ধোপাকান্দি ইউনিয়ন
ধোপাকান্দি ইউনিয়ন | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে ধোপাকান্দি ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২১′০৯″ উত্তর ৮৯°৫৭′১৯″ পূর্ব / ২৪.৩৫২৫° উত্তর ৮৯.৯৫৫৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
উপজেলা | গোপালপুর উপজেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৪ |
সরকার | |
• ধরন | ইউনিয়ন |
আয়তন | |
• মোট | ২১.৮৮ বর্গকিমি (৮.৪৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ২৮,৫৪৫ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৪০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৯৯০ |
এলাকা কোড | ৯২২৬ |
ওয়েবসাইট | http://dhopakandiup.tangail.gov.bd |
ধোপাকান্দি ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত গোপালপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১]
অবস্থান
[সম্পাদনা]এই উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪°২১′০৯″ উত্তর ৮৯°৫৭′১৯″ পূর্ব / ২৪.৩৫২৫° উত্তর ৮৯.৯৫৫৪° পূর্ব। এর উত্তরে- নগদাশিমলা, পূর্বে- গোলাবাড়ী, দক্ষিণে- গোলাবাড়ী ও দেলদুয়ার উপজেলা, পশ্চিমে- টাঙ্গাইল সদর উপজেলা। [১]
ভৌগোলিক উপাত্ত
[সম্পাদনা]ধোপাকান্দি ইউনিয়নের মোট আয়তন ৫৪০৮ একর। [২]
ইউনিয়ন এর আয়তন ১৯১.৪৮ বর্গকিলোমিটার, ৭৩.৯৩ বর্গমাইল, ৪৭৩১৫ একর। [৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪৩ সালে প্রথম ধোপাকান্দি, রামনগর গ্রাম নিয়ে ধোপাকান্দি ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যানকে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। ১৯৫৪ সালে প্রথম গ্রাম প্রেসিডেন্ট হন হাতেম আলী তালুকদার। তারপর পর্যায়ক্রমে গোলাম হোসেন সরকার, সাদত আলী গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান মহকুমা জুরি বোর্ড এর সদস্য ডা: রেয়াজ উদ্দিন সরকার প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মনোনীত হন এবং তিনিই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে তৈয়ব আলী, আ: মতিন (ভারপ্রাপ্ত), মাজেদুল ইসলাম সরকার (২য় বার নির্বাচিত), তৈয়ব আলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে তৎকালীন প্রশাসক ধোপাকান্দি ইউনিয়ন থেকে সাহাপুর গ্রাম কে পৃথক করে ধোপাকান্দি নামে আলাদা ইউনিয়ন গঠন করা হয়। বর্তমানে ১৯টি ছোট বড় গ্রাম মিলিয়েই ধোপাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ।
ধোপাকান্দি ইউনিয়নের নাম নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে, পুর্বে ধোপাকান্দি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামেই হিন্দুদের আধিপত্য ছিল। রাধারমন সিংহ ও আশু সিংহ ছিলেন মাঝিবাড়ী গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম তারাই প্রথম ধোপাকান্দি ইউনিয়ন নামের প্রস্তাবকারী ছিলেন। অন্যটি হল সাজানপুর, পূর্ব পঞ্চাশ, চরেরভিটা সহ আরো কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একটি বড় বিল থাকায় নাকি ধোপাকান্দি নামকরণ করা হয়। তবে ঐ সময়ে নৌকাই ছিল ধোপাকান্দি ইউনিয়নের একমাত্র বাহন। [১]
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের ২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ধোপাকান্দি ইউনিয়নের জনসংখ্যা ২৮৫৪৫ জন। এদের মধ্যে ১৪৭২৭ জন পুরুষ এবং ১৩৮১৮ জন মহিলা। ভোটার সংখ্যাঃ ১৭৮৬৪জন।,
গ্রাম ভিত্তিক লোকসংখ্যা
