হরিপদ চট্টোপাধ্যায়
হরিপদ চট্টোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৭ |
মৃত্যু | ১১ নভেম্বর, ১৯৬৭ (বর্তমান ভারত) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) ভারত |
শিক্ষা | কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে সোভিয়েত ইউনিয়ন যান |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
কর্মজীবন | ১৯৫২ সালের নির্বাচনে বিধানসভার সদস্য, ১৯৬২ ও ১৯৬৭ তে পরপর দুইবার নবদ্বীপ ও কৃষ্ণনগর লোকসভায় নির্বাচিত |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | অসহযোগ আন্দোলন |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
সন্তান | অভিজিত চট্টোপাধ্যায় (পুত্র) |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | বাঘা যতীন (মাতুলপুত্র) |
হরিপদ চট্টোপাধ্যায় (জন্ম ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১১ নভেম্বর, ১৯৬৭) ছিলেন ভারতের একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জননেতা। তার জন্ম হয়েছিল নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে। সম্পর্কে তিনি শহীদ বিপ্লবী বাঘা যতীন এর মাতুলপুত্র। তার পিতার নাম বসন্ত চট্টোপাধ্যায়।[১]
ছাত্র জীবন
[সম্পাদনা]বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ছাত্র, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অন্যতম সুহৃদ হরিপদ চট্টোপাধ্যায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের ছাত্র। প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্থানাধিকার করে এম.এস.সি পাশ করেন। এবং উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে সোভিয়েত ইউনিয়ন যান।[২]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]চাকরির নিশ্চিত প্রলোভন ছেড়ে মহাত্মা গান্ধীর দেশজোড়া অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারারুদ্ধ হন হরিপদ। তাকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয় ১৯২১ সালে। পরবর্তীকালে আইন অমান্য আন্দোলন ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েও কারাবরণ করেছেন দীর্ঘদিন।[৩] নদীয়া জেলার সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধাপুরুষ ও একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন তিনি। কুমিল্লায় অভয় আশ্রম এর প্রতিষ্ঠা ও নদীয়ার সাহেবনগরে কৃষি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা তার জীবনের অন্যতম কৃতিত্ব। যে প্রতিষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন, প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ মিত্র ও জাতীয় স্তরের কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ পদার্পণ করেছেন একাধিকবার। ভারতবর্ষের মত কৃষিপ্রধান দেশে কৃষির সাথে গ্রামীণ কুটির শিল্পর প্রত্যক্ষ যোগসূত্র স্থাপনে তিনি ছিলেন অগ্রনী কর্মী।
সংসদীয় রাজনীতি
[সম্পাদনা]১৯৩৭ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা (পরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা)-র কংগ্রেস দলভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালের নির্বাচনে বিরোধী দলের পক্ষে বিধানসভার সদস্য ও ১৯৬২ ও ১৯৬৭ তে পরপর দুইবার নবদ্বীপ ও কৃষ্ণনগর কেন্দ্র হতে নির্দলীয় সাংসদ হিসেবে লোকসভায় নির্বাচিত হন।[৪]
পার্লামেন্টারিয়ান ও সুবক্তা হিসেবে তাঁর সর্বভারতীয় খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তার জীবদ্দশায় একমাত্র পুত্র ভারতীয় বিমানবাহিনীর কমিশনড অফিসার অভিজিত চট্টোপাধ্যায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫ তে কাশ্মীরে শহীদ হন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Bira # Baghá Yatina।
- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬১৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ স্বাধীনতা সংগ্রামে নদীয়া। নদীয়া জেলা নাগরিক পরিষদ।: নদীয়া জেলা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতহাস রচনা সমিতি। ১৯৭৩।
- ↑ Ghoshal, Sanjay (২০১৯-০৪-২৬)। "বিজেপিই প্রথম পরিবর্তন এনেছিল কৃষ্ণনগরে, তৃণমূল কিন্তু নয়! একঝলকে এই কেন্দ্রের ভোট-ইতিহাস"। https://bengali.oneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
- ১৮৯৭-এ জন্ম
- ১৯৬৭-এ মৃত্যু
- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
- পশ্চিমবঙ্গের বিপ্লবী
- নদিয়া জেলার ব্যক্তি
- পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- পশ্চিমবঙ্গের ব্যক্তি
- বাঙালি রাজনীতিবিদ
- তৃতীয় লোকসভার সদস্য
- ভারতীয় রাজনীতিবিদ
- চতুর্থ লোকসভার সদস্য
- কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ভারতীয় বিপ্লবী
- বাঙালি বিপ্লবী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা সদস্য
- ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- ভারতীয় স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন
- ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী
- ভারতীয় জাতীয়তাবাদী
- কিষাণ মজদুর প্রজা পার্টির রাজনীতিবিদ
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৪৭-১৯৫১
- বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য ১৯৪৬-১৯৪৭