বিষয়বস্তুতে চলুন

সেস ডিক্সন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সেস ডিক্সন
১৯২৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে সেস ডিক্সন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
সেসিল ডনোভ্যান ডিক্সন
জন্ম১২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯১
পচেফস্ট্রুম, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯
ইলোভো, জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৮৮)
১ জানুয়ারি ১৯১৪ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৩
রানের সংখ্যা ১৮৪
ব্যাটিং গড় ০.০০ ৫.৯৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৭
বল করেছে ২৪০ ৫,২০০
উইকেট ১০৬
বোলিং গড় ৩৯.৩৩ ২৪.১১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৬২ ৭/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ২১/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

সেসিল ডনোভ্যান ডিক্সন (ইংরেজি: Cec Dixon; জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯১ - মৃত্যু: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) ট্রান্সভাল প্রদেশের পচেফস্ট্রুম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[][][] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন সেস ডিক্সন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

মিডিয়াম থেকে ফাস্ট-মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন সেস ডিক্সন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপহার দিতেন তিনি। ৩৯ ইনিংসে ব্যাটিং করে মাত্র ১৮৪ রান তুলতে পেরেছিলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ২৭ রান। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ছয় রানেরও কম গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন। তবে, বল হাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন। ইনিংসে পাঁচ-উইকেট পেয়েছেন ছয়বার ও খেলায় একবার দশ উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন।

১৯১২-১৩ মৌসুম থেকে ১৯২৪-২৫ মৌসুম পর্যন্ত সেস ডিক্সনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মহান যুদ্ধের সময়কালে তার খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিজস্ব তৃতীয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়ার পর বিস্ময়করভাবে টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। ঐ মৌসুমে পূর্বেকার দুই খেলায় ১৪৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, সিরিজের দশ দিন পূর্বে সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে ২/৯২ পান।

ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৭/১৬। ১৯২৩-২৪ মৌসুমে জোহেন্সবার্গে কারি কাপের খেলায় গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে এ সাফল্য পান। ঐ মৌসুমে ঠিক দশ গড়ে ৩৩ উইকেট পেয়েছেন। এরফলে, জাতীয় পর্যায়ের বোলিং গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। এছাড়াও, ট্রান্সভাল দলকে ঘরোয়া পর্যায়ে অষ্টম শিরোপা লাভে সহায়তা করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ১ জানুয়ারি, ১৯১৪ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্ট অংশগ্রহণ ছিল।

জোহেন্সবার্গে খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র টেস্ট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। জে. ডব্লিউ. এইচ. টি. ডগলাসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় খেলায় অংশ নেন। তবে, ব্যাট হাতে নিদারুণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। কোন রান তুলতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে বোলিং উদ্বোধনে নেমে ২/৬২ পান। জ্যাক হবসজ্যাক হার্ন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। খেলায় স্বাগতিক দল ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়। বল হাতে নিয়ে ১১৮ রান খরচায় তিন উইকেট পান। তন্মধ্যে, বিখ্যাত ইংরেজ ব্যাটসম্যান জ্যাক হবসকে দুইবার আউট করেন।

যুদ্ধের পর ১৯২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। গ্রীষ্মকালীন ঐ সফরে তিনি স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করতে পারেননি। কেবলমাত্র গ্লাসগোতে স্বাগতিক স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪/১৪ ও ৬/৩৯ পেয়েছিলেন। এটিই পরবর্তীতে তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র দশ উইকেট প্রাপ্তির ঘটনা ছিল। এ সফরে ২৬.৭১ গড়ে ৩২ উইকেট পান। এরপর তিনি আর কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি।

১৯২৪ সালের সফর শেষে আর একটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন সেস ডিক্সন। ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে জোহেন্সবার্গের ইলোভো এলাকায় সেস ডিক্সনের দেহাবসান ঘটে। ১৯৬৪ সালে তার দেহাবসানের পর উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকে মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করেনি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "South Africa – Players by Test cap"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. "South Africa – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "South Africa – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  1. World Cricketers - A Biographical Dictionary by Christopher Martin-Jenkins, published by Oxford University Press (1996).
  2. The Wisden Book of Test Cricket, Volume 1 (1877-1977) compiled and edited by Bill Frindall, published by Headline Book Publishing (1995).

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]