বিষয়বস্তুতে চলুন

ভারতে সাক্ষরতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ভারতের সাক্ষরতা হার।

ভারতে সাক্ষরতা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান পন্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।[] ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের সাক্ষরতার হার ছিল ১২%। ২০১১ সালে এই হার বেড়ে হয়েছে ৭৪.০৪%।[][] ২০০৮ সালের জুন মাসে জাতীয় নমুনা সমীক্ষা কার্যালয় (এনএসএসও) পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ বছর বয়স পর্যন্ত সাক্ষরতার হার ৭২%, কিন্তু পূর্ণবয়স্ককদের (১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব) সাক্ষরতার হার ৬৬%।[]

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে এই উন্নতি পাঁচ গুণ হলেও, ভারতে সাক্ষরতার হার বিশ্বের গড় সাক্ষরতার হার ৮৪%-এর অনেকটাই নিচে।[] বর্তমানে নিরক্ষর জনসংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বে প্রথম স্থানের অধিকারী।[] সরকারিভাবে একাধিক নিরক্ষরতা-দূরীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা সত্ত্বেও, ভারতের সাক্ষরতার বৃদ্ধির হার "শ্লথ"।[] ১৯৯০ সালের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, সার্বিক সাক্ষরতা অর্জনে ভারতের ২০৬০ সাল লেগে যাবে।[] ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেছে, ভারতের ২০০১-২০১১ দশকীয় সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার ৯.২%, যা পূর্ববর্তী দশকীয় বৃদ্ধির হারের তুলনায় শ্লথতর।

ভারতে লিঙ্গভেদে শিক্ষাগত তারতম্য লক্ষিত হয়। ২০১১ সালে পূর্ণবয়স্ক (১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব) সাক্ষরতার হার পুরুষদের ক্ষেত্রে ৮২.১৫% ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬৫.৪৬%।[] নারী-সাক্ষরতার হার কম হওয়ার কুপ্রভাব পড়ছে পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়াসে পরিলক্ষিত হচ্ছে। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, নারী সাক্ষরতার ফলে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ে, এমনকি তাঁরা আর্থিকভাবে স্বাধীন না হলেও।[১০] অবশ্য সাম্প্রতিক জনগণনা থেকে জানা গিয়েছে, ২০০১-২০১১ দশকে ভারতে নারী সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার (১১.৮%), পুরুষ সাক্ষরতা বৃদ্ধির হারের (৬.৯%) তুলনায় অধিক; যার অর্থ সাক্ষরতার ক্ষেত্রে লিঙ্গগত বিভেদ কমে আসছে।[১১]

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. UNESCO: Literacy, UNESCO, ২০ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা 
  2. Jayant Pandurang Nayaka, Syed Nurullah (১৯৭৪), A students' history of education in India (1800-1973), Macmillan 
  3. Census#India"Cencus Of India"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-৩১ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১১ 
  5. Crossette, Barbara (১৯৯৮-১২-০৯), "Unicef Study Predicts 16% World Illiteracy Rate Will Increase", New York Times, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭ 
  6. "India has the largest number of illiterates in the world", Rediff, ২০০৭-১১-২১, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭ 
  7. "India's literacy rate increase sluggish", Indiainfo.com, ২০০৮-০২-০১, ২০০৯-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২০, ... Literacy in India is increasing at a sluggish rate of 1.5 percent per year, says a recent report of the National Sample Survey Organisation (NSSO) ... India's average literacy rate is pegged at 65.38 percent ... 
  8. How Female Literacy Affects Fertility: The Case of India (পিডিএফ), Population Institute, East-West Center, ডিসেম্বর ১৯৯০, ২০১০-১২-২৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৫ 
  9. http://www.unfpa.org/swp/2009/en/pdf/EN_SOWP09_ICPD.pdf
  10. A. Dharmalingam, S. Philip Morgan (১৯৯৬), "Women's work, autonomy, and birth control: evidence from two south India villages", Population Studies, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৫ 
  11. Literates and Literacy Rates - 2001 Census (Provisional), National Literacy Mission, ২০০৯-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]