[সম্পাদনা]ক্র | গ্রামের নাম | জনসংখ্যা | ক্র | গ্রামের নাম | জনসংখ্যা | |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | বাগুয়া | ২১৭ জন | ১৮ | বরুরিয়া | ২৩৫৮ জন | |
২ | বন্দমামুদপুর | ৩৬৭ জন | ১৯ | কৃষ্ণপট্টি | ৬৪০ জন | |
৩ | বড়ামা | ২৩৫৩ জন | ২০ | কুড়িপাখিয়া | ১৫৭২ জন | |
৪ | বেতবাড়ী | ৭৪৯ জন | ২১ | লক্ষীপুর | ৬৪৩ জন | |
৫ | শুকদেববাড়ী | ৫২১ জন | ২২ | মাঝিবাড়ী | ৫৬৯ জন | |
৬ | ভূটিয়া | ২৩৯৩ জন | ২৩ | মিশ্রপট্টি | ৯১৬ জন | |
৭ | ভূটিয়া কামদেববাড়ী | ৯৭২ জন | ২৪ | মুকুন্দবাড়ী | ৪৩৪ জন | |
৮ | বিষ্ণুপুর | ৬২২ জন | ২৫ | নারায়নপুর | ৯৩৪ জন | |
৯ | চকসোনামুদী | ৭৪৯ জন | ২৬ | পঞ্চাশ | ১৬১৫ জন | |
১০ | চরেরভিটা | ৭১৯ জন| | ২৭ | পিচুরিয়া | ৬১৩ জন | |
১১ | ধোপাকান্দি | ১৩০২ জন | ২৮ | রামজীবনপুর | ৬৮৯ জন | |
১২ | গাড়ালিয়া | ৪৬৫ জন | ২৯ | রামপুর কন্ঠ রামনগর | ৬১৬ জন | |
১৩ | গাড়ালিয়াপাড়া | ১১৪১ জন | ৩০ | সাফলাবাড়ী | ১৩২৯ জন | |
১৪ | জাঙ্গালিয়া | ৩৫৮ জন | ৩১ | সাহাপুর | ৮১৩ জন | |
১৫ | জোতবিষ্ণুপুর | ৭১১ জন | ৩২ | সাজানপুর | ১০৫১ জন | |
১৬ | জোতগোপাল | ১৩৬৩ জন | ৩৩ | সাতডুম্বর | ৪২০ জন | |
১৭ | কদিমসাতডুম্বর | ১৩৬ জন | ৩৪ | সুজনবাড়ী | ৪৯২ জন | |
সর্বমোট = ২৯,৫৭৪ জন [৪] |
ভাষা ও সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]গোপালপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান গত দিক থেকে ধোপাকান্দি ইউনিয়নের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। গোপালপুর উপজেলায় নিকটে অবস্থিত এই ইউনিয়নকে ঘিরে রয়েছে মধুপুর, ধনবাড়ী, উপজেলা। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে।আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত টাঙ্গাইলের ভাষার অনেকটা সাযুজ্য রয়েছে।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]শিক্ষার হারঃ ৪০.১৩% [৫]
নদী ও খাল
[সম্পাদনা]১। বৈরান নদী, ধোপাকান্দি থেকে গোপালপুর।
খালের নাম:
১। বসম বীলের খাল
২। নরিল্লির খাল
৩। বেনাই বিলের খাল
৪। গাঙ্গাপাড়ার খাল
৫। কাতিলা বিলের খাল
হাট-বাজারের-তালিকা
[সম্পাদনা]ক্রমিক | নাম | ঠিকানা |
১ | রামনগর হাট | রামনগর, বরুরিয়া, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। |
২ | ধোপাকান্দি বাজার হাট | ধোপাকান্দি, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। |
৩ | সাজানপুর বাজার হাট | সাজানপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। |
বিবিধ
[সম্পাদনা]সেতু: ৪০২টি, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র: ১টি, কমিনিউটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র: ৪টি।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- হাদিরা
- নগদাশিমলা
- ঝাওয়াইল
- হেমনগর
- আলমনগর
- মির্জাপুর
- ফলদা
- ঘাটাইল উপজেলা
- গোপালপুর উপজেলা
- ভূঞাপুর উপজেলা
- মধুপুর উপজেলা
- ধনবাড়ী উপজেলা
- টাঙ্গাইল
- টাঙ্গাইল সদর উপজেলা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "গোপালপুর উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৯।
- ↑ "Population and Housing Sensus 2011" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ও তথ্য মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন"। bangladesh.gov.bd। ২৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টে ২০১৯।
- ↑ "বাংলাপিডিয়া"। ২৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "বাংলাপিডিয়া"। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯।