নিকোলাই সেমিয়োনভ
নিকোলাই সেমিয়োনভ | |
---|---|
জন্ম | নিকোলাই নিকোলায়েভিচ সেমিয়োনভ ১৫ এপ্রিল [পুরোনো শৈলীতে ত এপ্রিল] ১৮৯৬ |
মৃত্যু | ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬ মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন | (বয়স ৯০)
সমাধি | নোভোদেভিচি সমাধিক্ষেত্র, মস্কো |
জাতীয়তা | রুশ |
পরিচিতির কারণ | রাসায়নিক রূপান্তর |
পুরস্কার | রসায়নে নোবেল পুরস্কার (১৯৫৬) লোমনোসভ স্বর্ণপদক (১৯৬৯) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিদ এবং রসায়নবিদ |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | আব্রাম ইওফি |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | ডেভিড এ ফ্র্যাঙ্ক-কামেনিটস্কি |
নিকোলাই নিকোলায়েভিচ সেমিয়োনভ,[১] (রুশ: Никола́й Никола́евич Семёнов; ১৫ এপ্রিল ১৮৯৬ – ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬) একজন রুশ/সোভিয়েত পদার্থবিদ এবং রসায়নবিদ ছিলেন। সেমিয়োনভকে রাসায়নিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া সম্পর্কিত তাঁর গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৬ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
জীবন এবং কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সেমিয়োনভ জন্মগ্রহণ করেন সারাতোভে, এলেনা দিমিত্রিয়েভা এবং নিকোলাই আলেক্স সেমিয়োনভের পুত্র।[২] তিনি পেট্রোগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (১৯১৩ – ১৯১৭) পাশ করেন, যেখানে তিনি আব্রাম ফায়োদরোভিচ আইওফের ছাত্র ছিলেন। ১৯১৮ সালে তিনি সামারা চলে যান, সেখানে রুশ গৃহযুদ্ধের সময় তাকে কালচকের হোয়াইট আর্মিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
১৯২০ সালে, তিনি পেট্রোগ্রাদে ফিরে আসেন এবং পেট্রোগ্রাড ফিজিকো-টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রন পরীক্ষাগারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ইনস্টিটিউটের সহ-পরিচালকও হন। ১৯২১ সালে তিনি ভাষাতত্ত্ববিদ মারিয়া বোরিশে-লিভারভস্কি (ঝিরমুনস্কির ছাত্রীকে) বিয়ে করেন। বিয়ের দু'বছর পরেই তিনি মারা যান। ১৯২৩ সালে নিকোলাই মারিয়ার ভাগ্নী নাটালিয়া নিকোলেভনা বুর্সেভাকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক ছেলে (ইউরি) এবং এক কন্যা (লিউডমিলা) রয়েছে।
সেই কঠিন সময়ে, সেমিয়োনভ পিয়োতর কাপিৎসা সাথে একত্রে একটি আণবিক নিউক্লিয়াসের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র (১৯২২) পরিমাপ করার একটি উপায় আবিষ্কার করেছিলেন। পরে পরীক্ষামূলক সেটআপটি অটো স্টার্ন এবং ওয়ালথার গের্লাচের দ্বারা উন্নত হয় এবং স্টার্ন-গের্লাচ পরীক্ষা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
১৯২৫ সালে, সেমিয়োনভ ইয়াকভ ফ্রেঙ্কেলের সাথে গতিবিদ্যারঘনীভবন এবং পরিশোষণ এর বাস্প অধ্যয়ন করেন। ১৯২৭ সালে, তিনি গ্যাসীয় আয়নীকরণ অধ্যয়ন করেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বই কেমেস্ট্রি অব দ্য ইলেক্ট্রন বইটি প্রকাশ করেন। ১৯২৮ সালে তিনি ভ্লাদিমির ফকের সাথে তাপের সংহতিনাশক স্রাবের অন্তরক তত্ত্ব সৃষ্টি আবিষ্কার করেন।
তিনি পেট্রোগ্রাদ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে প্রভাষক ছিলেন এবং ১৯২৮ সালে অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯৩১ সালে, তিনি সোভিয়েত বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির রাসায়নিক পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট গঠন করেছিলেন (যা ১৯৪৩ সালে চেরনোগলভকায় স্থানান্তরিত হয়েছিল) এবং এর প্রথম পরিচালক হয়েছিলেন। ১৯৩২ সালে তিনি সোভিয়েত একাডেমি অফ সায়েন্সের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করেন।
উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্ম
[সম্পাদনা]রাসায়নিক রূপান্তর ব্যবস্থা বিষয়ে সেমিয়োনভের অসামান্য কাজের মধ্যে বিভিন্ন শৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া (১৯৩৪-১৯৫৪) এবং আরও উল্লেখযোগ্যভাবে দহন প্রক্রিয়ায় চেইন প্রতিক্রিয়া তত্ত্বের প্রয়োগের সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি ডিজেনারেট ব্রাঞ্চিংয়ের একটি তত্ত্ব প্রস্তাব করেছিলেন, যার ফলে জারণ প্রক্রিয়াগুলির আবেশন সময়ের সাথে সম্পর্কিত ঘটনাটি সম্পর্কে আরও ভাল বোঝা যায়।
সেমিয়োনভ তাঁর কাজের রূপরেখা নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছিলেন। কেমিক্যাল কাইনেটিক্স এন্ড চেইন রিয়েকশন ১৯৩৪ সালে, এটি ইংরেজি সংস্করণ সহ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। এটি ইউএসএসআর-এর প্রথম বই ছিল যা রসায়নের ব্রাঞ্চবিহীন এবং ব্রাঞ্চযুক্ত চেইন প্রতিক্রিয়াগুলির বিশদ তত্ত্ব বিকাশ করেছিল। সাম প্রবলেম অব কেমিক্যাল কাইনেটিক্স এন্ড রিয়েক্টিভিটি ১৯৫৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়, সংশোধিত হয়েছিল ১৯৫৮ সালে; এছাড়াও বইটির ইংরেজি, আমেরিকান, জার্মান এবং চীনা সংস্করণ রয়েছে। ১৯৫৬ সালে, তিনি এই কাজের জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন (স্যার সিরিল নরম্যান হিনশেলউডের সাথে)।
সম্মান ও পুরস্কার
[সম্পাদনা]- অর্ডার্স অব লেনিন, নয় বার[৩] (অন্তর্ভুক্ত ১৯৪৫, ১৯৫৩, ১৯৫৬, ১৯৬৬, ১৯৭১, ১৯৭৬, ১৯৮১[৪])
- স্ট্যালিন পুরস্কার (১৯৪১, ১৯৪৯)[৪]
- ব্রিটিশ কেমিক্যাল সোসাইটির সম্মানিত সদস্য (১৯৪৩)
- অর্ডার অব দ্য রেড ব্যানার অব লেবার (১৯৪৬)[৪]
- ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সম্মানিত সদস্য (১৯৫৪)
- রসায়নে নোবেল পুরস্কার (১৯৫৬)
- রয়েল সোসাইটি লন্ডনের বৈদেশিক সদস্য (১৯৫৮)[৫]
- জার্মান বিজ্ঞান একাডেমি লিওপল্ডিনা সদস্য (১৯৫৯)[৬]
- হাঙ্গেরীয় বিজ্ঞান একাডেমির সম্মানিত সদস্য (১৯৬১)
- নিউইয়র্ক একাডেমি অব সায়েন্সের সম্মানিত সদস্য (১৯৬২)
- মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির বৈদেশিক সদস্য (১৯৬৩)
- রোমানীয় একাডেমির সম্মানিত সদস্য (১৯৬৫)
- হিরো অব সোসিয়ালিস্ট লেবার, দুবার (১৯৬৬, ১৯৭৬)[৪]
- লোমনোসভ স্বর্ণপদক (১৯৬৯)
- লেনিন পুরস্কার (১৯৭৬)[৪]
- অর্ডার অব দ্য অক্টোবর রেভ্যুলুশন (১৯৮৬)[৪]
- "ভ্লাদিমির ইলাইচ লেনিনের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে" পদক
- মেন্দেলিভ পুরস্কার[৪]
সেমিয়োনভ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিও লাভ করেন: অক্সফোর্ড (১৯৬০), ব্রাসেলস (১৯৬২), লন্ডন (১৯৬৫), বুদাপেস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি (১৯৬৫), পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অফ মিলান (১৯৬৪) এবং অন্যান্য।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "СЕМЁНОВ, Николай. Лауреаты Нобелевской премии. Наука и техника"। web.archive.org। ২০১৫-০৫-০২। Archived from the original on ২০১৫-০৫-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।
- ↑ Nikolai N. Semenov Summary।
- ↑ "1956 Nobel Prize Winner in Chemistry : Soviet Scientist Nikolai Semyonov Dies"। Los Angeles Times। ১ অক্টোবর ১৯৮৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Nikolai Nikolaevich Semenov"। encyclopedia.com। Complete Dictionary of Scientific Biography। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টো ২০১১।
- ↑ Dainton, Frederick Sydney (১৯৯০-১২-০১)। "Nikolai Nikolaevich Semenov, 16 April 1896 - 25 September 1986"। Biographical Memoirs of Fellows of the Royal Society। 36: 526–546। ডিওআই:10.1098/rsbm.1990.0042 ।
- ↑ "List of Members"। www.leopoldina.org। ৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- নোবেল প্রাইজ ডট অর্গ সাইটে নিকোলাই সেমিয়োনভের নোবেল বক্তৃতা, ১১ ডিসেম্বর ১৯৫৬
- শৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া এবং দহন তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত কিছু সমস্যা সেমিয়ানোভের নোবেল বক্তৃতা
- এনএন সেমিয়োনভ ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল ফিজিক্স
- সেমিয়ানোভের জীবনী (রুশ ভাষায়)
- সেমিয়ানোভের আরেকটি জীবনী (রুশ ভাষায়)
- ১৮৯৬-এ জন্ম
- ১৯৮৬-এ মৃত্যু
- রুশ রসায়নবিদ
- নোবেল বিজয়ী রসায়নবিদ
- রুশ নোবেল বিজয়ী
- সোভিয়েত পদার্থবিজ্ঞানী
- রুশ পদার্থবিজ্ঞানী
- সোভিয়েত নোবেল বিজয়ী
- লেনিন পুরস্কার বিজয়ী
- স্তালিন পুরস্কার বিজয়ী
- ফরাসি বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য
- রয়েল সোসাইটির বিদেশি সদস্য
- সেন্ট পিটার্সবার্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী