম্পর্কের বিরোধিতা করেন এবং দুর্ঘটনাচক্রে সীতাদেবীকে হত্যা করে বসেন। বেশ কয়েক বছর পর হরিবাবু ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসাবে যোগ দেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রেরিত হন। সেই সময় ঈশ্বরও ছিলেন সেই বাহিনীতে কর্নেলের পদে এবং হরিবাবুর কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে। তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-কেন্দ্রিক ছবি হিসেবে প্রচারিত কঞ্চে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী ৭০০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসাও অর্জন করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩৬

বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন হলো কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের গঠিত একটি কমিশন। শাহ আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে এই কমিশনের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭ জন। কমিশন গঠনের পর মতবিরোধ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আন্দোলন সহ নানা কারণে কমিশনের কার্যক্রম থমকে যায়। এরই মধ্যে ‘বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩’ বিরোধিতার মুখে বাস্তবায়ন করা যায় নি। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সরকার পুনরায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির উদ্যোগ নেয়। এজন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পূর্বের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সক্রিয় করে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীন কওমি মাদ্রাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ পাস করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩৭ আজিজুল হক ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি একাধারে হাদিস বিশারদ, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, সংগঠক, বাগ্মী ও কবি ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৬৫ বছর হাদিসের পাঠদান করেন এবং প্রথম অনুবাদক হিসেবে সহীহ বুখারীর বঙ্গানুবাদ করেন। হাদিসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য উপমহাদেশের দ্বিতীয় আলেম হিসেবে তাকে ‘শায়খুল হাদিস’ উপাধি দেওয়া হয়। তার কাছে শুধুমাত্র সহীহ বুখারী পড়েছেন এরকম ছাত্রের সংখ্যা ৫ সহস্রাধিক। ধারণা করা হয়, তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। ছাত্রজীবন থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। তিনি তৎকালীন বাংলাদেশের আলেমদের একমাত্র রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ছিলেন। মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর তিনি তার সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রধান মুখপাত্র ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। হাফেজ্জীর মৃত্যুর পর তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৩ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে তিনি অযোধ্যা অভিমুখে ৫ লক্ষ মানুষের এক ঐতিহাসিক লংমার্চে নেতৃত্ব দেন, যা বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩৮

বুরজাহোম প্রত্নক্ষেত্র

বুরজাহোম প্রত্নক্ষেত্র হল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের শ্রীনগর জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নক্ষেত্র। পুরাতাত্ত্বিক খননকার্যের মাধ্যমে এখানে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ থেকে ১০০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ের চারটি প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতির স্তর পাওয়া গিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় দুটি নব্যপ্রস্তরযুগীয় স্তর; তৃতীয় পর্যায়টি (বড়ো পাথরে তৈরি মেনহির ও চাকানির্মিত লাল মৃৎপাত্রের) মধ্য প্রস্তরযুগীয় স্তর; এবং চতুর্থ পর্যায়টি আদি ঐতিহাসিক যুগীয় (উত্তর-মধ্য প্রস্তরযুগীয়) স্তর। প্রত্নক্ষেত্রটি কাশ্মীরের প্রাগৈতিহাসিক মানব বসতির প্রমাণ বহন করছে। এই অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত সব রকমের প্রত্যক্ষ প্রমাণ (এর মধ্যে প্রাচীন উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ সংক্রান্ত অনুসন্ধানও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে) নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের পর প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানব বসতির চারটি স্তর নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়েছে। নব্য প্রস্তরযুগে এই অঞ্চলের মানুষ মাটির তলায় গর্ত তৈরি করে বা মাটির উপর ছাউনি-জাতীয় আবাসস্থল নির্মাণ করে বাস করত। মধ্য প্রস্তরযুগের মানুষ বাস করত মাটির তৈরি বাড়িতে। এই অঞ্চলে প্রচুর হাড় ও পাথরের তৈরি যন্ত্রপাতিও পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে অনুমান করা হয় যে, সেই সময়কার মানুষ শিকার ও কৃষিকার্যের মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহ করত। বুরজাহোমের প্রাগৈতিহাসিক মানুষদের সঙ্গে মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া এবং গাঙ্গেয় সমভূমি ও ভারতীয় উপদ্বীপের মানুষদের যোগাযোগ ছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৩৯

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ হলো ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাস হওয়া একটি আইন। এই আইনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এধরণের আইন এটিই প্রথম। একইসাথে এটি জাতীয় সংসদের ২০২২ সালের প্রথম আইন। নানা ধরনের বিতর্কের মুখে আইনটি পাস করা হয়। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এটিকে বাকশালের সাথে তুলনা করেছে। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি নামে একটি মধ্যস্থ ফোরাম তৈরি করেন। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ একই পদ্ধতি অনুসরণ করে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪০ উবায়দুল হক জালালাবাদী ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের তৃতীয় খতিব ও সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার হেড মাওলানা ছিলেন। দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হন। মাঝখানে তিনি কিছুকাল জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ঢাকা আলিয়া থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার সাথে জড়িত হন। তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়াজামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহে হজরত শাহজালালের শায়খুল হাদিসের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। বর্তমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ভিত স্থাপিত হয়েছিল তার চিন্তাধারায় গঠিত ইসলামি গবেষণা পরিষদের উদ্দীপনা থেকে। তিনি বাংলাদেশের সব ধর্মীয় দল ও উপদলের মাঝে ঐক্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ধর্মীয় মতপার্থক্য নিরসন এবং ইসলামি ঐক্য সুসংহত করার লক্ষ্যে তিনি জাতীয় শরিয়া কাউন্সিল নামে একটি অরাজনৈতিক স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করেন। বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিংবীমা চালুর ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন পথিকৃৎ। তিনি ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া কাউন্সিল এবং সম্মিলিত শরিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘকাল খতমে নবুয়ত আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪১

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। দলটির বর্তমান সভাপতি জিয়া উদ্দিন ও মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীব্রিটিশ ভারতে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, যা অবিভক্ত ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যায়। পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে তার থেকে ১৯৪৫ সালে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জমিয়ত উলামায়ে ইসলামস্বাধীনতা উত্তর পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়ত, নেজামে ইসলাম পার্টি নামে নিজেদের নির্বাচনি সেল গঠন করে ৩৬টি আসনে জয়লাভ করে। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে পাকিস্তানে সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হয়। সামরিক শাসন পরবর্তী জমিয়ত নেতাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হলে পূর্বে গঠিত জমিয়তের নির্বাচনি সেল নেজামে ইসলাম পার্টি একটি স্বতন্ত্র দলের রূপ ধারণ করতে থাকে। অন্যদিকে ১৯৬৪ সালে আশরাফ আলী বিশ্বনাথীর আহ্বানে সিলেট বিভাগীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে জমিয়তের আরেক অংশ সংগঠিত হয়, যারা মূলত পূর্বের জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পূর্ব পাকিস্তান অংশের কর্মী ছিলেন। ১৯৬৭ সালে জমিয়ত স্পষ্টতঃ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। অন্যভাগ নেজামে ইসলাম পার্টি নামে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪২

জিবুতির জাতীয় পতাকা
জিবুতির জাতীয় পতাকা

দারুল উলুম হাটহাজারীর ছাত্র আন্দোলন ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংগঠিত একটি ছাত্র আন্দোলন। দারুল উলুম হাটহাজারী বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন কওমি মাদ্রাসা। ২০১০ সালে এই মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্ম হয়, যা ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী কর্মসূচির মাধ্যমে আলোচনায় আসে। সংগঠনটির আমির ছিলেন মাদ্রাসার পরিচালক শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব ছিলেন মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরী। ২০১৩ সালে আন্দোলনের পর থেকে উভয় নেতার মধ্যে চিন্তাগত পরিবর্তন আসে ফলে শফী ধীরে ধীরে সরকার বিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসেন এবং বাবুনগরী তার অবস্থানে অটল থাকেন। শফীর এই পরিবর্তনের পিছনে তার পুত্র আনাস মাদানীকে দায়ী করা হয়। যিনি পিতার প্রভাব খাটিয়ে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। মাদানীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা পরিচালনা কমিটির বৈঠক করে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার সহকারি পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আনাস মাদানীকে অপসারণ, আহমদ শফীকে মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা বানানো সহ ৫ দফা দাবি নিয়ে ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪৩ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজি একজন তুর্কি-আফগান সেনাপতি ও প্রাথমিক দিল্লি সালতানাতের সেনাপতি ছিলেন এবং তিনিই প্রথম মুসলিম হিসেবে বাংলাবিহার জয় করেছিলেন। তৎকালীন পূর্ব ভারতে তার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর ইসলামি পণ্ডিতদের দাওয়াতের তৎপরতা সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করেছিল এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে পূর্ব ভারতীয় অঞ্চলসমূহে সবচেয়ে বেশি মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। ভারতে বৌদ্ধ ধর্মকে দুর্বল করার জন্য তাকে দায়ী সাব্যস্ত করা হয়ে থাকে। তিনি প্রথম দিকে সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেকের একজন মন্ত্রী ছিলেন। বখতিয়ার খলজি (মালিক গাজি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি হিসেবেও উল্লিখিত) ছিলেন মুসলিম খলজি উপজাতির একজন সদস্য, যারা ২০০ বছর আগে তুর্কিস্তান থেকে আফগানিস্থানে এসে বসতি স্থাপন করে। মুসলিম খলজি উপজাতি উত্তর-পূর্বের প্রায় সকল দখল-যুদ্ধে যোগদানকারী সেনাবাহিনীর অধিপতিদের কাজে নিযুক্ত ছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪৪

নির্বাচনে বিজয়ী মেনিয়ার উইলিয়ামস
নির্বাচনে বিজয়ী মেনিয়ার উইলিয়ামস

১৮৬০ সালে অক্সফোর্ডে বোডেন সংস্কৃত অধ্যাপক নির্বাচনে সংস্কৃত শিক্ষাদানের দুই ভিন্ন প্রণালী প্রস্তাবকারী মোনিয়ার উইলিয়ামসম্যাক্স মুলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ইতিপূর্বে উইলিয়ামস ১৪ বছর ব্রিটিশ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে কর্মপ্রার্থীদের সংস্কৃত শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং মুলার ঋগ্বেদ সম্পাদনা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। উইলিয়ামস ভারতকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করাই সংস্কৃত ভাষা অধ্যয়নের প্রধান উদ্দেশ্য মনে করলেও মুলার মনে করতেন এই ভাষা শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন। ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভোটদাতাদের সুবিধা দানের জন্য অক্সফোর্ডের উদ্দেশ্যে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এক আক্রমণাত্মক প্রচারাভিযানের পর উইলিয়ামস ২২৩টি ভোটে গরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং মুলারকে পরাজিত করেন। পরবর্তীকালে তিনি অক্সফোর্ডে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট স্থাপনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন, নাইটহুড প্রাপ্ত হন এবং ১৮৯৯ সালে মৃত্যুর পূর্বাবধি পদটি অলংকৃত করেন। পরাজয়ের ফলে মুলার অত্যন্ত হতাশ হলেও অবশিষ্ট জীবন তিনি অক্সফোর্ডেই অতিবাহিত করেন; কিন্তু সেখানে আর কোনও দিন সংস্কৃত শিক্ষাদানের কাজ তিনি করেননি। (বাকি অংশ পড়ুন ...)


১৪৫ সিটি হান্টার হল সুকাসা হোজো কর্তৃক লিখিত ও চিত্রিত একটি জাপানি মাঙ্গা ধারাবাহিক। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জাপানের সাপ্তাহিক শৌনেন জাম্প ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে এটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশক প্রতিষ্ঠান শুয়েশা এগুলো ৩৫টি ট্যাঙ্কোবন খণ্ডেও প্রকাশ করে। ১৯৮৭ সালে সানরাইজ স্টুডিও এই মাঙ্গা অনুসারে টেলিভিশনে একটি অ্যানিমে ধারাবাহিক প্রকাশ করে। অ্যানিমে ধারাবাহিকটি এশিয়া এবং ইউরোপের বেশকিছু দেশে জনপ্রিয় হয়েছিল। সিটি হান্টার বিভিন্ন দেশের একাধিক অভিযোজিত মাধ্যম ও স্পিন-অফের সমন্বয়ে একটি মিডিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে তুলেছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে রয়েছে চারটি অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক, তিনটি বিশেষ অ্যানিমে টেলিভিশন অনুষ্ঠান, দুটি ভিডিও অ্যানিমেশন, একাধিক পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র, একাধিক লাইভ-অ্যাকশন চলচ্চিত্র, ভিডিও গেম এবং একটি সরাসরি মারপিটধর্মী কোরীয় টিভি নাটক। অ্যাঞ্জেল হার্ট নামে এর একটি স্পিন-অফ মাঙ্গাও রয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪৬

দ্য রাইটিং অন দ্য ওয়াল

দ্য রাইটিং অন দ্য ওয়াল থানহাউসার কোম্পানি প্রযোজিত ১৯১০ সালের আমেরিকান নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য নাট্য চলচ্চিত্র। লয়েড লোনারগানের চিত্রনাট্যে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ব্যারি ও'নিল। অনুমান করা হয় চলচ্চিত্রটি হারিয়ে গেছে। এটির কাহিনি গ্রেস নামে একটি অল্পবয়সী মেয়েকে কেন্দ্র করে রচিত, যে জ্যাক নামে একজন ধনী ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়। গল্পের অপর দুই চরিত্র টার্নার এবং হ্যাঙ্ক নামের দুই ব্যক্তি। যারা জ্যাক একটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের পর তাকে ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে; কিন্তু তাদের বিষপানের একটি চক্রান্ত সম্পর্কে গ্রেস জ্যাককে সতর্ক করে। জ্যাক পালিয়ে যায় এবং গ্রেসকে বিয়ে করে। কোন পরিচিত বাণিজ্যিক প্রকাশনা হতে চলচ্চিত্রটির পর্যালোচনা করা হয়নি, তবে এটির জন্য পর্যালোচনা বা মূল্যায়ন থাকতে পারে। ১৯১০ সালে মুক্তি পাওয়ার পর প্রেক্ষাগৃহগুলি ১৯১৩ সালের শেষের দিকেও এই ছবি প্রদর্শনের বিজ্ঞাপন দিতো। (বাকি অংশ পড়ুন)


১৪৭

অনুসন্ধান কমিটি, ২০২২ হলো বাংলাদেশের ১৩তম নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ কর্তৃক গঠিত একটি কমিটি। ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬ জন। ইতিপূর্বে বাংলাদেশে এই ধরনের দুটি কমিটি গঠিত হলেও আইনের মাধ্যমে গঠিত হওয়া কমিটি এটিই প্রথম। এই কমিটি গঠনের সপ্তাহখানেক পূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ পাস করা হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই কমিটিকে স্বাগত জানালেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহ ১৫টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকার প্রশ্ন তুলে কমিটির যাবতীয় কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকে। ২৪ ফেব্রুয়ারি কমিটি রাষ্ট্রপতিকে তাদের সুপারিশ জমা দেয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি হাবিবুল আউয়াল কমিশন গঠন করেন। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি নামে একটি মধ্যস্থ ফোরাম তৈরি করেন।(বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪৮

ওহাইও স্টেট রুট ৩৬০ ওহাইও অঙ্গরাজ্যে বাকআই হ্রদের পাশে অবস্থিত একটি সংক্ষিপ্ত পূর্ব-পশ্চিম অভিমুখি অনিয়মিত অর্ধবৃত্তাকার সড়ক। সড়কটি অপর অঙ্গরাজ্য সড়ক ৭৯ হতে উদ্ভুত হয়ে বাক-আই হ্রদের সমান্তরালে থেকে পুনরায় একই সড়কে মিশেছে। এসআর ৩৬০ সড়কের বেশিরভাগ অংশই ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতে, পাশাপাশি লিকিং কাউন্টিতেও এর কিছু অংশ রয়েছে। এটি বাকআই হ্রদের উত্তর তীরের একটি অংশের সাথে সমান্তরালে অবস্থিত। এসআর ৩৬০ নর্থ ব্যাংক রোড নামেও পরিচিত, এটি একটি অবিভক্ত মহাসড়ক। সড়কটি ১৯৩৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে এই সড়কের নকশা ও অবস্থানের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৪৯

Refer to caption
ইফ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ

কল্পকাহিনিতে সৌরজগতের সর্বপ্রথম গ্রহ বুধের চিত্রায়ণ তিনটি স্বতন্ত্র পর্যায় অতিক্রম করেছে। গ্রহটির বিস্তারিত তথ্য আবিষ্কারের পূর্বে এটি মানুষের খুব কম মনোযোগ পেয়েছিল। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে, ভ্রান্ত বিশ্বাস ছিল যে এটি সর্বদা স্থিরবস্থায় সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে এবং গ্রহটির এক গোলার্ধে সর্বদা দিন ও অন্য অর্ধে চির-অন্ধকার থাকে। কাহিনিগুলিতে বুধের উভয় গোলার্ধের অবস্থা এবং স্থায়ী গোধূলির মধ্যবর্তী সংকীর্ণ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে রচিত। ১৯৬৫ সালে এই ভুল ধারণাটি দূরীভূত হওয়ার পড় গ্রহটি কথাসাহিত্যিকদের আগ্রহ হারিয়েছে। পরবর্তীতে গল্পগুলি সূর্যের নিকটে থাকার কারণে কঠোর পরিবেশগত অবস্থাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন )


১৫০

লাহোর দুর্গ
লাহোর দুর্গ

অরিহন্ত শ্রেণি (সংস্কৃত: শত্রুদের হত্যাকারী) হল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত পারমাণবিক শক্তি চালিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ডুবোজাহাজসমূহের একটি শ্রেণি। ₹৯০,০০০ কোটি (ইউএস$১৩ বিলিয়ন) মূল্যের উন্নত প্রযুক্তির জলযান (এটিভি) প্রকল্পের আওতায় পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজগুলির নকশা ও নির্মাণ করা হয়। ভারত জাহাজগুলিকে কৌশলগত আঘাতকারী পারমাণবিক ডুবোজাহাজ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। শ্রেণিটির নেতৃত্বাধীন জাহাজ আইএনএস অরিহন্তকে ২০০৯ সালে জলে ভাসানো হয় এবং এটি ব্যাপক উদকপরীক্ষণ (ওয়াটার ট্রায়াল) বা সমুদ্র পরীক্ষার পরে, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে নৌবাহিনীতে চূড়ান্তভাবে নিযুক্ত (কমিশন) হয়। অরিহন্ত হল প্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ডুবোজাহাজ, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ব্যতীত অন্য কোনও দেশ দ্বারা নির্মিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৫১ ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন হচ্ছে সেবছরের মার্চে পাকিস্তানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও সাধারণ জনগণ কর্তৃক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) পরিচালিত একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন। ১ মার্চে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণার পর জনগণের স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২ মার্চে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়ে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলমান থাকে। মোট ২৫ দিন স্থায়ী হয় এই আন্দোলন। এই আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা। ২৫ মার্চে মধ্যরাত থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পরিচালিত গণহত্যা অপারেশন সার্চলাইটের প্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পাশাপাশি এই আন্দোলনের ইতি ঘটে। এর চুড়ান্ত ফলাফল হিসেবে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যূদয় হয়। বাকি অংশ পড়ুন...


১৫২

জিবুতির জাতীয় পতাকা
জিবুতির জাতীয় পতাকা

জিবুতি ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন আসরের মাধ্যমে প্যারালিম্পিক গেমসে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। ২০১২ সালের ২৯শে আগস্ট থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এটি আয়োজিত হয়। হুসেন ওমর হাসান দেশটির প্রথম প্যারালিম্পিয়ান হিসেবে মধ্যম দূরত্বের দৌড়ে জিবুতির প্রতিনিধিত্ব করেন। ডানহাত হারানো হুসেন ওমর হাসান পুরুষদের ১,৫০০ মিটার টি৪৬ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। গোড়ালিতে আঘাত পেয়ে ভালো খেলতে না পারায় তিনি পদক জিততে ব্যর্থ হন। তবে ট্র্যাকে দুই ল্যাপ একা দৌড়ানোর সময় লন্ডনের দর্শকেরা তাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৫৩

মোনা লিসা চিত্রকর্ম
মোনা লিসা চিত্রকর্ম

লিসা দেল জোকোন্দো (১৫ জুন ১৪৭৯ – ১৫ জুলাই ১৫৪২) ছিলেন একজন ইতালীয় সম্ভ্রান্ত নারী। তিনি ফ্লোরেন্সতোসকানার গেরার্দিনি পরিবারের সদস্য ছিলেন। ইতালীয় রেনেসাঁর সময়ে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি তার প্রতিকৃতি হিসেবে জগদ্‌বিখ্যাত মোনা লিসা চিত্রকর্মটি এঁকেছিলেন বলে বিবেচনা করা হয়। তার বাবা ছিলেন আন্তনমারিয়া দি নলদো গেরার্দিনি এবং মা লুক্রেজিয়া দেল কাচ্চা। ১৪৯৫ সালের ৫ মার্চে ১৫ বছর বয়সে কাপড়রেশম ব্যবসায়ী ফ্রান্সেসকো দেল জোকোন্দোর সাথে তার বিয়ে হয়। লিসা-ফ্রান্সেস্কো দম্পতির পাঁচজন সন্তান ছিল। ১৫০৩ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ফ্রান্সেসকোর ফরমায়েশ পেয়ে লিসা দেল জোকোন্দোর প্রতিকৃতি আঁকা শুরু করেন। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত মোনা লিসা ছবিতে আঁকা নারীর পরিচয় সম্পর্কে বেশ বিতর্ক থাকলেও ২০০৫ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে আবিষ্কৃত হওয়া একটি বইয়ের ডান মার্জিনে আগোস্তিনো ভেসপুচ্চির লেখা একটি টীকার মাধ্যমে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সন্দেহাতীত ভাবে মোনা লিসার সাথে লিসার সম্পর্ক প্রতিষ্টিত হয়। বাকি অংশ পড়ুন...


১৫৪

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন (দাপ্তরিক নাম ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন) হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন। এটি দেশের বৃহত্তম স্টেশন ও পরিবহন খাতে ব্যস্ততম অবকাঠামো, যা রাজধানীর প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও এটি প্রতিষ্ঠার দশকের আধুনিক ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত। ১ মে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে এটি চালু করা হয়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পাকিস্তান আমলে তৈরি হলেও স্টেশনের রেলপথটি ব্রিটিশ ভারতীয় আমলে নির্মিত হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ঢাকায় অবস্থিত পুরোনো রেলওয়ে স্টেশনটি অপর্যাপ্ত হওয়ায় শহরের কমলাপুর এলাকায় আরেকটি রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে নির্মিত এই রেলওয়ে স্টেশনটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার স্বাক্ষী ছিল। বাকি অংশ পড়ুন...


১৫৫

কারামেহের যুদ্ধ

কারামেহের যুদ্ধ ছিল ১৯৬৮ সালের ২১শে মার্চে ক্ষয়কারক যুদ্ধ চলাকালে জর্দানের কারামেহ শহরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এবং ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (পিএলও) ও জর্দানি সশস্ত্র বাহিনীর (জেএএফ) যৌথবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত ১৫ ঘণ্টার একটি সামরিক যুদ্ধ। এটি পিএলও শিবিরে দুটি সমকালীন অভিযানের একটি হিসেবে ইসরায়েল দ্বারা পরিকল্পিত হয়েছিল। দুটি অভিযানের একটি কারামেহ্তে এবং অন্যটি দূরবর্তী সাফি গ্রামে পরিচালিত হয়েছিল, যাদের সাংকেতিক নাম যথাক্রমে অপারেশন ইনফার্নো এবং অপারেশন আসুতা, তবে প্রথম অভিযানটি একটি পুরোদস্তর যুদ্ধে পরিণত হয়। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর, পিএলও তাদের ঘাঁটি জর্দানে সরিয়ে নেয় এবং সীমান্তবর্তী কারামেহ শহরে সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণের পদক্ষেপ নেয়। আইডিএফ দাবি করে যে, তাদের আক্রমণের কারণ ছিল কারামেহের সংগ্রামী পিএলও শিবির ধ্বংস করা এবং ইয়াসির আরাফাতকে প্রতিশোধ হিসেবে বন্দি করা। যদিও ধারণা করা হয়ে থাকে, আইডিএফ ফিলিস্তিনি ফেদাইনদের (ফেদাইন, যার অর্থ আত্মত্যাগী) প্রতি জর্দানের সমর্থনের জন্য জর্দানকে শায়েস্তা করতে চেয়েছিল। ইসরায়েল ধারণা করেছিল জর্দান সেনাবাহিনী যুদ্ধে যোগদান থেকে বিরত থাকবে, কিন্তু জর্দানি সেনারা তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করে ভারী কামান মোতায়ন করে। ইসরায়েলিরা এক দিনব্যাপী যুদ্ধের পর কারামেহ শিবিরের অধিকাংশ ধ্বংস করে এবং ১৪০ জন পিএলওর সদস্যকে বন্দি করার পর সৈন্যদের প্রত্যাহার করে। এ যুদ্ধের ফলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রেজ্যুলেশন ২৪৮ গৃহীত হয়, যা সর্বসম্মতিক্রমে ইসরায়েলকে অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘ্ন ও সামরিক শক্তির অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারের জন্য দায়ি করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৫৬

চেমাও গুজব

২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত চীনা উইকিপিডিয়ার একজন নারী সম্পাদক চেমাও, মধ্যযুগীয় রাশিয়ার ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভূয়া দুই শতাধিক আন্তঃসংযুক্ত উইকিপিডিয়া নিবন্ধ তৈরি করেন, যা উইকিপিডিয়া সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় প্রতারণার অন্যতম ঘটনা। নিবন্ধগুলি গবেষণা ও অলিক ভাবনার সমন্বয়ে সাজানো বাস্তব সত্তার কাল্পনিক অলঙ্করণ ছিল। চেমাও রুশ ভাষার তথ্যসূত্র বোঝার জন্য যন্ত্রানুবাদ ব্যবহার করতেন এবং অবোধ্য রূক্ষ অনুবাদের ফাঁক পূরণ করতে নিজের কাল্পনিক ভাষ্য যুক্ত করতেন। তিনি তথ্যযুক্তকরণের এই অনুশীলন ২০১০-এর প্রথম দিকে চীনা ইতিহাসের বিষয়ে শুরু করেছিলেন, তারপর ২০১২ সালে রাশিয়ার ইতিহাস বিশেষ করে মধ্যযুগীয় স্লাভিয় রাজ্যগুলির রাজনৈতিক আন্তঃসম্পর্কের নিবন্ধ সম্পাদনায় এধারা ব্যবহার করেন। তিনি অনেকগুলি প্রতারণামূলক নিবন্ধ তার প্রাথমিক বানোয়াট তথ্য যোগ করার জন্য তৈরি করেন। তিনি নিজেকে একজন রুশ ইতিহাস বিষয়ক (ভূয়া) পণ্ডিত দাবি করেন, সকপাপেট একাউন্ট ব্যবহার করে নিজে নিজের সম্পাদনার প্রতি সমর্থন দেন, বানোয়াট তথ্যসূত্রের যাচাইযোগ্যতা দেখিয়ে চীনা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের আস্থার অস্বাদু ব্যবহার করেন। এই সব উপায় ব্যবহার করে চেমাও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তার প্রতারণা কর্ম ধরা পড়তে দেননি। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৫৭ মা ছেং-ইউয়েন একজন চীনা প্রত্নতত্ত্ববিদসাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় লালফৌজ দ্বারা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংসের হাত থেকে প্রতিরোধ ও রক্ষার জন্য তিনি প্রশংসিত। এছাড়া তিনি সাংহাই জাদুঘরের পুনর্নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তৃতীয় জন ডি. রকফেলার পুরস্কারের প্রাপক। এছাড়া তিনি ফরাসি রাষ্ট্রপতি জাক শিরাক কর্তৃক লেজিওঁ দনরে ভূষিত হয়েছিলেন। মা প্রাচীন চীনা ব্রোঞ্জের উপর বই এবং গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চিন হৌ সু পিয়েনচুং এবং প্রাচীন চীনের যুদ্ধরত রাজ্যকালের বাঁশের কিছু টুকরো (এগুলো পূর্বে লেখার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হত) ছাড়াও বেশকিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন। এগুলো বর্তমানে চীনের জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৫৮ স্ফুলিঙ্গ ২০২১ সালের বাংলাদেশি বাংলা নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির কাহিনি, চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করছেন তৌকির আহমেদ। এটি তৌকির আহমেদ পরিচালিত সপ্তম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছায়াছবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া উঠতি স্বাধীন সঙ্গীতদলের সদস্যদের নিজ পারিবারিক বন্ধন, প্রেম ও দ্বন্দ্বের পাশাপাশি তাদের দেশপ্রেমে শেখ মুজিবের আদর্শ, অতীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া তাদের বয়সী তরুণদের মনোবল ও বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে বর্তমান সময়ের তারুণ্যের সমান্তরাল গল্পের চিত্রায়ণ ঘটেছে। চিত্র্যনাট্যের মূল চরিত্রসমূহে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, জাকিয়া বারী মম, পরীমনি, মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত, শহীদুল আলম সাচ্চু, রওনক হাসান, ফখরুল বাশার মাসুম ও হাসনাত রিপন। গল্প বর্ণনায় মন্থরতা বাদে চলচ্চিত্রটি বিষয় নির্বাচনে নতুনত্ব, পরিচ্ছন্ন নির্মাণ, সংলাপ, শিল্পীদের পরিমিত ও বিশ্বাসযোগ্য অভিনয়, এবং মৌলিক সঙ্গীতের জন্য সমালোচকদের ইতিবাচক অভ্যর্থনা অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৫৯

পিয়ের-ফ্রঁসোয়া শাবানো

পিয়ের-ফ্রঁসোয়া শাবানো একজন ফরাসি রসায়নবিদ এবং ফরাসি ভাষা ও গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় অধিবিদ্যা পড়ার মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি পদার্থবিজ্ঞান, প্রাকৃতিক ইতিহাস, ও রসায়নশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ ও অধ্যয়ন করলেও শাবানো তার কর্মজীবনের সিংহভাগ সময় স্পেনের ভেরগারা শহরের রেয়াল সেমিনারিও তথা রাজকীয় শিক্ষাশ্রমে অধ্যাপনা এবং মাদ্রিদ শহরে প্লাটিনাম নামক মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা করে অতিবাহিত করেন। তার গবেষণায় পেনাফ্লোরিদার কাউন্ট, দারান্দার কাউন্ট ও স্পেনের রাজা তৃতীয় কার্লোসের রাজকীয় অর্থায়ন ও সমর্থন ছিল। তিনি নমনীয় প্লাটিনাম উৎপাদনে সফল হওয়া প্রথম দিকের রসায়নবিদদের একজন। ভেরগারাতে কাজ করার সময় তিনি প্লাটিনামে প্রলেপ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। কিন্তু যেহেতু তিনি রাজার জন্য গোপনে কাজ করতেন, তাই তিনি তার এই কৃতিত্ব প্রকাশ করতে পারেননি এবং এই প্রক্রিয়াটি বছরের পর বছর ধরে অজানা ছিল। প্লাটিনাম নিয়ে গবেষণা করে হতাশাগ্রস্ত হলেও তার প্লাটিনাম উৎপাদনের লাভজনক ব্যবসা স্পেনে "প্লাটিনাম যুগের" সূচনা করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬০

অলাতচক্র ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র। এটি একইসাথে বাংলাদেশে এবং বাংলা ভাষায় নির্মিত প্রথম ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র। আহমদ ছফা'র বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতায় রচিত এবং ১৯৯৩ সালে একই নামে প্রকাশিত 'অলাতচক্র' উপন্যাসের নাট্যরূপ হিসেবে এটি নির্মিত হয়েছে। চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন হাবিবুর রহমান। এটি হাবিবুর রহমান কতৃক পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত বাংলাদেশী লেখক আহমেদ ও ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রগতিশীল নারী তায়েবার মধ্যকার অস্ফুট ভালোবাসা, মানসিক টানাপড়েনের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক চিত্রায়িত হয়েছে। মূল উপন্যাসের দুই প্রধান চরিত্র- দানিয়াল ও তায়েবা'র নাট্যরূপে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল এবং জয়া আহসান। এছাড়াও মামুনুর রশীদ, আজাদ আবুল কালাম, গাজী মাহতাব হাসান, আকরাম খান প্রমুখ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপদান করেছেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬১

সর্বত মঙ্গল রাধে বিনোদিনী রাই

সর্বত মঙ্গল রাধে বিনোদিনী রাই একটি প্রচলিত কীর্তন। এটি যুবতী রাধা আর কৃষ্ণের প্রথম দর্শনের অনুভূতি সম্পর্কিত গীতি। রাধাকৃষ্ণ'র কীর্তি প্রধান, এই লোকসঙ্গীতের কথা, ১৬৫০ সালের কবি দ্বিজ কানাই রচিত মহুয়া পালা হতে আংশিক গৃহীত, প্রভাবিত এবং কালের পরিক্রমায় স্থানীয় বাউলদের যোগ করা ছত্রে সমৃদ্ধ। গানের কথাগুলি ভগ্নাংশ অথবা সম্পূর্ণরূপে বাউলদের ব্যক্তিগত পান্ডুলিপি, লোকসাহিত্যের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সংগ্রহ ও সংকলনে পালাগান, পল্লীগীতি, গ্রাম্য ছড়া ও ঝাঁপান গান আকারে প্রকাশিত হয়েছে। গানটির বর্তমান প্রচলিত গীতিরূপ মূলত উল্লিখিত লৌকিক সাহিত্য উপাদানের যৌগিক মিশ্রণ। বাংলার বাউলদের কন্ঠে নিয়মিত পরিবেশিত কীর্তনটির বিভিন্ন সময় একক অথবা সঙ্গীতদল কর্তৃক অনুষ্ঠানিক সঙ্গীতায়োজন, পরিবেশন ও প্রকাশ হয়েছে। গানটি মেধাস্বত্ব বিতর্কের জন্য আলোচিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬২

বৃহস্পতি গ্রহের আকৃতির সাথে কেপলার-৫বি-এর তুলনা

কেপলার-৫বি নাসা'র কেপলার মহাকাশযান মিশন দ্বারা প্রথম আবিষ্কৃত ৫টি গ্রহের মধ্যে একটি। গ্রহটি একটি উত্তপ্ত বৃহস্পতি গ্রহ যা একটি উপদানবাকৃতির নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে, যে নক্ষত্রটি সূর্য থেকে অধিক ভরবিশিষ্ট, বড় এবং বিকীর্ণ। কেপলার-৫-এর পরিভ্রমণরত স্থানে একটি গ্রহ আছে বলে ধারণা করা হত এবং তাই এই গ্রহ কেপলার অবজেক্ট অব ইন্টারেস্টের একটি হিসেবে নথিবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কেপলার-৫-কে একটি গ্রহ হিসেবে নিশ্চিত করা হয় এবং একই সাথে এর নানা বৈশিষ্ট্যও উদ্ঘাটিত হয়। ২০১০ সালের জানুয়ারির ১০ তারিখে একটি সভায় আমেরিকান এস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি গ্রহটির আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। গ্রহটির ভর বৃহস্পতি গ্রহ থেকে ২ গুণ বেশি এবং এটি বৃহস্পতি অপেক্ষা ১.৫ গুণ বড়। এছাড়াও এটি বৃহস্পতি গ্রহ অপেক্ষা ১৫ গুণ বেশি উত্তপ্ত।[৪] কেপলার-৫বি গ্রহ কেপলার-৫ নক্ষত্রকে ৩.৫ দিনে প্রায় ০.০৫১ জ্যোতির্বিদ্যা-একক (৭.৬ গিগামিটার)-এ প্রদক্ষিণ করে। কেপলার ৫বি আমাদের সৌরজগৎ থেকে সিগনাস বা বকমন্ডল নক্ষত্রমন্ডলীতে অবস্থিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬৩

কেপলার-৫ সিগনাস (তারামণ্ডল) এ অবস্থিত একটি তারা, এটি কেপলার মিশনের একটি ক্ষেত্র, যা পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান নক্ষত্রগুলোর চারপাশে আবর্তনরত পৃথিবী সাদৃশ গ্রহ খোঁজার উদ্দেশ্যে নাসা কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযান। কেপলার-৫-এর প্রায় কাছাকাছি কক্ষপথে কেপলার-৫বি নামে বৃহস্পতির মত একটি গ্রহ শনাক্ত করা হয়েছে। কেপলার-৫-এর গ্রহটি কেপলার মহাকাশযানের আবিষ্কৃত প্রথম পাঁচটি গ্রহের একটি ছিল; এই আবিষ্কার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণাগার দ্বারা যাচাই করার পর জানুয়ারি ৪, ২০১০ তারিখে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২১৫তম সভায় ঘোষণা করা হয়। কেপলার-৫ সূর্যের চেয়ে বৃহৎ এবং অনেক বেশি ভারী, কিন্তু অনুরূপ ধাতু নির্মিত যা গ্রহের গঠনের একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬৪

কেপলার-৬ কেপলার ৬ হল সিগনাস নক্ষত্রমণ্ডলের মধ্যে অবস্থিত একটি জি-টাইপ তারা। নক্ষত্রটি কেপলার মিশনের দৃষ্টিক্ষেত্রর মধ্যে পরে যা নাসা নেতৃত্বাধীন পৃথিবী সদৃশ গ্রহ আবিষ্কার অভিযানে আবিষ্কৃত হয়। নক্ষত্রটি সূর্যের তুলনায় আয়তনে সামান্য বড়, সামান্য ঠান্ডা ও ধাতু-সমৃদ্ধ এবং সূর্যের চেয়ে বেশি ভর সমৃদ্ধ। নক্ষত্রটিকে কেপলার-৬বি নামের একটি মাত্র বৃহস্পতি-আকারের বহির্গ্রহ খুব নিকট কক্ষপথ দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। কেপলার-৬ এর একটি নিশ্চিতক্রিত গ্যাস জায়ান্ট গ্রহ রয়েছে যার নাম কেপলার-৬বি। গ্রহটি আনুমানিক .৬৬৯ এমজে বা বৃহস্পতি গ্রহের ভরের দুই তৃতীয়াংশ। এছাড়াও এটি বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে সামান্য বিকীর্ণ এবং এর ব্যাসার্ধ প্রায় ১.৩২৩ আরজে। কেপলার-৬বি গ্রহটি তার নক্ষত্রটিকে গড়ে .০৪৫৬ এইউ দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে এবং এটি ৩.২৩৪ দিনে একবার প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করে। গ্রহের কক্ষপথের উৎকেন্দ্রিকতা ০ গণ্য করা হয় যা একটি বৃত্তাকার কক্ষপথ। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬৫

নেপচুনের সাথে কেপলার-৪বি এর আকৃতির পার্থক্য।

কেপলার-৪বি একটি বহির্গ্রহ, যা নাসার কেপলার মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা প্রথম আবিষ্কৃত হয়। এটি মাতৃ নক্ষত্রের কাছাকাছি থাকার কারণে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় যথেষ্ট উত্তপ্ত এবং যার সুস্থির তাপমাত্রা ১৭০০ কেলভিনের চেয়ে বেশি। ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২১৫তম অধিবেশনে আরও ৪টি গ্রহসহ এই গ্রহটির অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। গ্রহটি পৃথিবী থেকে ২৫ গুণ বড় এবং ব্যাসার্ধ পৃথিবী থেকে ৪ গুন বেশি। এর ব্যাসার্ধ ও ভর প্রায় নেপচুনের অনুরূপ, কিন্তু তাপমাত্রার দিক দিয়ে সৌরজগতের সকল গ্রহের চেয়ে উষ্ণ। এটি এর মাতৃ নক্ষত্রের কক্ষপথকে ০.০৪৬ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক দূরত্বে থেকে ৩.২১৩ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। এটি আমাদের সৌরজগত থেকে প্রায় ১৬৩১ আলোকবর্ষ দূরে তক্ষক তারামণ্ডলে অবস্থিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬৬

চন্দ্র বিভাজন

চন্দ্র বিভাজন বা চন্দ্র দ্বিখণ্ডন হলো ইসলামের নবি মুহাম্মাদ কর্তৃক প্রদর্শিত মুসলিম আখ্যানের একটি অলৌকিক ঘটনা। এ সম্পর্কে ইসলামি গ্রন্থ কুরআনের সূরা ক্বামারের ১–২ আয়াত উদ্ভূত হয়েছে এবং শানে নুযূলের (ওহির প্রেক্ষাপট) মতো মুসলিম আখ্যানের দ্বারা উল্লেখিত। কিছু মুসলিম ভাষ্যকার, বিশেষত মধ্যযুগের ঘটনাটিকে মুহাম্মাদ দ্বারা চাঁদের শারীরিক বিভাজন হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে বিচারের দিনে ঘটবে এমন ঘটনা হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন। প্রাথমিক ঐতিহ্য ও কাহিনিগুলি এই আয়াতটিকে, কুরাইশদের কিছু সদস্যের অনুরোধে মুহাম্মদ দ্বারা সম্পাদিত একটি অলৌকিক ঘটনা হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে। উত্তর-ধ্রুপদী ভাষ্যকার ইবনে কাসির এই ঘটনার উল্লেখ করে প্রাথমিক ঐতিহ্যগুলির একটি তালিকা সরবরাহ করেছেন: আনাস ইবনে মালিক কর্তৃত্বে প্রেরিত একটি আখ্যানে বলা হয়েছে যে পৌত্তলিক মক্কাবাসীরা একটি অলৌকিক ঘটনার অনুরোধ করার পরে মুহাম্মদ চাঁদকে বিভক্ত করেছিলেন। ২০১০ সালে নাসা চন্দ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের (এনএলএসআই) কর্মী বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলি বলেছেন, "বর্তমান কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণের খবর নেই যে চাঁদ কখনো দুটি (বা ততোধিক) অংশে বিভক্ত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে যে কোনো সময়ে পুনরায় মিলিত হয়েছিল।" আখ্যানটি পরবর্তী কয়েকজন মুসলিম অন্যদের মুহাম্মদের নবুয়াত বোঝাতে ব্যবহার করেছিলেন। এটি বিশেষত ভারতের কতিপয় মুসলিম কবিদের অনুপ্রাণিত করেছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬৭

সূর্যের সাথে কেপলার-৭-এর তুলনা

কেপলার-৭ হল বীণা তারামণ্ডললের একটি নক্ষত্র, যা কেপলার মিশনের নজরে আসা পৃথিবী সাদৃশ গ্রহ খোঁজার উদ্দেশ্যে নাসা কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযান। কেপলারের পাঁচটি আবিষ্কৃত গ্রহের মধ্যে এটি চতুর্থতম। গ্রহটি বৃহস্পতি গ্রহের সমান, গ্যাসে পূর্ণ এবং খুব হালকা। এই নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে বড়, এবং এটি প্রায় সূর্যের ব্যাসার্ধের চেয়ে দ্বিগুণ। কিছুটা ধাতব সমৃদ্ধ, গ্রহ প্রভাব এই আকৃতির প্রধান কারণ। আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারির সভায় কেপলার-৭-এর পরিচয় তুলে ধরা হয়। কেপলার মহাকাশযান ৪টি গ্রহ সহ কেপলার-৭ নক্ষত্রটি আবিষ্কার করে, এবং সঠিক পরিমাপ অনুমান করতে সক্ষম হয়। কেপলার মহাকাশযান প্রাথমিকভাবে গ্রহটি আবিষ্কার করে, এবং হাওয়াই, টেক্সাস, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া এবং কানাডার পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করে। এটি একমাত্র গ্রহ যেটি কেপলার-৭-এর কক্ষপথে আবিষ্কৃত হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬৮

কেপলার-৮ হল বীণা তারামণ্ডললের একটি নক্ষত্র, যা কেপলার মিশনের নজরে আসা পৃথিবী সাদৃশ গ্রহ খোঁজার উদ্দেশ্যে নাসা কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযান। নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে কিছুটা অধিক উত্তপ্ত, বড় এবং অধিক ভারী, যার কক্ষপথে কেপলার-৮বি নামে গ্যাসে ভরপুর দৈত্যাকার একটি গ্রহ রয়েছে। গ্রহটি বৃহস্পতির চেয়েও বড় কিন্তু এর ভর অত্যন্ত অল্প, এবং উজ্জলতা অত্যন্ত অল্প। ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি ওয়াশিংটন, ডি.সি.তে গ্রহটির আবিষ্কারের ঘোষণা করা হয়, সাথে আরও ৪টি গ্রহ কেপলার মহাকাশযান চিহ্নিত করে। কেপলার পঞ্চম গ্রহমণ্ডল আবিষ্কার নিশ্চিত করে, এবং তার নিশ্চিতকরণ মহাকাশযানের কার্যকারিতা প্রদর্শনে সাহায্য করেছে। এটি একমাত্র গ্রহ যেটি কেপলার-৮-এর কক্ষপথে আবিষ্কৃত হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৬৯

চিত্রকর্মে দেবী অনসূয়া(লাল শাড়ী পরিহিত)

অনসূয়া, হিন্দু কিংবদন্তিতে অত্রি নামে এক প্রাচীন ঋষির স্ত্রী ছিলেন। তিনি নিজের স্বামীর সাথে চিত্রকোট বনের দক্ষিণ পরিধিতে একটি আশ্রমে বাস করতেন। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন এবং সর্বদা অনাড়ম্বরভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্মানুশীলন করতেন। এর ফলে তিনি কিছু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। কাহিনী অনুসারে, অনসূয়া আকাশে ঝড় তুলেছিলেন, দেবতাদের অস্বীকার করেছিলেন এবং মন্দাকিনী নদীকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনেছিলেন। তিনি, ত্রিমূর্তিব্রহ্মা, বিষ্ণুশিবের অবতারের মধ্যে, বিষ্ণুর ঋষি অবতার দত্তাত্রেয়; শিবের অবতার একরোখা-রাগান্ধ ঋষি দুর্বাসা এবং ব্রহ্মার অবতার চন্দ্রাত্রির মাতা ছিলেন। তিনি ছিলেন ঋষি কর্দম এবং দেবাহুতির কন্যা। ঋষি কপিল ছিলেন তার ভাই এবং শিক্ষক। কালা, শ্রদ্ধা, মানিনী (হাবির্ভূ নামেও পরিচিতা), গীতা, ক্রিয়া, খ্যাতি, অরুন্ধতী এবং শান্তি ছিলেন তার সহোদরা। হিন্দু ধর্মানুসারে তিনি সতী অনসূয়া অর্থাৎ পবিত্র স্ত্রী অনসূয়া হিসেবে পূজিত হন। তিনি হিন্দু পুরাণের অন্যতম পবিত্র চরিত্র হিসেবে বিবেচিত। হিন্দু পুরাণে বর্ণিত দুষ্মন্তের স্ত্রী ও সম্রাট ভরতের মা শকুন্তলার প্রিয়সখীদের একজন ছিলেন অনসূয়া। অনসূয়া শব্দটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত: অন এবং অসূয়া। অন একটি নেতিবাচক উপসর্গ এবং অসূয়া অর্থ ঈর্ষা। অর্থাৎ, অনসূয়া অর্থ দাঁড়ায় ঈর্ষা বা হিংসা থেকে যিনি মুক্ত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭০

অ্যাক্রোস দ্য ওয়ে'র একটি স্থিরচিত্র

অ্যাক্রোস দ্য ওয়ে ১৯১৫ সালের একটি নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এটি থানহাউসার কোম্পানির অধীনে প্রিন্সেস ব্র‍্যান্ড প্রযোজিত হাস্যরসাত্মক-নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে স্পারক্স নামে এক ব্যক্তি তার বন্ধুর প্রকৃতিস্থতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বাস্তবিক কৌতুকের আয়োজন করে, যেথায় স্পারক্সের প্রেমিকাকে একজন আততায়ী আক্রমণ করে। তামাশা সফল হয়, কিন্তু এঘটনার কয়েকদিন পর তার প্রেমিকাকে একজন সিঁধেল চোর আক্রমণ করে। বন্ধুটি পরে তাকে বাঁচায়। পরে স্পারক্সের প্রেমিকা তার বদলে তার বন্ধুকে বিয়ে করে। চলচ্চিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির পর যুক্তরাজ্যেও মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রিন্সেসের চলচ্চিত্রটি দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এটির ব্যার্থতার কিছুদিন বাদেই চলচ্চিত্রটির প্রযোজক এডউইন থানহাউসার নিউ রোশেল স্টুডিওতে প্রযোজনায় ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখান, কদিন বাদে প্রিন্সেস ব্র্যান্ডের কার্যক্রম বন্ধ করে ফলস্টাফ ব্র্যান্ড শুরু করা হয়। ধারণা করা হয় যে চলচ্চিত্রটি হারিয়ে গেছে। (বাকি অংশ পড়ুন)


১৭১

Exoplanet Comparison Kepler-9 b.png

কেপলার-৯বি নাসার কেপলার মিশন কর্তৃক সৌরজগতের বাইরে আবিষ্কৃত প্রথম গ্রহগুলোর একটি। এটি বীণা তারামণ্ডলে কেপলার-৯ নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তন করে। কেপলার গ্রহ ব্যবস্থার তিনটি গ্রহের মধ্যে কেপলার-৯বি সবচেয়ে বড়; যার ভর শনির তুলনায় কম। কেপলার-৯বি এবং কেপলার-৯সি দুটো মিলে কক্ষপথীয় অনুরণন প্রদর্শন করে, যার মাধ্যমে একটি গ্রহ তার মহাকর্ষীয় টানের মাধ্যমে অপরটিকে পরিবর্তন করে এবং একে অপরের কক্ষপথকে স্থির রাখে। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট গ্রহটির আবিষ্কার ঘোষণা করা হয়। কেপলার-৯বি-এর ভরের প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছিল হাওয়াইয়ের মাউনা কেয়াতে অবস্থিত ডব্লিউ. এম. কেক মানমন্দির কর্তৃক। এটা হিসেব করতে গিয়ে, বিজ্ঞানীরা দেখলেন কেপলার-৯বি কেপলার-৯ গ্রহ ব্যবস্থার অন্য দুটি গ্যাসীয় গ্রহের চেয়ে বড়। ভরের দিক দিয়ে আমাদের সৌরজগতের শনি গ্রহের চেয়ে সামান্য ছোট। কার্নেগি ইন্সটিটিউটের এলিসিয়া ওয়েইনবার্গারের মতে, কেপলার-৯বি গ্যাসীয় দানবটি কেপলার-৯ নক্ষত্র থেকে এখন যে দূরত্বে আছে সম্ভবত আরও অনেক দূরে তা গঠিত হয়েছিল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭২

একটি বাদামী ফরেস্ট কোবরা ফণা তুলে রয়েছে।

ফরেস্ট কোবরা আফ্রিকাজাত এলাপিডি পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এরা কালো কোবরা বা সাদা ঠোঁটের কালো কোবরা নামেও পরিচিত। প্রধানত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় এদের বেশি দেখা যায়। ১৮৫৭ সালে মার্কিন সরীসৃপউভচরবিদ এডওয়ার্ড হ্যালোয়েল সর্বপ্রথম নাজা মেলানোলিউকার বিবরণ দেন। ফরেস্ট কোবরা নাজা প্রজাতির মধ্যে বৃহত্তম। এদের দৈর্ঘ্য ৩.১মিটার (১০.২৩ ফুট) পর্যন্ত হয়। বৃহদাকার পতঙ্গ থেকে ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী সরীসৃপ সবই এই প্রজাতির খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এই সাপের প্রতি দংশনে নির্গত বিষের পরিমাণ গড়ে ৫৭১মিগ্রা এবং সর্বোচ্চ ১১০২ মিলিগ্রাম। উত্তেজিত এবং কোণঠাসা হলে এরা চ্যাপ্টা লম্বা ফণা মেলে দেহের অগ্রভাগ অনেকটা উচ্চতা পর্যন্ত তুলে ধরে। এরা বিভিন্ন পরিবেশে সহজেই ভালোভাবে অভিযোজিত হতে সক্ষম। ফরেস্ট কোবরা সাধারণত দিনের বেলায় সক্রিয় থাকে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭৩

বৈয়ু মন্দিরের ডেইনিং হল

বৈয়ু মন্দির চীনের হপেই প্রদেশের কুইয়াংয়ের একটি তাওধর্মী মন্দির। পর্বতটি যখন লিয়াও রাজবংশের দখলে ছিল, তখন সুং রাজবংশের সম্রাটেরা এই মন্দিরে হেং পর্বতের জন্য উৎসর্গ করতো। মন্দিরের খাবার হলটি ছিল বৃহত্তম, প্রাচীনতম এবং ইউয়ান রাজবংশের নির্মিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাঠের ভবন। এছাড়াও মন্দিরটিতে তিনটি দরজা, একটি অষ্টকোণী প্যাভিলিয়ন এবং অনেক প্রাচীন স্টালি রয়েছে। বৈয়ু মন্দির উত্তরাঞ্চলীয় ওয়েই রাজবংশ (৩৮৬-৫৮৪) বা ট্যাং রাজবংশের (৬১৮-৯০৭) সময় প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাইটটি খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীতে হান রাজবংশের সময় ব্যবহারের হতে পারে। মন্দিরটি দুইবার পুনঃনির্মাণ করা হয়, ৯৫০ দশকে খিতানদের দ্বারা ধ্বংস হবার পরে প্রথমবার ৯৯১ শতাব্দীতে এবং দ্বিতীয়বার ১২৭০ শতাব্দীতে। একটি স্থানীয় ইতিহাস থেকে ১৬৭২ সালে কুইয়াং লেখা মন্দিরের একটি পুরানো ছবির তথ্য অনুযায়ী মন্দিরটি তার বর্তমান লেআউট অর্জন করে। সং রাজবংশের সময় বৈয়ু মন্দিরকে মাউন্ট হেং, উত্তরাঞ্চলীয় পিকে উৎসর্গ করার একটি বিকল্প স্থান হিসাবে ব্যবহার করা হতো। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর ভবন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষায়তনিক জাদুঘর। এই জাদুঘর মানব ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সহায়তা করে থাকে। প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস ও প্রাচীন শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করার পাশাপাশি এ সকল বিষয়ে মৌলিক গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাদুঘরটি কাজ করছে। জাদুঘরটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত। জাদুঘরটির বর্তমান স্থায়ী সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এখানে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিকপ্রত্নতাত্ত্বিক ভাস্কর্য, লোকশিল্প, ইসলামিক এবং সমসাময়িক শিল্পের বিভিন্ন সংগ্রহ এবং বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শন। পাশাপাশি রয়েছে কাঠের জীবাশ্ম; ময়নামতি, মহাস্থানপাহাড়পুর প্রত্নক্ষেত্র হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন শিল্পবস্তু; প্রাচীন ও মধ্যযুগের মুদ্রা, শিলালিপি, পাণ্ডুলিপি, ভাস্কর্য, টেরাকোটা, অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ, ধাতু শিল্পকর্ম, চীনামাটির বাসন-কোসন এবং গাত্রালঙ্কারসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র লোকশিল্প। চট্টগ্রাম মহানগরের নাসিরাবাদ পাহাড় হতে প্রাপ্ত টারশিয়ারি যুগের একটি মৎস্য জীবাশ্ম এই সংগ্রহশালার সর্বপ্রাচীন নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এটি চট্টগ্রামের একমাত্র শিল্প জাদুঘর, যা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যেও একমাত্র জাদুঘর হিসেবে বিবেচিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭৫

লোদি উদ্যানে বড়া গুম্বদ

বড়া গুম্বদ (অর্থ: বড়ো গম্বুজ) ভারতের দিল্লির লোদি উদ্যানে অবস্থিত একটি মধ্যযুগীয় স্মারক। এটি একটি জামে মসজিদদিল্লি সুলতানির শাসক শিকন্দর লোদির ‘‘মেহমান খানা’’ (অতিথিশালা)সহ একগুচ্ছ স্মারকের একটি অংশ। ১৪৯০ খ্রিস্টাব্দে লোদি রাজবংশের শাসনকালে বড়া গুম্বদ নির্মিত হয়। সাধারণভাবে শিকন্দর লোদিকেই এটির নির্মাতা মনে করা হয় এবং এই ভবনের গম্বুজটিই সম্ভবত দিল্লির সবচেয়ে পুরনো পূর্ণাঙ্গ গম্বুজ। বড়া গুম্বদ শিকন্দর লোদির সমাধি ও শিশা গুম্বদের কাছে অবস্থিত। তিনটি স্থাপনা একই উত্তোলিত মঞ্চের উপর অবস্থিত এবং তিনটিই লোদি রাজত্বে নির্মিত হলেও এগুলির নির্মাণকাল এক নয়। বড়া গুম্বদ নির্মাণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়: এটি সম্ভবত নির্মিত হয়েছিল একটি একক সমাধিসৌধ, কিন্তু এখানে কোনও সমাধিশিলা চিহ্নিত করা যায় না; অথবা এটি একটি প্রবেশদ্বাররূপেও নির্মিত হতে পারে। বর্তমানে বড়া গুম্বদ যে অঞ্চলে অবস্থিত অতীতে সেটির নাম ছিল খইরপুর গ্রাম। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭৬

রাজস্থানের মানচিত্রে পুষ্কর হ্রদের অবস্থান

পুষ্কর হ্রদ বা পুষ্কর সরোবর পশ্চিম ভারতের রাজস্থান রাজ্যের অজমের জেলার পুষ্কর শহরে অবস্থিত। এটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র একটি হ্রদ। হিন্দুশাস্ত্রে এটিকে ‘তীর্থগুরু’ বা সকল তীর্থের মূর্তিরূপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, এই তীর্থটি সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মার ক্ষেত্র। ব্রহ্মার প্রধান মন্দিরটি পুষ্করেই অবস্থিত। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর মুদ্রাতেও পুষ্কর হ্রদের উল্লেখ পাওয়া যায়। সমগ্র পুষ্কর হ্রদটিকে ঘিরে বাহান্নটি স্নানের ঘাট রয়েছে। এখানে তীর্থযাত্রীরা দলে দলে পুণ্যস্নান করতে আসেন। কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পুষ্করের মেলা উপলক্ষ্যে বিশেষ জনসমাগম ঘটে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে, এই হ্রদে স্নান করলে পাপ নাশ হয় ও চর্মরোগ দূর হয়। হ্রদ-সন্নিহিত অঞ্চলে পাঁচশোটিরও বেশি হিন্দু মন্দির অবস্থিত। বর্তমানকালে হ্রদের চারিদিকে পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশ ও অরণ্যনিধনের ফলে হ্রদের পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এর ফলে হ্রদের জল দূষিত হচ্ছে, জলস্তর নেমে যাচ্ছে এবং মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। হ্রদটি সংরক্ষণ করতে বর্তমানে সরকার পলি পরিষ্কার, কচুরিপানা পরিষ্কার, জল সংশোধন, বনসৃজন এবং সেই সঙ্গে গণসচেতনতা বৃদ্ধিরও প্রকল্প গ্রহণ করেছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭৭

তামিলনাড়ুর মানচিত্রে অরুণাচলেশ্বর মন্দিরের অবস্থান

অরুণাচলেশ্বর মন্দির (অপর নাম অন্নামলৈয়ার মন্দির) ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুবন্নামলৈ শহরের অরুণাচল পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হিন্দু দেবতা শিবের একটি মন্দির। হিন্দু শৈব সম্প্রদায়ের কাছে এটি পঞ্চভূত স্থলম নামে পরিচিত পাঁচটি তীর্থের অন্যতম হওয়ায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করেন। পঞ্চভূতের মধ্যে অগ্নির সঙ্গে অরুণাচলেশ্বর মন্দিরটি যুক্ত। এই মন্দিরে শিব অরুণাচলেশ্বর বা অন্নামলাইয়ার নামে এবং লিঙ্গের প্রতীকে পূজিত হন। সেই কারণে এই লিঙ্গটি ‘অগ্নিলিঙ্গম’ নামে পরিচিত। শিবের পত্নী পার্বতী এখানে পরিচিত উন্নামলৈ আম্মান নামে। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে নায়নার নামে পরিচিত তামিল সন্ত কবিদের লেখা প্রামাণ্য শৈব ধর্মগ্রন্থ তেবারমে এই মন্দিরের অধিষ্ঠাতা দেবতাকে বন্দনা করা হয়েছে এবং মন্দিরটিকে পাদল পেত্র স্থলম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীর শৈব সন্ত কবি মণিক্কবসাগর এখানেই তিরুবেমপাবই রচনা করেন। অরুণাচলেশ্বর মন্দির চত্বরটি ভারতের বৃহত্তম মন্দির চত্বরগুলোর অন্যতম। ১০ হেক্টর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই মন্দির চত্বর। মন্দির চত্বরে ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পূর্বদিকের এগারোতলা গোপুরমটি উচ্চতম। এটির উচ্চতা ৬৬ মিটার (২১৭ ফু)। নায়ক্কর রাজবংশের সেবাপ্পা নায়ক্কর কর্তৃক নির্মিত ভারতের বৃহত্তম গোপুরমগুলোর অন্যতম। মন্দিরের মধ্যে অনেকগুলো পূজাবেদী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অরুণাচলেশ্বর ও উন্নামলাই আম্মানের পূজাগারটি সর্বপ্রধান। মন্দির চত্বরে অনেকগুলো সভাকক্ষও রয়েছে; যার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সভাকক্ষটি হল বিজয়নগর যুগে নির্মিত সহস্র স্তম্ভবিশিষ্ট একটি কক্ষ। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭৮

নাসার মহাকাশযান কর্তৃক ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট আবিস্কারের পূর্বে শিল্পীর কল্পনায় কেপলার-১১-এর তিনটি গ্রহের পরিক্রমণ।

কেপলার-১১ হল সূর্যের চেয়ে সামান্য বড় সূর্য সদৃশ একটি তারা যা সিগনাস তারামণ্ডলে অবস্থিত, এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ২,১১০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এটা কেপলার মহাকাশযানের দৃষ্টি ক্ষেত্রের মধ্যে অবস্থিত। নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণয়মান থাকে এমন গ্রহ শনাক্ত করতে নাসার কেপলার মিশন এই উপগ্রহটি ব্যবহার করে থাকে। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত তারামন্ডলটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে ঘন সন্নিবেশিত ও সমতল তারামন্ডল। ছয়টি পরিক্রমকারী গ্রহ সহ আবিষ্কৃত এটিই প্রথম তারামন্ডল। আবিষ্কৃত সবগুলো গ্রহই পৃথিবীর চেয়ে বড়, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি প্রায় নেপচুনের সমান। কেপলার-১১ নামটি কেপলার মিশনের জন্য নামকরণ করা হয়: কেপলারের দৃষ্টি ক্ষেত্রের মধ্যে এটি ১১তম তারা যার সাথে গ্রহমন্ডল রয়েছে। গ্রহগুলোর বর্ণানুক্রমে নামকরণ করা হয়, পৃথক করার জন্য অন্তরতম দিয়ে শুরু: বি, সি, ডি, ই, এফ, এবং জি, তাদের নিজস্ব তারকার নামের সাথে জুড়ে দেয়া হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৭৯

মুরুগন মন্দিরের সম্মুখভাগ

মুরুগন মন্দির ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সালুবনকুপ্পমের তামিল হিন্দু দেবতা মুরুগনের (কার্তিক) প্রতি উৎসর্গিত এবং ২০০৫ সালে খননকার্যের ফলে আবিষ্কৃত একটি প্রাচীন মন্দির। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করেন যে, মন্দিরটি দু’টি স্তরে গঠিত: সঙ্গম যুগে (খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী) নির্মিত একটি ইটের মন্দির এবং পল্লব যুগে (খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দী) নির্মিত একটি গ্রানাইট পাথরের মন্দির। পাথরের মন্দিরটি ইটের মন্দিরটির উপরেই নির্মিত হওয়ায় এটিই ভারতের প্রাচীনতম মন্দিরের মর্যাদা পেয়েছে। এখানে খননকার্য পরিচালনাকারী ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) দলটির মতে, এখানকার ইটের মন্দিরটি তামিলনাড়ুতে আবিষ্কৃত ইটের স্থাপনাগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম হওয়াই সম্ভবপর। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের সুনামির ফলে অনাবৃত হয়ে পড়া একটি শিলালিপির সূত্র থেকে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের প্রত্নতত্ত্ববিদের একটি দল মন্দিরটি আবিষ্কার করে। প্রাথমিক খননকার্যের ফলে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর পল্লব-যুগীয় একটি উপাসনালয় আবিষ্কৃত হয়। আরও খননকার্যের ফলে দেখা যায় যে, অষ্টম শতাব্দীর উপাসনালয়টি গড়ে উঠেছিল একটি প্রাচীনতর উপাসনালয়ে ইষ্টকনির্মিত ভিত্তির উপরে। জানা যায় যে, ইটের উপাসনালয়টি নির্মিত হয়েছিল সঙ্গম যুগে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮০

হিলোকা নদী

হিলোকা হলো স্পেনের আরাগনে অবস্থিত একটি নদী। নদীটি হ্যালন নদীর একটি শাখা এবং এব্রো খাদের জলবিভাজিকা। নদীটির গতিপথ তেরুয়েল এবং সারাগোসা প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ১২৬ কিলোমিটার (৭৮ মা) এবং গড় জল প্রবাহ মাত্রা ২.১ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ড (৭৪ ঘনফুট/সে)। বিভিন্ন মৌসুমে এর জল প্রবাহ মাত্রার পরিবর্তন হয়। নদীটির উৎস মনরিয়াল দেল কাম্পোর পাশ থেকে নদীটি উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়েছে। নদীবিধৌত ভূমিখন্ডটি আগে মেসেটা সেন্ট্রাল এবং মেডিটারেনিয়ান উপকূলের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক রাস্তা ছিল। এখান থেকে পুয়েবলোতে অবস্থিত রোমান ব্রিজগুলো এবং ওয়াটারমিলস দেখা যায়। নদীর পানি ভালো মানের হওয়ায় বহু রকম বন্যপ্রাণি এখানে বসবাস করে। আঞ্চলিক সরকারের উক্ত জলবিভাজিকা অঞ্চল পরিষ্কারের উদ্যোগকে পরিবেশ সংস্থাগুলো সমালোচনা করে বলেছে- এর ফলে বাস্তুসংস্থান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জলবিভাজিকাটি ২,৯৫৭ বর্গকিলোমিটার (১,১৪২ মা) জুড়ে আছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮১

কোদণ্ডরাম স্বামী মন্দিরের দৃশ্য

শ্রী কোদণ্ডরাম স্বামী মন্দির ভগবান রামের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি হিন্দু মন্দির, যা ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কডাপা জেলার ওন্টিমিট্ট শহরে অবস্থিত। এই অঞ্চলের বৃহত্তম এই মন্দিরটি ষোড়শ শতাব্দীর বিজয়নগরীয় স্থাপত্যশৈলীর একটি নিদর্শন। মন্দির এবং এর সংলগ্ন ভবনগুলি ভারতের জাতীয় গুরুত্বের কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি । মন্দিরটি ষোড়শ শতকে চোল এবং বিজয়নগরের রাজাদের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিলো। বম্মের পোতন এ স্থানে বসবাস করে ভাগবত পুরাণ তেলুগু ভাষায় অনুবাদ করেন এবং তা ভগবান রামের প্রতি উৎসর্গ করেন। 'অন্ধ্র বাল্মীকি' হিসেবে পরিচিত ভাভিলাকোলানু সুব্বা রাও যিনি বাল্মীকি রামায়ণ তেলুগু ভাষায় অনুবাদ করেছেন, তিনিও এখানে ভগবান রামের উপাসনায় তার সময় অতিবাহিত করেছেন। সন্ন্যাসী-কবি আন্নামাচারিয়া এই মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং এখানে রাম কীর্তন রচনা করেছেন ও গেয়েছেন। ১৬৫২ সালে ফরাসী পর্যটক জঁ-ব্যাপটিস্ট তাভেরনির এই মন্দির পরিদর্শন করে এর অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর প্রশংসা করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮২

মিতাবলির পাথুরে পাহাড়চূড়ায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থিত ছাদবিহীন চৌষট্টি যোগিনী মন্দির

যোগিনী মন্দির বলতে ভারতে খ্রিস্টীয় নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে খোলা আকাশের নিচে নির্মিত ছাদবিহীন যোগিনী-উপাসনালয়গুলোকে বোঝায়। এই যোগিনীরা হলেন যোগের অধিষ্ঠাত্রী হিন্দু তান্ত্রিক দেবী তথা পার্বতীর এক-একটি রূপভেদ। যোগিনী মন্দিরগুলো বিংশ শতাব্দীর শেষভাগের আগে গবেষকদের গোচরে আসেনি। বেশ কয়েকটি যোগিনী মন্দিরে চৌষট্টি জন যোগিনীর পূজাগার পাওয়া গিয়েছে বলে এগুলোকে চৌষট্টি যোগিনী মন্দির বা চৌসঠ যোগিনী মন্দির (হিন্দিতে চৌষট্টিকে চৌসঠ, চৌঁসঠ বা চৌষঠী বলা হয়) নামে অভিহিত করা হয়। অন্য মন্দিরগুলোতে যোগিনী পূজার বিয়াল্লিশটি বা একাশিটি কুলুঙ্গি পাওয়া গিয়েছে, যা যোগিনীদের এক ভিন্ন দেবীমণ্ডলীর দ্যোতক। অবশ্য এই মন্দিরগুলোকেও ‘চৌষট্টি যোগিনী মন্দির’ নামেই অভিহিত করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, যে মন্দিরগুলোতে চৌষট্টি জন যোগিনী পূজিত হতেন, সেখানেও সর্বত্র একই দেবীদের নিয়ে চৌষট্টি জনের দেবীমণ্ডলীর ধারণা করা হয়নি। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৩

বহু পাল্প কল্পবিজ্ঞান গল্পে বৃহস্পতিকে দেখা যায়

সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে কথাসাহিত্যের বিষয়বস্তু হয়ে আসছে। গ্রহটির গঠনতন্ত্র সম্পর্কে মানুষ যত অবহিত হয়েছে কথাসাহিত্যে এই গ্রহের বর্ণনায় ততই বিবর্তন এসেছে; প্রথমদিকে দেখানো হতো গ্রহটি সম্পূর্ণতই নিরেট, পরে দেখানো হয় এই গ্রহের উচ্চচাপবিশিষ্ট বায়ুমণ্ডলের নিচে রয়েছে একটি নিরেট ভূপৃষ্ঠ, শেষপর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ গ্যাসীয় গ্রহ হিসেবেই বর্ণিত হতে থাকে। কল্পবিজ্ঞানের পাল্প যুগে বৃহস্পতি ছিল এক জনপ্রিয় প্রেক্ষাপট। এই গ্রহের জীবন কখনও মানুষ, কখনও মানুষের বৃহত্তর রূপান্তর, কখনও বা মনুষ্যেতর জীব হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে। মনুষ্যেতর জীবের ক্ষেত্রে কোনও কোনও রচনায় জীবনের আদিম অবস্থা, আবার কোনও কোনও রচনায় মানুষের তুলনায় উন্নততর অবস্থা দেখানো হয়েছে। বহুসংখ্যক গল্পে বৃহস্পতির প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলো উপস্থাপিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে প্রদর্শিত হয় চারটি গ্যালিলিয়ান উপগ্রহ (আইয়ো, ইউরোপা, গ্যানিমিডক্যালিস্টো)। সাধারণ বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে এই সকল জগতের পৃথিবীকরণ ও এখানে উপনিবেশ স্থাপন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৪

জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা বাংলাদেশী লেখক শহীদুল জহির রচিত অভিষেক উপন্যাস। এটি সর্বপ্রথম ১৯৮৭ সালে হাক্কানী পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর দেশে রাজাকারদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়ন এই নাতিদীর্ঘ উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয়। বাংলা কথাসাহিত্যে জহির যোগ করেছেন জাদুবাস্তবতাবাদের স্বতন্ত্র রীতি, যা 'শহীদুল জহিরীয়' নামে পরিচিত। সেই স্বতন্ত্র কথাসাহিত্যরীতির অন্যতম উদাহরণ এই উপন্যাস। মূলত এটি আবদুল মজিদ নামের এক মুক্তিযোদ্ধার অস্তিত্বসংকটের কাহিনী। ১৯৮৫ সালের পটভূমিতে কাহিনী নির্মিত হলেও, উপন্যাসে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন এবং পরবর্তীতে সামরিক অভ্যুত্থান পর্যন্ত বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে জীবনের বাস্তবতা ও অন্তর্দহন। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অত্যচার, সাধারণ বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা, ধর্ম ব্যবসা, ক্ষমতালোভী বাঙালির বিকৃত মানসিকতার দৃশ্যপট এই উপন্যাসে পাওয়া যায়। উপন্যাসটি স্বাধীনতার বাস্তব দলিল হিসাবে বিবেচিত। সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক একে 'প্রখর পরিণত লেখকের লেখা উপন্যাস' বলে মন্তব্য করেছেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৫

আদার ওয়ার্ল্ডস কল্পবিজ্ঞান পত্রিকার প্রচ্ছদে একটি রকেটের ছবি, সেপ্টেম্বর ১৯৫১

মহাকাশ ভ্রমণ বা মহাকাশযাত্রা কল্পবিজ্ঞানের একটি প্রধান ধ্রুপদী বিষয়। অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে নক্ষত্রযাত্রা নামেও অভিহিত করা হয়। সাধারণভাবে কল্পবিজ্ঞান আখ্যানবস্তুর বৈশিষ্ট্যসূচক ছবির সঙ্গে যুক্ত মহাকাশযাত্রার বিষয়টিই সচরাচর ক্ষেত্রে পাঠকের মনোযোগ সর্বাধিক আকর্ষণ করে থাকে। কল্পবিজ্ঞান গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্র প্রভৃতিতে আন্তঃগ্রহ ও আন্তঃনাক্ষত্রিক উভয় প্রকার মহাকাশযাত্রাই সাধারণভাবে মহাকাশযানের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে দেখা যায়। তবে এক-একটি রচনায় মহাকাশযান প্রচালনের পদ্ধতিটি এক এক রকমের; তার মধ্যে বৈজ্ঞানিকভাবে আপাতগ্রাহ্য পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক নানা রকম পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়। কোনও কোনও লেখক মহাকাশযাত্রার বাস্তব, বিজ্ঞানসম্মত ও শিক্ষাগত দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ আরোপ করেন; কেউ আবার এই ধারণাটিকে স্বাধীনতার রূপক হিসেবে দেখেন, যার অন্যতম একটি দিক হল “সৌরজগতের কারাগার থেকে মানবজাতির মুক্তি”। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রতীক হিসেবে বর্ণিত রকেটের ধারণাটিও জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমেই। তবে দি এনসাইক্লোপিডিয়া অব সায়েন্স ফিকশনের মতে, “কল্পবিজ্ঞানে যে সব উপায়ে মহাকাশযাত্রা সম্ভব হয়েছে – [অর্থাৎ] এটির অসংখ্য ও বিভিন্ন রকমের মহাকাশযান – বিষয়বস্তুর কল্পিত প্রভাবের উপর এগুলোর গুরুত্ব সর্বদাই গৌণ”। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৬

একটি গাবুন ভাইপার।

গাবুন ভাইপার বা গাবুন অ্যাডার ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এদেরকে সাহারা-নিম্ন আফ্রিকার অতিবৃষ্টি অরণ্যসাভানা অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। ১৮৫৪ সালে সর্বপ্রথম গাবুন ভাইপারকে এচিডনা গ্যাবোনিকা হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এদের বিষদন্ত ২ ইঞ্চি (৫ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায় এবং এরা বিষধর সর্পপ্রজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণে বিষ উৎপাদন করতে পারে। পূর্ণবয়স্ক গাবুন ভাইপারের শরীর এবং লেজ মিলিয়ে গড় দৈর্ঘ্য ১২৫-১৫৫ সেন্টিমিটার (৪-৫ ফুট)। এদের মাথা ত্রিভুজাকৃতির এবং ঘাড় ভীষণ সরু হয়। এরা মূলত নিশাচর এবং খুব ধীরগতিসম্পন্ন, কম নড়াচড়াযুক্ত শান্তস্বভাবের সাপ হিসাবে সুপরিচিত। এরা সাধারণত লুকিয়ে থেকে শিকার ধরে এবং উপযুক্ত শিকার এসে হাজির হওয়ার অপেক্ষায় দীর্ঘসময় ধরে নিথর নিশ্চল হয়ে পড়ে থাকে। এই প্রজাতির সাপের কামড়ানোর ঘটনা খুব কদাচিৎ ঘটে, কারণ এরা অতিমাত্রায় সহনশীল। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৭

ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রটিকে প্রায়শই ছায়াপথীয় কেন্দ্র থেকে আনিউলাস ৭-৯ কিলোপারসেক দূরে অবস্থিত মনে করা হয়
link=ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রটিকে প্রায়শই ছায়াপথীয় কেন্দ্র থেকে আনিউলাস ৭-৯ কিলোপারসেক দূরে অবস্থিত মনে করা হয়

জ্যোতিঃজীববিজ্ঞান ও গ্রহীয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্র বলতে ছায়াপথের এমন অঞ্চলকে বোঝায় যেখানে জীবনের বিকাশের সম্ভাবনা সর্বাধিক। ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রের ধারণাটি ধাতবিকতা (হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম অপেক্ষা ভারী মৌলের উপস্থিতি) এবং অতিনবতারা ইত্যাদি প্রধান বিপর্যয়গুলোর হার ও ঘনত্বসহ বিভিন্ন পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করে এবং সেই বিশ্লেষণকে ব্যবহার করে একটা ছায়াপথের কোন কোন অঞ্চলে পার্থিব গ্রহের গঠন ও প্রাথমিকভাবে সরল জীবনের বিকাশ সম্ভব এবং সেই জীবনের বিবর্তন ও অগ্রসরণে সেই অঞ্চল অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম কিনা তা পরিগণনা করে। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, আকাশগঙ্গার মতো ছোটো ছায়াপথগুলোর তুলনায় অতি বৃহৎ ছায়াপথগুলোয় বাসযোগ্য গ্রহের উৎপত্তি ও বিকাশের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা সম্ভবত বেশি। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ক্ষেত্রে মনে করা হয় যে, এটির ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রটি হল একটি অ্যানিউলাস (স্থূল বলয়াকৃতি), যার বাহ্যিক ব্যাসার্ধ প্রায় ১০ কিলোপারসেক (৩৩,০০০ আলোকবর্ষ) এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাসার্ধ ছায়াপথীয় কেন্দ্রের নিকটবর্তী (উভয় ব্যাসার্ধের ক্ষেত্রেই পাকাপোক্ত সীমানার অভাব দেখা যায়)। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৮

ফ্রিডম ফ্রম ফিয়ার

ফ্রিডম ফ্রম ফিয়ার হল মার্কিন চিত্রশিল্পী নরম্যান রকওয়েল কর্তৃক সৃষ্ট জনপ্রিয় ফোর ফ্রিডমস তৈলচিত্রের শেষ অংশ। ধারাবাহিকটি ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট কর্তৃক প্রদেয় ফোর ফ্রিডমস নামে বিবৃত চারটি লক্ষের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ১৯৪৩ সালের ১৩ মার্চ দা সেটারডে ইভিনিং পোস্টে সেসময়ের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ স্টিফেন ভিনচেন্ট বেনেটের প্রবন্ধের সাথে ধারাবাহিকের এই কর্মটি প্রকাশিত হয়েছিল। চিত্রকর্মটি সাধারণত দা ব্লিটজের (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানি কর্তৃক যুক্তরাজ্যের উপর বোমাহামলা) সময় অভিভাবক কর্তৃক শিশুদের ঘুম পারানো হচ্ছে তা বুঝানো হয়। ফোর ফ্রিডমস শিরোনামের চারটি তৈলচিত্রের ধারাবাহিক ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি, ৭৭তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে দেওয়া স্টেট অব দা ইউনিয়ন ভাষণে রাষ্ট্রপতি ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল; সেই বক্তৃতায় ফোর ফ্রিডমের (চারটি স্বাধীনতা) কথা উল্লেখ করা হয়। ফোর ফ্রিডমস থিমটি পরবর্তীতে আটলান্টিক সনদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এটি জাতিসংঘের সনদের অংশ হয়ে ওঠে। ১৯৪৩ সালের শুরুর দিকে টানা চার সপ্তাহে প্রখ্যাত লেখকদের রচনার সাথে দা স্যাটারডে ইভিনিং পোস্টে চিত্রকর্মগুলির ধারাবাহিক ছাপা হয়েছিল। চারটি ধারাবাহিকের মধ্যে ছিল ফ্রিডম অব স্পিচ (বাক স্বাধীনতা), ফ্রিডম অব ওরশিপ (উপাসনার স্বাধীনতা) ফ্রিডম ফ্রম ওয়ান্ট (চাওয়ার স্বাধীনতা) এবং ফ্রিডম ফ্রম ফিয়ার (ভয় থেকে মুক্তি)। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৮৯

