বিষয়বস্তুতে চলুন

পল রেইফেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পল রেইফেল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
পল রোনাল্ড রেইফেল
জন্ম (1966-04-19) ১৯ এপ্রিল ১৯৬৬ (বয়স ৫৮)
বক্স হিল, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামপিস্টল
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৫২)
১-৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৬-১০ মার্চ ১৯৯৮ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১০৮)
১৪ জানুয়ারি ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২০ জুন ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৮–২০০২ভিক্টোরিয়া
২০০০নটিংহ্যামশায়ার
আম্পায়ারিং তথ্য
টেস্ট আম্পায়ার৪ (২০১২–বর্তমান)
ওডিআই আম্পায়ার৩০ (২০০৯–বর্তমান)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৫ ৯২ ১৬৮ ১৫৮
রানের সংখ্যা ৯৫৫ ৫০৩ ৩৬৯০ ৮৮২
ব্যাটিং গড় ২৬.৫২ ১৩.৯৭ ২৪.৭৬ ১৪.০০
১০০/৫০ –/৬ –/১ ০/১৮ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৭৯* ৫৮ ৮৬ ৫৮
বল করেছে ৬৪০৩ ৪৭৩২ ৩২৭৭২ ৭৮৩০
উইকেট ১০৪ ১০৬ ৫৪৫ ১৬৬
বোলিং গড় ২৬.৯৬ ২৯.২০ ২৬.৪০ ৩১.০৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৭১ ৪/১৩ ৪/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৫/– ২৫/– ৭৭/০ ৪৪/০
উৎস: Cricinfo, ২৬ মার্চ ২০১৩

পল রোনাল্ড রেইফেল (ইংরেজি: Paul Ronald Reiffel; জন্ম: ১৯ এপ্রিল, ১৯৬৬) ভিক্টোরিয়া প্রদেশের বক্স হিলে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন পল রেইফেল। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করছেন।[] বর্তমানে তিনি আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকায় অন্যতম সদস্য হিসেবে আছেন।

পারিবারিক জীবন

[সম্পাদনা]

রেইফেলের পিতা রন রেইফেল রিচমন্ড ফুটবল ক্লাবে খেলেছেন। দাদা লো রেইফেলও অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলে অংশ নিয়েছেন। তারা উভয়েই মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাব এবং দক্ষিণ মেলবোর্নের সিডনি সোয়ান্সের হয়ে খেলেন।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন রেইফেল। ১৯৯৩ সালে এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত টেস্টে তিনি তার সেরা বোলিং করেন। ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৬ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন মাত্র ৭১ রান দিয়ে। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৫ টেস্টে অংশ নিয়ে ২৫.৯৬ রান গড়ে ১০৪ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট লাভ করেন পাঁচবার। নিখুঁত বোলারের প্রধান অস্ত্র হিসেবে তিনি সিম বোলিং করতেন।[] ব্যাটিংয়ে তেমন ভাল না করলেও বল আটকাতে পারতেন তিনি।

ভিক্টোরিয়া বুশর‌্যাঞ্জার্সের অধিনায়ক হিসেবে মাইকেল ক্লিঙ্গারকে সাথে নিয়ে ৯৯* রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন রেইফেল।[]

আম্পায়ারিং জীবন

[সম্পাদনা]

২০০২ সালে মেলবোর্নের গ্রেড ক্রিকেট পরিচালনার পর ২০০৪-০৫ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষিক্ত হন রেইফেল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আম্পায়ারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন ২০০৫-০৬ মৌসুমে।[][] পরবর্তীতে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক আম্পায়ার ও রেফারীদের আন্তর্জাতিক তালিকায় সদস্য হন।[] ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটে মাঠে অবস্থানকারী আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটে তার।[] এছাড়াও তিনি জুলাই-আগস্ট, ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার অনুষ্ঠিত দুই টেস্টেই আম্পায়ার ছিলেন।

জুন, ২০১৩ সালে আম্পায়ারদের দক্ষতা সংক্রান্ত বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় আসাদ রউফসহ বিলি বাউডেনকে বাদ দেয়া হয়। তন্মধ্যে, রউফের বিরুদ্ধে আইপিএলে খেলা গড়াপেটায় মুম্বাই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ অন্তর্ভুক্ত ছিল। উভয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং পল রেইফেল-সহ ১২ সদস্যের আম্পায়ারগণ ২০১৩-২০১৪ মৌসুম পর্যন্ত আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।[]

২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় খেলা পরিচালনার জন্য ২০জন আম্পায়ারের একজন হিসেবে মনোনীত হন তিনি।[]

পল রেইফেলের টেস্ট ক্যারিয়ারের ব্যাটিং পারফরমেন্স

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Players and Officials - Paul Reiffel"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৪ 
  2. Holmesby, Russell & Main, Jim (২০০৭)। The Encyclopedia Of AFL Footballers। BAS Publishing। আইএসবিএন 978-1-920910-78-5 
  3. Ahmed, Nabila (৭ নভেম্বর ২০০৫)। "Klinger takes four years to finish century"The Age। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৪ 
  4. "Reiffel picked on national umpire's panel"। Cricinfo। ১২ মে ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৪ 
  5. Daffey, Paul (২৭ অক্টোবর ২০০২)। "Reiffel's right decision"The Age। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৪ 
  6. "Reiffel continues rise through umpiring ranks"Sydney Morning Herald। ২৪ অক্টোবর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৪ 
  7. Australia v New Zealand, Cricinfo, 6 February 2009.
  8. ICC news, Rauf, Bowden dropped from Elite umpires' list, retrieved: 25 June, 2013
  9. ""ICC announces match officials for ICC Cricket World Cup 2015"। ICC Cricket। 2 December 2014। সংগৃহীত 12 February 2015"। ৩০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]