বিষয়বস্তুতে চলুন

স্টিভ টিকোলো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টিভ টিকোলো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
স্টিফেন ওগোঞ্জি টিকোলো
জন্ম (1971-06-25) ২৫ জুন ১৯৭১ (বয়স ৫৩)
নাইরোবি, কেনিয়া
ডাকনামগাঞ্জি, গানস[]
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট বোলিং মিডিয়াম/অফ স্পিন
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কটম টিকোলো (ভাই)
ডেভিড টিকোলো (ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১)
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২৩ জানুয়ারি ২০১৪ বনাম নেদারল্যান্ডস
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৫-১৯৯৬বর্ডার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই টি২০আই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৩৫ ১৫ ৬২ ২১৩
রানের সংখ্যা ৩,৪২৮ ৩৪৫ ৪,৭২৮ ৬,১০৫
ব্যাটিং গড় ২৯.০৫ ২৮.৭৫ ৪৮.২৪ ৩৩.০০
১০০/৫০ ৩/২৪ ০/২ ১১/২৬ ৯/৪০
সর্বোচ্চ রান ১১১ ৫৬* ২২০ ১৩৩
বল করেছে ৪,০১৬ ১৭০ ৫,৯৯১ ৬,৬৪৭
উইকেট ৯৪ ১২ ৮৫ ১৬৮
বোলিং গড় ৩৪.২০ ১৪ ৩৭.১৮ ৩০.৬৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - - -
সেরা বোলিং ৪/৪১ ৪/২ ৬/৮০ ৪/১৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬৭/– ৯/– ৫৮/– ১০৪/–

স্টিফেন ওগোঞ্জি টিকোলো (ইংরেজি: Steve Tikolo; জন্ম: ২৫ জুন, ১৯৭১) নাইরোবিতে জন্মগ্রহণকারী কেনিয়ার সাবেক প্রথিতযশা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি উগান্ডা ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন।[] কেনিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে তিনি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। তাকে কেনিয়ার ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা ক্রিকেটারের মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে। তিনি দলের পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট লাভ করেন।[]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

টিকোলো এক ক্রিকেট পরিবার থেকে এসেছেন। তার বড় ভাই টম কেনিয়া দলের সাবেক ক্রিকেটার ছিলেন। তার আরেক ভাই ডেভিড টিকোলো ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেছেন।

টিকোলো ডানহাতি মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান ও দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে মিডিয়াম পেস কিংবা অফ-স্পিন বোলিং করতেন। পূর্বে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ডারের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশেও খেলেছেন তিনি। সাম্প্রতিককালে ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে খেলেছেন ও নাইরোবির স্বামীবাপা ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন। পাশাপাশি আফ্রিকা একাদশের পক্ষে এশিয়া একাদশের বিপক্ষেও খেলেছেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

কেনিয়ার ক্রিকেটে টিকোলোর প্রাধান্য লক্ষ্যণীয়। জানুয়ারি, ২০০৭ সালে ওডিআই ক্রিকেটের নয়টি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মধ্যে তারই রয়েছে ছয়টি।[] টিকোলো এ পর্যন্ত তিনটি ওডিআই সেঞ্চুরি করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৬*, বারমুদার বিপক্ষে ১১১ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০২ করেছেন। এছাড়াও ৯০ রানের কোটায় আউট হয়েছেন তিনবার।[] এছাড়াও, আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপে ১,৯১৮ রান করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে রয়েছেন।[]

১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই কেনিয়ার পক্ষে তার অভিষেক ঘটে। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের বিপক্ষে তিনি ৬৫ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও তার ২৯ রানের ফলেই পুনেতে অনুষ্ঠিত খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কেনিয়া দল স্মরণীয় জয় পায়। ক্যান্ডিতেও তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৬ রান করেছিলেন।

কেনিয়ার ক্রিকেটের অগ্রদূত হিসেবে ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষেও ১৪৭ করেন। এ ইনিংসের পর দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকের মর্যাদা পায় ও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ লাভ করে। এ বিশ্বকাপেও ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অর্ধ-শতক পান টিকোলো।

অধিনায়কত্ব

[সম্পাদনা]

২০০২ সালে টিকোলো কেনিয়ার নতুন অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৯৩ ও ৬৯ রান করে দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে টিকোলো কেনিয়াকে নেতৃত্ব দেন ও সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান। টেস্ট ক্রিকেট বহির্ভূত দল হওয়া স্বত্ত্বেও সেমি-ফাইনালে অগ্রসর হওয়া কেনিয়া দলের জন্য বিরাট সফলতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর দরুন তাকে অধিনায়কত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খেলোয়াড়দের নিয়ে ধর্মঘট করেন। এ ধর্মঘট নতুন যুগের সূচনা করে ও পুনরায় তিনি অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। ২০০৫ সালে ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডের হ্যাভারিজ দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Steve Tikolo"। ESPN:Cricinfo। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-০১ 
  2. "'The most challenging thing for Associates is lack of games'"। Cricinfo.com। ৭ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৭ 
  3. "Steve Tikolo - Kenya's greatest cricketer"ESPN। মার্চ ২০, ২০১১। 
  4. "ODI Career Highest Individual Scores: Kenya"। CricInfo। ২০০৫-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১১ 
  5. "Steve Tikolo innings by innings ODI record"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১১ 
  6. "Records / ICC Intercontinental Cup / Most runs"। cricinfo.com। 
  7. "Cricket pros playing in Cumbria"। BBC Cumbria। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১১ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]