নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চল
নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চল 長崎県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 長崎県 |
• রোমাজি | Nagasaki-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কিউশু |
দ্বীপ | কিউশু |
রাজধানী | নাগাসাকি |
আয়তন | |
• মোট | ৪,১০৫.৪৭ বর্গকিমি (১,৫৮৫.১৩ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৩৭শ |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• মোট | ১৪,০৭,৯০৪ |
• ক্রম | ২৬শ |
• জনঘনত্ব | ৩৫১/বর্গকিমি (৯১০/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-42 |
জেলা | ৪ |
পৌরসভা | ২১ |
ফুল | উন্যেন্ ৎসুৎসুজি (রোডোডেন্ড্রন সার্পিলিফোলিয়াম) |
গাছ | সাওয়ারা (ক্যামেসাইপারিস পিসিফেরা) |
পাখি | ম্যান্ডারিন হাঁস (আইক্স গ্যালেরিকুলাটা) |
ওয়েবসাইট | www |
নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চল (長崎県? নাগাসাকি কেন্) হল জাপানের কিউশু দ্বীপে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী নাগাসাকি নগর।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মেইজি পুনর্গঠনের সময় হিযেন প্রদেশের পশ্চিমার্ধের সাথে দ্বীপ-প্রদেশ ৎসুশিমা ও ইকি-কে জুড়ে দিয়ে নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চল গঠন করা হয়।[৩] চীন ও কোরিয়ার সমীপবর্তী হিরাদো অঞ্চলটি বহুকাল ধরে বণিক ও জলদস্যু উভয়েরই ঘাঁটি হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে।
ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগাল থেকে আগত ক্যাথলিক মিশনারি ও বণিকরা এখানে সক্রিয় হয়ে ওঠে। নাগাসাকি বৈদেশিক বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়। ওদা নোবুনাগার শাসনকালে মিশনারিরা অবাধ বিচরণের অধিকার পেলেও ক্রমে এই অধিকার খর্ব হতে হতে তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের আমলে সাকোকু নামক জাতীয় বিচ্ছিন্নতাপরায়ণ নীতি অনুযায়ী জাপানে খ্রিষ্ট ধর্ম নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এই সময়ে জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য শুধুমাত্র চীন ও নাগাসাকির দেজিমায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা ওলন্দাজ বণিকদের সাথে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। যদিও অলক্ষ্যে জাপানি খ্রিষ্টান বা “কিরিশিতান” সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট উপাসনা চলতে থাকে। আজ নাগাসাকিতে একটি সমৃদ্ধ চীনা বসতি রয়েছে,[৪] আর নাগাসাকির খ্রিষ্ট উপাসনাস্থলগুলিকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকাভুক্ত করার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে।
মেইজি পুনর্গঠনের সময় নাগাসাকি ও সাসেবো নগর ক্রমে মুখ্য বন্দর থেকে জাপান সাম্রাজ্যের নৌঘাঁটি হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নাগাদ মিৎসুবিশি কোম্পানির ভারী শিল্পের কেন্দ্রও এখানে গড়ে ওঠে। ১৯৪৫ এর ৯ই আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাগাসাকিতে একটি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বিস্ফোরণের স্থল থেকে চারদিকে এক মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে যত বাড়ি ছিল সবগুলি তৎক্ষণাৎ ধূলিসাৎ হয়ে যায় এবং নগরে এই সীমার বাইরের অংশেও প্রভূত ক্ষতিসাধন হয়। কমবেশি ৩৯,০০০ জনের প্রাণহানি হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন ২৭,৭৭৮ জন অস্ত্রনির্মাতা, ২০০০ কোরীয় বন্দী শ্রমিক এবং ১৫০ জন জাপানি সেনা। শিল্পাঞ্চলের ৬৮ থেকে ৮০% উৎপাদন ধ্বংস হয়ে যায়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে সমগ্র নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের এক বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল।
ভূগোল
[সম্পাদনা]নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের পূর্বে সাগা প্রশাসনিক অঞ্চল ও অন্য সব দিকে ঘিরে আছে সমুদ্র। নাগাসাকিকে ঘিরে থাকা জলভাগগুলি হল আরিয়াকে উপসাগর, ৎসুশিমা প্রণালী ও পূর্ব চীন সাগর। ৎসুশিমা ও ইকি দ্বীপ সমেত অজস্র দ্বীপ নাগাসাকির অন্তর্গত। এই প্রশাসনিক অঞ্চলের উপকূলভাগ অতি ভগ্ন, অতঃপর অতি দীর্ঘ। সাসেবোতে একটি মার্কিন নৌঘাঁটি আছে।
২০১৪ এর ১লা এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী সমগ্র নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের ১৮ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে সাইকাই ও উন্যেন-আমাকুসা জাতীয় উদ্যান; গেঙ্কাই ও ইকি-ৎসুশিমা উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Nagasaki prefecture" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 683, পৃ. 683,.
- ↑ Nussbaum, "Nagasaki" in গুগল বইয়ে p. 683, পৃ. 683,.
- ↑ Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,.
- ↑ ようこそ 長崎新地中華街へ
- ↑ "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। ১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।