হাসিব আহসান ছিলেন একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার, যিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে মোট ১২টি টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের (বর্তমান খাইবার পাখতুনখোয়া) পেশাওয়ার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ডানহাতি অফ স্পিনার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৪৯.২৫ গড়ে ২৭টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন; যার মধ্যে পাঁচ উইকেট শিকার ছিল ২ বার। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি ৪৯ ম্যাচে ২৭.৭১ গড়ে ১৪২টি উইকেট শিকার করেছেন। ১৯৮০ সালে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক ও ব্যবস্থাপনক ছিলেন এবং ১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সাংগঠনিক দলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৩ সালের ৮ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে করাচিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯০

কালিদাস

কালিদাস হল ১৯৩১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় তামিলতেলুগু ভাষার জীবনীমূলক চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন এইচ. এম. রেড্ডি ও প্রযোজনা করেন আরদেশির ইরানি। এটিই তামিল ও তেলুগু ভাষা, তথা কোনও দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় নির্মিত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। সংস্কৃত কবি কালিদাসের জীবনীনির্ভর এই ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন পি. জি. বেঙ্কটেশন এবং নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন টি. পি. রাজলক্ষ্মী; অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এল. ভি. প্রসাদ, তেবরম রাজমবল, টি. সুশীলা দেবী, জে. সুশীলা ও এম. এস. সন্তানলক্ষ্মী। ছবিটি প্রধানত তামিল ভাষাতেই নির্মিত হয়েছিল। অতিরিক্ত কিছু সংলাপ ছিল তেলুগু ও হিন্দি ভাষায়। রাজলক্ষ্মী তামিলেই সংলাপ বলেন, কিন্তু বেঙ্কটেশন তামিলে সাবলীল না হওয়ায় শুধু তেলেগুতে সংলাপ বলেন এবং প্রসাদ শুধুই হিন্দিতে বলেন। এই ছবির বিষয়বস্তু পৌরাণিক হলেও ছবির গানগুলিতে অনেক পরিবর্তীকালের কথা ধৃত হয়েছে। যেমন কর্ণাটকী সংগীতজ্ঞ ত্যাগরাজের গান, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রচারমূলক গান এবং মহাত্মা গান্ধী ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন-বিষয়ক গানও। জার্মান-নির্মিত প্রযুক্তিতে ছবির শক্ত রেকর্ড করা হয়েছিল। কালিদাস ছবির শ্যুটিং হয়েছিল বোম্বাই শহরে, ভারতের প্রথম সবাক ছবি আলম আরা-র (১৯৩১) সেটে এবং ছবির কাজ শেষ হয়েছিল আট দিনের মধ্যে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯১

নর্মা তারামণ্ডলের তারাগুলোর তালিকা

নর্মা দক্ষিণ খ-গোলার্ধে আরা ও লুপাস তারামণ্ডল দু’টির মধ্যে অবস্থিত একটি ছোটো তারামণ্ডল। অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলা-লুই দ্য লাকায়ি যে বারোটি তারামণ্ডল অঙ্কন করেছিলেন, নর্মা তার অন্যতম। এছাড়া বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে বর্ণিত বহুসংখ্যক তারামণ্ডলগুলোরও অন্যতম এটি। এই তারামণ্ডলের নামটি নর্ম্যালের লাতিন প্রতিশব্দ, যা একটি সমকোণ নির্দেশ করে এবং বিভিন্নরূপেরুল, ছুতোরের স্কোয়ার, সেট স্কোয়ার বা লেভেলের প্রতীকরূপে গণ্য হয়। নর্মা তারামণ্ডলটি আধুনিক ৮৮টি তারামণ্ডলের তালিকাভুক্তই থেকে গিয়েছে। নর্মার চারটি উজ্জ্বলতর তারা—গামা, ডেল্টা, ইপসিলন ও ইটা—অস্পষ্ট তারাদের ক্ষেত্রের উপর একটি বর্গাকার ক্ষেত্র গঠন করেছে। গামা নর্মি হল এই তারামণ্ডলের উজ্জ্বলতম তারা, যার আপাত মান ৪.০। মিউ নর্মি অদ্যাবধি জ্ঞাত সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল তারাগুলোর অন্যতম, এটির ঔজ্জ্বল্য সূর্য অপেক্ষা দশ লক্ষের এক-চতুর্থাংশ থেকে দশ লক্ষ গুণ বেশি। নর্মার চারটি নক্ষত্র জগতে গ্রহের উপস্থিতির কথা জানা যায়। আকাশগঙ্গা ছায়াপথ নর্মার মধ্য দিয়ে যায়। এই তারামণ্ডলের মধ্যে দূরবীনের সাহায্যে পর্যবেক্ষকদের কাছে দৃশ্যমান আটটি মুক্ত স্তবক অবস্থিত। নর্মা স্তবক নামে পরিচিত আবেল ৩৬২৭ এই তারামণ্ডলেই অবস্থিত। এই নর্মা গুচ্ছ জ্ঞাত সর্বাধিক গুরুভার ছায়াপথ স্তবকগুলোর অন্যতম। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯২

নেপচুন এবং পৃথিবীর সাথে কেপলার-১১বি (ধূসর)-এর আকৃতির তুলনা।

কেপলার-১১বি একটি বহির্গ্রহ যা কেপলার মহাকাশযা কর্তৃক আবিষ্কৃত এবং এর অবস্থান কেপলার-১১ তারার নিকটবর্তী, যা ছিল পৃথিবী সাদৃশ গ্রহ খোঁজার উদ্দেশ্যে নাসা কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযান। কেপলার-১১বি পৃথিবীর চেয়ে তিন গুন বেশি ভরবিশিষ্ট ও আকারে দ্বিগুণ বড়। কিন্তু এর নিম্ন ঘনত্বের (≤ ৩ গ্রাম/সেমি) কারণে এর গঠন পৃথিবীর মতো নয়। কেপলার-১১বি, কেপলার-১১ ব্যবস্থারর ছয়টি গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত, এবং এর কক্ষপথ অন্য গ্রহগুলোর তুলনায় সবচেয়ে নিকটে অবস্থানরত। কেপলার-১১বি আরও ছয়টি গ্রহ সহ, প্রথম আবিষ্কৃত গ্রহমণ্ডল, যার তিনের অধিক পরিক্রমণকারী গ্রহ রয়েছে—আবিষ্কৃত সবচেয়ে ঘন সন্নিবেশিত মন্ডল। গ্রহমণ্ডলটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে সমতল মন্ডল আবিষ্কার পরবর্তী গবেষণার পর, গ্রহটি আরও পাঁচটি ভগ্নী গ্রহ সহ ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেয়া হয়। এটি আমাদের সৌরজগৎ থেকে সিগনাস তারামন্ডলে অবস্থিত। কেপলার-১১বি নামের দুটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশটি এর পরিক্রমনকারী তারা কেপলার-১১ থেকে নেয়া হয়েছে। কেপলার-১১বি অন্য সব গ্রহের সাথে একত্রে আবিষ্কার হওয়ার কারণে, কেপলার-১১বি-এর নামের পরে বি যুক্ত করা হয়েছে, কারণ আবিষ্কৃত ছয়টি গ্রহের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে অন্তর্বর্তী। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯৩

ফ্রিডম ফ্রম ফিয়ার

কেপলার-১১সি হলো একটি বহির্গ্রহ যা সূর্য-সদৃশ তারা কেপলার-১১-এর কক্ষপথে কেপলার মহাকাশযান কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়েছে। কেপলার নাসা কর্তৃক পরিচালিত একটি টেলিস্কোপ যা পৃথিবী সদৃশ গ্রহ খোঁজার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি তার মাতৃ তারার দ্বিতীয় গ্রহ এবং পাতলা হাইড্রোজেন-হিলিয়ামের আবহাওয়া নিয়ে প্রায় একটি মহাসাগরীয় গ্রহ। কেপলার-১১সি তারাটি কেপলার-১১ তারাকে প্রতি ১০ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে এবং এর আনুমানিক ঘনত্ব বিশুদ্ধ পানির প্রায় দ্বিগুণ। এর আনুমানিক ভর পৃথিবীর তুলনায় প্রায় তেরগুন এবং ব্যাসার্ধ পৃথিবীর প্রায় তিনগুন। আরও পাঁচটি গ্রহসহ কেপলার-১১সি প্রথম আবিষ্কৃত গ্রহমণ্ডল যার তিনের অধিক আবর্তনকারী গ্রহ রয়েছে। তারামণ্ডলটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে ঘনসন্নিবেশিত ও সমতল মন্ডল। এটি আমাদের সৌরজগৎ থেকে সিগনাস তারামণ্ডলে অবস্থিত। কেপলার-১১-এর অন্যান্য গ্রহসহ ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কেপলার-১১সি আবিস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়, এবং একদিন পর নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯৪

নেফেরিরকারের পিরামিড "নেফেরিরকারের বা" খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চবিংশ শতাব্দীতে মিশরের পঞ্চম রাজবংশের ফ্যারাও নেফেরিরকারে কাকাইয়ের জন্য নির্মিত হয়েছিল। এই পিরামিডটি গিজা ও সাক্কারার মধ্যবর্তী আবুসির সমাধিনগরীর উচ্চতম অংশের দীর্ঘতম স্থাপনা। এখনও এটি সমাধিনগরীর সর্বোচ্চ অংশে অবস্থিত। আবুসির প্যাপিরাই এই পিরামিড চত্বরে আবিষ্কৃত হওয়ায় মিশরতত্ত্ববিদদের কাছে এটির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীন রাজ্যের পঞ্চম রাজবংশের যুগেই মিশরে উচ্চমানের পিরামিড নির্মাণের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। এই যুগের পিরামিডগুলো ছিল আকারে ছোটো। তবে এই সময়েই পিরামিড প্রামাণ্য আকার ধারণ করতে শুরু করে এবং সেই সঙ্গে সূক্ষ্ম খোদাইচিত্রের অলংকরণেরও বহুল প্রচলন ঘটে। নেফেরিরকারের পিরামিডটি ছিল কিছুটা প্রথাবিরুদ্ধ; কারণ এটি নির্মিত হয়েছিল তৃতীয় রাজবংশের রাজত্বকালের (খ্রিস্টপূর্ব ষড়বিংশ বা সপ্তবিংশ শতাব্দী) পরে অচলিত হয়ে পড়া ধাপযুক্ত পিরামিড শৈলীতে। পরবর্তীকালে এটিকে আরেকটি ধাপযুক্ত পিরামিড দ্বারা আবৃত করা হয় এবং এটিকে প্রকৃত পিরামিডে রূপান্তরিত করার উদ্দেশ্যে এটির মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। অবশ্য ফ্যারাওয়ের অকালমৃত্যুর পর পিরামিডটি সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব হস্তান্তরিত হয় ফ্যারাওয়ের উত্তরসূরিদের হাতে এবং বাকি কাজ সস্তা নির্মাণসামগ্রীর দ্বারা তাড়াহুড়ো করে শেষ করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯৫

আমাক আগ্নেয়গিরি হলো আন্ডেসাইট দিয়ে গঠিত একটি মিশ্র আগ্নেয়গিরি যা অ্যাঙ্কোরেজ থেকে ৬১৮ মাইল (৯৯৫ কিমি) দূরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত। এটি নামীয় দ্বীপে অবস্থিত, ফ্রস্টি আগ্নেয়গিরি থেকে ৩১ মাইল (৫০ কিমি) দূরে এবং আলাস্কান উপদ্বীপের পশ্চিম দিকের প্রান্তের কাছে। কোল্ড বে, আমাক শহরের কাছে, বিমানে সহজে যাওয়া যায়। আমা’কে শুধুমাত্র নৌকায় যাওয়া যায়; দ্বীপে বিমান অবতরণের অনুমতি নেই। ব্যক্তিগত নৌকায় চড়ে যাওয়া যায়, তবে অ্যালেউটিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মৎস্য এবং বন্যপ্রাণী সেবা অধিদপ্তর থেকে অনুমতি প্রয়োজন। আমাক আগ্নেয়গিরি এরআগে তিনবার বিস্ফোরিত হয়েছিল। যা প্রায় ২৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, ১৭০০ থেকে ১৭১০ এর মধ্যে, এবং ১৭৯৬ সালে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯৬

