বাইটাইগারস.কম
সাইটের প্রকার | হাস্যরসাত্মক ওয়েবসাইট |
---|---|
মালিক | অ্যালডো ট্রিপিসিয়ানো |
প্রস্তুতকারক | অ্যালডো ট্রিপিসিয়ানো |
ওয়েবসাইট | buytigers |
বাণিজ্যিক | নয় |
চালুর তারিখ | ৫ মার্চ ২০০৬ |
বর্তমান অবস্থা | নিষ্ক্রিয় |
বাইটাইগারস.কম একটি ব্যঙ্গাত্মক ওয়েবসাইট, যা অনলাইনে বাঘ বিক্রি এবং বিশ্বব্যাপী তাদের পাঠানোর দাবি করত। পিপল ফর দ্যা এথিকাল ট্রিটমেন্ট অফ এনিমেলস(পেটা) -র অভিযোগের পরে ওয়েবসাইটটির মালিক এটি ভুয়া সাইট বলে স্বীকার করেছেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাইটাইগারস.কম সাইটের নকশা করেন অ্যালডো ট্রিপিসিয়ানো নামের একজন ইতালীয় ওয়েবমাস্টার এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) বিশেষজ্ঞ। ২০০৬ সালের ৫ মার্চে ত্রিপিসিয়ানো বাইটাইগারস.কম সাইটের প্রথম সংস্করণটি একটি ব্যক্তিগত ওয়েব সার্ভারে প্রকাশ করেন। ট্রিপিসিয়ানোর প্রচারের ফলে সাইটটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় ও একইসাথে প্রাণী অধিকারকর্মীদের দ্বারাও সমালোচিত হয়। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে পেটা ভারত সরকার ও ইতালিয়ান গার্ডিয়া ডি ফিনানজা-র কাছে এ বিষয়ে আবেদন করে। [১][২][৩] তদন্তের পরে ত্রিপিসিয়ানো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন যে, সাইটটি আসলে ভুয়া।[৪] ২০১১ সালে ওহায়োতে একটি ব্যক্তিগত চিড়িখানা থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিংস্র বন্যপ্রাণীকে লোকালয়ে ছেড়ে দেবার ঘটনার পর, সাইটটি গণমাধ্যমে আরো বেশি মনোযোগ পায়। [৫] বর্তমানে ওয়েবসাইটটি একটি ফাঁকা পৃষ্ঠা দেখায়।
ওয়েবসাইট
[সম্পাদনা]বাইটাইগারস.কম কিছু কমবয়সী বাঘের ছবিসংবলিত একটি এক পৃষ্ঠার ওয়েবসাইট, যা দেখে মনে হয় বিক্রির জন্য বাঘগুলোকে আসলেই বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
সাইটটি দাবি করেছিল, বাঘ শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক শিকারি হওয়া সত্ত্বেও এদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিড়ালের মতো মায়াবী, অনুগত এবং সম্পূর্ণ নিরীহ পোষা প্রাণী হিসাবে তৈরি করা সম্ভব।
ওয়েবসাইটটি এও দাবি করেছিল, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৪ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে বাঘ পোষা বাঘ সরবরাহ করছে। ১৩,৪০০ ডলারের একটি "টাইগার প্যাকেজ" এ পাঁচ মাস বয়সী বাঘিনী, একটি আইভরি কলার, বাঘের খেলনা এবং একটি প্রশিক্ষণ গাইড দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। [৬]
এই সাইটটি রেডিও নেটওয়ার্ক হার্ট দ্বারা সর্বকালের সেরা ভুয়া ওয়েবসাইট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল । [৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "PETA requests the government for investigation over BuyTigers"। iGovernment.in। ২০০৮-০৯-১১। ২০১৩-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৬।
- ↑ "Tiger shopping site invites PETA's ire"। CNN-IBN। ২০০৮-০৯-১১। ২০১৩-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৬।
- ↑ Sinha, Neha (২০০৮-০৯-১৩)। "Website offers tigers 'bred in India' for sale"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৬।
- ↑ Tripiciano, Aldo। "The Truth about buytigers.com"। buytigers.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৬।
- ↑ Smith, Giselle (২০১১-১০-২০)। "Lions and tigers and bears -- at home?"। MSN Money। ২০১১-১০-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৬।
- ↑ "PETA asks State to probe website that sells tigers"। Mumbai Mirror। ২০০৮-০৯-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৬।
- ↑ "Best Internet Hoaxes of All Time"। Heart। ২০১৩-১১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৬।