বিষ্ণুপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা
বিষ্ণুপুর | |
---|---|
জনগণনা নগর | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২২′৫২″ উত্তর ৮৮°১৬′০৫″ পূর্ব / ২২.৩৮১২° উত্তর ৮৮.২৬৮০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক | বিষ্ণুপুর ১ |
আয়তন | |
• মোট | ১.৮১ বর্গকিমি (০.৭০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯ মিটার (৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫,০৩০ |
• জনঘনত্ব | ২,৮০০/বর্গকিমি (৭,২০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা[১][২] |
• অতিরিক্ত সরকারি | ইংরেজি[১] |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন কোড | ৭৪৩৫০৩ |
টেলিফোন কোড | +৯১ ৩৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-১৯ থেকে ডব্লিউবি-২২, ডব্লিউবি-৯৫ থেকে ডব্লিউবি-৯৯ |
লোকসভা কেন্দ্র | ডায়মন্ড হারবার |
বিধানসভা কেন্দ্র | বিষ্ণুপুর (তফসিলি জাতি) |
ওয়েবসাইট | www |
বিষ্ণুপুর হল ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার আলিপুর সদর মহকুমার বিষ্ণুপুর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি জনগণনা নগর।
ভূগোল
[সম্পাদনা]কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার আলিপুর সদর মহকুমাই এই জেলার সর্বাধিক নগরায়িত অংশ। এই মহকুমার মোট জনসংখ্যার ৫৯.৮৫ শতাংশ শহরাঞ্চলে এবং অবশিষ্ট ৪০.১৫ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। মহকুমার উত্তর অংশে (পাশের মানচিত্রে প্রদর্শিত) ২১টি জনগণনা নগর রয়েছে। সমগ্র জেলাটি গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত এবং মহকুমাটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে পলিসমৃদ্ধ সমভূমিতে অবস্থিত। মহকুমার এই অংশটি রাজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য শিল্পাঞ্চলও বটে।[৩][৪][৫]
বিষ্ণুপুর জনগণনা নগরটি ২২°২২′৫২″ উত্তর ৮৮°১৬′০৫″ পূর্ব / ২২.৩৮১২° উত্তর ৮৮.২৬৮০° পূর্ব অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই স্থানের গড় উচ্চতা ৯ মিটার (৩০ ফু)।[৬]
ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক ২০১১ ফর দ্য সাউথ টোয়েন্টি-ফোর পরগনাস-এর ২৩৩ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত বিষ্ণুপুর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মানচিত্র অনুযায়ী, বিষ্ণুপুর, কন্যানগর, আমতলা, রামকৃষ্ণপুর, কৃপারামপুর ও চক এনায়েতনগর (সামান্য দূরে অবস্থিত) জনগণনা নগরের একটি পুঞ্জ সৃষ্টি করেছে।[৭]
জনপরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মোট জনসংখ্যা ৫,০৩০; এর মধ্যে ২,৫৬১ জন পুরুষ (৫১ শতাংশ) এবং ২,৪৬৯ জন মহিলা (৪৯ শতাংশ)। ৪৩১ জনের বয়স ছয় বছরের কম। মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ৪,০৯৯ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী জনসংখ্যার ৮৯.১৩ শতাংশ)।[৮]
২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মোট জনসংখ্যা ছিল ৪,৫২৯; এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ ছিল পুরুষ এবং ৪৭ শতাংশ ছিল মহিলা। গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৮২ শতাংশ, যা উক্ত জনগণনার হিসেব অনুযায়ী জাতীয় গড়ের (৫৯.৫ শতাংশ) তুলনায় অনেকটা বেশি ছিল। উক্ত বছরে এই শহরের পুরুষ সাক্ষরতার হার ছিল ৮৬ শতাংশ ও মহিলা সাক্ষরতার হার ছিল ৭৭ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশের বয়স ছিল ছয় বছরের কম।[৯]
জনপ্রশাসন
[সম্পাদনা]থানা
[সম্পাদনা]বিষ্ণুপুর জনগণনা নগরটি বিষ্ণুপুর থানার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার অধীনস্থ। এই থানা এলাকার আয়তন ২১১ বর্গ কিলোমিটার এবং এটি বিষ্ণুপুর ১, বিষ্ণুপুর ২ ও ঠাকুরপুকুর মহেশতলা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।[১০]
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সদর
[সম্পাদনা]বিষ্ণুপুর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সদর বিষ্ণুপুরে অবস্থিত।[১১]
পরিকাঠামো
[সম্পাদনা]ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক, ২০১১-এ প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের আয়তন ১.৮১ বর্গ কিলোমিটার। এখানে ওভারহেড ট্যাংক ও সার্ভিস রিসারভয়ারের মাধ্যমে পরিশ্রুত জল সরবরাহ করা হয়। মোট ১,১০০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ যোগাযোগ রয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে এখানে একটি ডিসপেনসারি/স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চারটি দাতব্য হাসপাতাল/নার্সিং হোম ও ছয়টি ওষুধের দোকান রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এখানে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি মধ্য বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দু’টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নিকটবর্তী বিদ্যানগরে একটি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। বিষ্ণুপুরে একটি অনুমোদনপ্রাপ্ত শর্টহ্যান্ড, টাইপরাইটিং ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও আছে। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি অনাথ আশ্রম, একটি বৃদ্ধাশ্রম ও একটি সিনেমা হল। এখানে সফট টয় ও মুড়ি উৎপাদিত হয়।[১২]
পরিবহণ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]বিষ্ণুপুর ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর অবস্থিত।[১৩]
শিক্ষাব্যবস্থা
[সম্পাদনা]১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিষ্ণুপুর শিক্ষা সংঘ হল একটি বাংলা-মাধ্যম সহশিক্ষামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুবিধা আছে।[১৪]
বিষ্ণুপুর গৃহশ্রী শিক্ষায়তন হল একটি উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।[১৫]
খড়িবেড়িয়ায় ২০০৭ সাল প্রতিষ্ঠিত মাউন্ট লিটেরা জি স্কুল হল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন অনুমোদিত একটি বিদ্যালয়।[১৬]
১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত খড়িবেড়িয়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ হল একটি বাংলা-মাধ্যম বিদ্যালয়। এটি ছেলেদের স্কুল। এখানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুবিধা আছে।[১৭]
১৯৬৩ সালে বিদ্যানগরে বিদ্যানগর কলেজ স্থাপিত হয়।[১৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Fact and Figures"। Wb.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "52nd REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (পিডিএফ)। Nclm.nic.in। Ministry of Minority Affairs। পৃষ্ঠা 85। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "District Statistical Handbook 2014 South Twety-four Parganas"। Table 2.1 , 2.2, 2.4b। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Census of India 2011, West Bengal, District Census Handbook, South Twentyfour Parganas, Series – 20, Part XII-A, Village and Town Directory" (পিডিএফ)। Page 13, Physiography। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "District Human Development Report: South 24 Parganas"। Chapter 9: Sundarbans and the Remote Islanders, p 290-311। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2009। ৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ Falling Rain Genomics, Inc - Bishnupur
- ↑ "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Page 207 - Map of Bishnupur CD block, Page 233 – Map of Bishnupur II CD block। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "CD block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"। 2011 census: West Bengal – District-wise CD blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১।
- ↑ "Bishnupur police station"। Diamond Harbour police district। West Bengal police। ১৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "BDO Offices under South 24 Parganas District"। West Bengal Public Library Network, Government of West Bengal। ৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "District Census Handbook South Twenty Four Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Section II Town Directory, Pages 999-1006 Statement I: Status and Growth History, Pages 1006-1010; Statement II: Physical Aspects and Location of Towns, Pages 1010-1015; Statement III: Civic and other Amenities, Pages 1015-1019; Statement IV: Medical Facilities 2009, Pages 1019-1027 Statement V: Educational, Recreational and Cultural Facilities, Pages 1027- 1029: Statement VI:Industry and Banking। Directorate of Census Operations V, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ Google maps
- ↑ "Bishnupur Siksha Sangha"। Edu Gorilla। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Bishnupur Grihasree Sikshayatan for Girls"। Search All। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Mount Litera Zee School DHR"। MLZS। ১০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Khariberia Vivekananda Vidyapith"। ICBSE। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Vidyanagar College"। College Search। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৯।