শিরোনামহীন ১৯৯৬ সালে গঠিত ঢাকা ভিত্তিক বাংলা রক ব্যান্ড। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড সঙ্গীত থেকে উঠে এসে প্রোগ্রেসিভ রক, সাইকেডেলিক রক এবং লোক ধাঁচের সঙ্গীতের জন্য তারা খ্যাতি অর্জন করে। গানের দর্শন, সুর এবং জনবহুল সরাসরি পরিবেশনার জন্য দলটি বাংলা প্রোগ্রেসিভ রক ধারার শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ডগুলির একটি হয়ে ওঠে। শিরোনামহীন ১৯৯৬ সালে স্থাপত্য প্রকৌশল শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া (বেস), জুয়েল (গিটার) ও বুলবুল হাসান (কণ্ঠ)- এই তিনজন তরুণের সমন্বয়ে গঠিত হয়। ২০০২ সালে চতুর্থ সদস্য হিসেবে কণ্ঠশিল্পী তানজির তুহিন দলে যোগ দেন। জিয়া, ব্যান্ডের প্রাথমিক গীতিকার এবং ধারণাগত নেতা হয়ে ওঠে এবং ২০০৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম জাহাজী প্রকাশ করে। পরবর্তীতে তারা সমালোচনাপূর্ণ এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল অ্যালবাম ইচ্ছে ঘুড়ি (২০০৬), বন্ধ জানালা (২০০৯), রবীন্দ্রনাথ (২০১০) এবং শিরোনামহীন (২০১৩) প্রকাশ করে। তাদের "হাসিমুখ" (২০০৪) গানটি মুক্তির পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এছাড়াও তাদের জনপ্রিয় গানের মধ্যে "পাখি" ২০০৬ সালে সেরা গান বিভাগে সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক পুরস্কার লাভ করে। ব্যান্ডটি এছাড়াও দুটি চলচ্চিত্রের স্কোর পরিচালনা করেছে। ব্যক্তিগত অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে ২০১৭ সালে তুহিন শিরোনামহীন ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে নতুন ভোকাল হিসেবে শেখ ইশতিয়াক ব্যান্ডে যোগ দেন। এরপর ব্যান্ডটি ২০২২ সালে অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের ষষ্ঠ অ্যালবাম পারফিউম মুক্তি দেয়। একই বছর ব্যান্ডের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দা অনলি হেডলাইনার নামে একটি লাইভ অ্যালবাম প্রকাশ করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯৭

দ্য মারমেইড ১৯১০ সালের মার্কিন নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র, যেটি প্রযোজনা করেছে থানহাউসার কোম্পানি। চলচ্চিত্রটিতে জন গ্রে নামের এক হোটেল মালিকের চরিত্র আলোকপাত করা হয়েছে, যে চায় তার ব্যবসায়ে আবার নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হোক। মৎস্যকন্যা দৃশ্যত হয়েছে এমন একটি প্রতিবেদন পাঠের পর, গ্রে পত্রিকার প্রতিবেদককে ডেকে তার কন্যার মৎসকন্যা ভঙ্গিতে আলোকচিত্র তুলে ছাপিয়ে দেয়। এই প্রচারণার কারণে হোটেলটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে, কিন্তু ঘটনাক্রমে তার কন্যা ইথেল হোটেলের মারমেইড সুইটে আসা অতিথিদের সেই গোপন বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়। ১৯১০ সালের ২৯ জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি বেশিরভাগ ইতিবাচক মূল্যায়ন লাভ করেছিল। এছাড়া এটিকে নিখোঁজ চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই চলচ্চিত্রের দৃশ্যকল্প ঠিক কে লিখেছেন তা অজানা, তবে ধারণা করা হয় লয়েড লনারজান। কেননা যখন তিনি থানহাউসার প্রোডাকশনের স্ক্রিপরাইটারের কাজ করছিলেন তখন তিনি ছিলেন দা নিউ ইয়র্ক ইভিনিং ওয়াল্ড পত্রিকার একজন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী। এই চলচ্চিত্রের পরিচালকের নাম অজানা, তবে খুব সম্ভবত ব্যারি ও'নেইল। চলচ্চিত্র ইতিহাসবেত্তা কিউ. ডেবিড বাউয়ার্স এই প্রযোজনার জন্য একজন নয় বরং সম্ভাব্য দুইজন চিত্রগ্রাহকের অস্তিত্ব রয়েছে বলে ধারণা করেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯৮

শহীদুল জহির ছিলেন বাংলাদেশী ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, এবং সরকারি ঊর্ধ্বতন আমলা। তিনি বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার অন্যতম প্রবর্তক এবং বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি লেখক হিসেবে বিবেচিত। স্বকীয় ভাষাবিন্যাস এবং রীতি-ব্যবহার করে গল্প বলার নয়াকৌশলের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে তিনি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি যোগ করেছেন স্বতন্ত্র রীতি-পদ্ধতি, যা "শহীদুল জহিরীয়" ধারা বা প্রবণতা হিসেবে পরিচিত। তেইশ বছর বয়সে তিনি গল্প লেখা শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে তার প্রথম প্রকাশিত লেখা "ভালবাসা" গল্পটি প্রকাশিত হয়। জহিরের সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য স্বদেশ, রাজনৈতিক, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বাংলা ছোটগল্পে তিনি যুক্ত করেছেন নতুন মাত্রা। তার গল্পসংকলন পারাপার (১৯৮৫), ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (২০০০), এবং ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪)। তার রচিত গল্পসমূহ ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং বিশ্লেষিত হয়েছে। "ভালবাসা" (১৯৮৫), "পারাপার" (১৯৮৫), "আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই" (২০০০), "কাঠুরে ও দাঁড়কাক" (১৯৯২), "ডুমুরখেকো মানুষ" (২০০০), "এই সময়" (২০০০), "কাঁটা" (২০০০), "চতুর্থ মাত্রা" (২০০০), "কোথায় পাব তারে" (২০০৪), "ডলু নদীর হাওয়া" (২০০৪) প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য গল্প। জহিরের জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা (১৯৮৭) তার জাদুবাস্তবতাবাদী রচনার অন্যতম সংযোজন, যেটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য দলিল হিসাবে বিবেচিত। মৃত্যুর পর প্রকাশিত তার সর্বশেষ উপন্যাস আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু (২০০৯), প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১৫ পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও সে রাতে পূর্ণিমা ছিল (১৯৯৫) এবং মুখের দিকে দেখি (২০০৬) উপন্যাসগুলো বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন হিসেবে আলোচিত হয়। জীবদ্দশায় সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০০৪ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার এবং কাগজ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তার রচনা একাধিক ভাষায় অনুদিত হয়েছে, তার সৃষ্টিকর্মের অভিযোজনে নির্মিত হয়েছে একাধিক চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ও মঞ্চনাটক। জহির ছিলেন চিরকুমার। ২০০৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


১৯৯

বিয়ের নাচ (কখনো কখনো গ্রামের নাচ নামেও পরিচিত) হলো ১৫৫৬ সালে ফ্লেমিশ চিত্রশিল্পী পিটার ব্রুয়েঘল দি এলডার কর্তৃক কাঠের প্যানেলে আঁকা তৈলচিত্র। যেটি বর্তমানে মিশিগানের ডেট্রয়েট ইন্সটিটিউট অব আর্টস সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে। ১৯৩০ সালে চিত্রকর্মটি ঐ ইন্সটিটিউটের পরিচালক দ্বারা ইংল্যান্ডে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং তারপর ডেট্রয়েটে আনা হয়েছিল। ধারণা করা হয় যে এটি ব্রুগেল দ্বারা অঙ্কিত তিনটি ছবির সেটের একটি। ঐ সেটের বাকি ছবিগুলো হল কৃষকের বিয়ে (১৫৬৭) এবং কৃষকের নাচ (১৫৬৯)। এই চিত্রে ১২৫ জন বিয়ের অতিথিকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। যা ছিল রেনেসাঁ যুগের ঐতিহ্য, কনেদের পড়নে ছিল কালো পোশাক এবং পুরুষদের পড়নে কোডপিসেস (নিম্নাঙ্গের উপরে পরিধানযোগ্য এক ধরনের থলিবিশেষ)। পুরো চিত্র জুড়েই ভয়েইউরিসম (ঘনিষ্ঠ আচরণে অংশগ্রহণরত মানুষের উপর গোয়েন্দাগিরি করা) ফোটানো হয়েছে। ঐ সময়ে কর্তৃপক্ষ ও চার্চ কর্তৃক নাচ নিষিদ্ধ ছিল,এবং চিত্রকর্মে ঐ সময়ের বাঁধাধরা, যৌনতায় পরিপূর্ণ এবং অসংযত কৃষক সমাজের সমালোচনামূলক এবং রম্য চিত্রাঙ্কন হিসেবে দেখা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২০০

খাপলু প্রাসাদ একটি পুরাতন দুর্গ এবং প্রাসাদ যা পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের গিলগিত-বালতিস্তানের খাপলুতে অবস্থিত। প্রাসাদটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। কাশমিরের দর্গা আক্রমণ করার পর ১৮৪০ সালে খাপলুর যাবগো রাজা দৌলত আলি খান সরকারের দুর্গ স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই কারণেই তিনি খাপলু প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি খাপলুর রাজার বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করা হতো। প্রাসাদটি বালতিস্তান এবং কাশ্মীরের কর্মীদের সাহায্যে তৈরি হয়েছিল। একাধিক অঞ্চলের সীমান্তে অবস্থানের কারণে প্রাসাদটি তিব্বত, কাশ্মীর, লাদাখ, বালতিস্তান, মধ্য এশিয়াকে প্রভাবিত করছে। প্রাসাদ ভবনটি কাঠ, কাদার ইট, কাদামাটি এবং হামানদিস্তা দিয়ে গঠিত চারতলা বিশিষ্ট ভবন। যাবগো বংশের রাজা হাতিম খান বালতিস্তান অধিকাংশ অঞ্চল জয়ের পর স্কার্দুর প্রাসাদ প্রবেশের দুর্গে একটি কাঠের প্রবেশদ্বার তৈরি করেছিলেন। ২০০৫ থেকে ২০১১ সালে প্রাসাদটির অসুরক্ষিত এবং অনিরাপদ অবস্থার কারণে এটি আগা খান ট্রাস্ট ফর কালচার নামক একটি পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চলে যায় এবং পরবর্তীতে প্রকল্পটি প্রাসাদটির পুনঃনির্মাণ সম্পন্ন করে। বর্তমানে প্রাসাদটি একটি হোটেল ঘর হিসেবে ব্যবহার হয়। সেরেনা হোটেল এবং বালতিস্তানের ইতিহাস, ঐতিহ্য বর্ণনাকারী একটি হোটেল এটি পরিচালনা করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২০১

টিনটিনহাল বাগান, সমারসেটের ইংলিশ প্রদেশের ইয়োভিলের নিকট টিনটিনহালে অবস্থিত, ক্ষুদ্রাকৃতির ২০ শতকের চারু ও কারু শিল্প বাগান। এখানে ১৭ শতাব্দীর গ্রেড ১ তালিকাভুক্ত একটি বাড়িকে রয়েছে। ভূসম্পত্তিটির মালিকানা ন্যাশনাল ট্রাস্টের অধীনে। বছরে প্রায় ২৫,০০০ মানুষ এখানে পরিদর্শনে আসেন। ১৬৩০ সালে একটি ছোট খামারবাড়ি হিসাবে বাড়িটির যাত্রা শুরু, কিন্তু ১৮ শতকের দিকে এটি পরিবর্ধিত করে বর্তমান রূপ দেয়া হয়। শতাব্দী ধরে বাড়িটির স্বত্বাধিকারী রাখার পর ন্যাপার পরিবার ১৯৫৪ সালে বাড়িটি ন্যাশনাল ট্রাস্টকে দেয়। হিডকট ম্যানোর উদ্যানের ছাঁচে একে চারু ও কারুশিল্প রূপ দেওয়া হয়। এটি মূলত ১৯৩৩ সাল থেকে ফিলিস রেইস দ্বারা নির্মিত এবং পেনেলোপি হবহাউস দ্বারা উন্নত হয়। মূল খামারবাড়িটি ১৬৩০ সালে হ্যামস্টোনে নির্মিত হয়েছিলো, যেটি বর্তমানে টিনটিনহাল বাড়িতে রূপ নিয়েছে। ১৯৩৩ সালের দিকে ফিলিস রেইস "হিডকট"-এর আদলে পুনর্বিন্যাস ও বর্ধিতকরণের কাজ শুরু করেন। বাগানটি ন্যাশনাল রেজিস্টার অব হিস্টরিক পার্কস অ্যান্ড গার্ডেন্সের অন্তর্ভুক্ত। (বাকি অংশ পড়ুন...)


২০৪

দেশি সারস
দেশি সারস

দেশি সারস উড়তে সক্ষম পাখিদের মধ্যে সর্ববৃহৎ। এর উচ্চতা প্রায় ১.৮ মিটার বা ৫.৯ ফুট। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের বিচরণ, প্রায় ১৮ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। ১৮৫০ সালের তুলনায় এদের বর্তমান সংখ্যা ১০% থেকে ২.৫% পর্যন্ত কমে গেছে। ধূসর শরীর আর গাঢ় লাল মাথা মাথার জন্য এদের খুব সহজে এ অঞ্চলের অন্যসব সারস থেকে আলাদা করা যায়। অগভীর জলাশয় আর জলাভূমিতে এরা তৃণমূল, শল্ক, পোকামাকড়, চিংড়ি, ছোট স্তন্যপায়ী ও মাছ খুঁজে বেড়ায়। ভারতে দেশি সারস বৈবাহিক স্থায়ীত্বের প্রতীক। এরা খুবই এলাকাকাতর প্রাণী। প্রতিটি জোড়া নিজেদের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকা তৈরি করে এবং সেই এলাকায় অনুপ্রবেশকারীকে সহ্য করে না। বর্ষাকাল এদের প্রজনন মৌসুম এবং এ সময়ে অগভীর পানিতে নলখাগড়া, জলজ উদ্ভিদ, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে এরা প্রায় দুই মিটার ব্যাসবিশিষ্ট দ্বীপের মত বাসা তৈরি করে থাকে। (বাকি অংশ পড়ুন...)