নিকেল
নিকেল (ইংরেজি: Nickel) একটি মৌলিক পদার্থ যার প্রতীক Ni এবং পারমাণবিক সংখ্যা ২৮। এর পারমাণবিক ভর ৫৮.৬৯৩৪ (সাধারণ কাজে ৫৯ ব্যবহার করা হয়)। এটি পর্যায় সারণীর চতুর্থ পর্যায়ে, দশম গ্রুপে অবস্থিত। এটি একটি ডি-ব্লক মৌল হওয়ায় এটি অবস্থান্তর ধাতু হিসাবে পরিগণিত হয়। তাই এটি যে সকল যৌগ গঠন করে তা সাধারণত রঙিন হয়। এটি বিভিন্ন জৈব বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। পৃথিবীর কেন্দ্রে লোহা এবং নিকলের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। নিকেল স্টেইনলেস স্টিল ও অন্যান্য ক্ষয়রোধকারী সংকর ধাতু তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সারা বিশ্বের উৎপাদিত নিকেলের প্রায় ৯% এখনও ক্ষয়-প্রতিরোধী নিকেল আবরণযুক্ত ধাতু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নিকেলের আবরণযুক্ত বস্তু কখনো কখনো মানুষের অ্যালার্জি সমস্যা তৈরি করে। মুদ্রা তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে নিকেল ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এর ক্রমবর্ধমান দামের কারণে কমদামী ধাতু দিয়ে মুদ্রা তৈরি করা হচ্ছে।
উপস্থিতি | lustrous, metallic, and silver with a gold tinge | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আদর্শ পারমাণবিক ভরAr°(Ni) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় সারণিতে নিকেল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক সংখ্যা | ২৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৌলের শ্রেণী | অবস্থান্তর ধাতু | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ | গ্রুপ ১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় | পর্যায় ৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্লক | ডি-ব্লক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইলেকট্রন বিন্যাস | {{{1}}} or {{{1}}} | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতিটি কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা | 2, 8, 16, 2 or 2, 8, 17, 1 | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভৌত বৈশিষ্ট্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দশা | কঠিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গলনাঙ্ক | 1728 কে (1455 °সে, 2651 °ফা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
স্ফুটনাঙ্ক | 3186 K (2913 °সে, 5275 °ফা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে) | 8.908 g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তরলের ঘনত্ব | m.p.: 7.81 g·cm−৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ফিউশনের এনথালপি | 17.48 kJ·mol−১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাষ্পীভবনের এনথালপি | 377.5 kJ·mol−১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপ ধারকত্ব | 26.07 J·mol−১·K−১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাষ্প চাপ
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জারণ অবস্থা | 4[৩], 3, 2, 1 [৪], -1 mildly basic oxide | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তড়িৎ-চুম্বকত্ব | 1.91 (পলিং স্কেল) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আয়নীকরণ বিভব | (আরও) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক ব্যাসার্ধ | empirical: 124 pm | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সমযোজী ব্যাসার্ধ | 124±4 pm | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভ্যান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ | 163 pm | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিবিধ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কেলাসের গঠন | face-centered cubic (fcc) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শব্দের দ্রুতি | পাতলা রডে: 4900 m·s−১ (at r.t.) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপীয় প্রসারাঙ্ক | 13.4 µm·m−১·K−১ (২৫ °সে-এ) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহিতা | 90.9 W·m−১·K−১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তড়িৎ রোধকত্ব ও পরিবাহিতা | ২০ °সে-এ: 69.3 n Ω·m | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
চুম্বকত্ব | ferromagnetic | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক | 200 GPa | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কৃন্তন গুণাঙ্ক | 76 GPa | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আয়তন গুণাঙ্ক | 180 GPa | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পোয়াসোঁর অনুপাত | 0.31 | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
(মোজ) কাঠিন্য | 4.0 | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভিকার্স কাঠিন্য | 638 MPa | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্রিনেল কাঠিন্য | 700 MPa | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা | 7440-02-0 | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নিকেলের আইসোটোপ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিভিন্ন উল্কাতে নিকেলকে লোহার সাথে একত্রে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় যে, নিকেল এবং লোহার সংমিশ্রন পৃথিবীর কেন্দ্রের অষ্ঠি (কোর) গঠন করে।[৬]
ইতিহাস ও নামকরণ
সম্পাদনানিকেলের কথা মানুষের বহুকাল আগে থেকেই জানা ছিল। সর্বপ্রথম নিকেল ব্যবহৃত হয় উল্কাপিণ্ড থেকে প্রাপ্ত লোহা এবং নিকেলের সংকর ধাতু হিসেবে। সাড়ে তিন হাজার বছর খ্রিস্টপূর্বে সিরিয়ার ব্রোঞ্জের তৈরি পাত্রে শতকরা দুই ভাগ নিকেল পাওয়া গিয়েছে।[৭]
১৭৫১ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানী অ্যাক্সেল ফ্রেডরিক ক্রনস্টেডট নিকালকে সর্বপ্রথম একটি রাসায়নিক মৌল হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি সুইডেনের গ্যাভেলবর্গ কাউন্টির লস শহরের একটি কোবাল্ট খনিতে নিকেল খুঁজে পান। যদিও তিনি প্রাথমিকভাবে একে তামার একটি আকরিক হিসেবে ভুল করেছিলেন।
জার্মান খনিজ পুরাণের এক দুষ্ট আত্মা নিকেলের (প্রাচীন নিকের অনুরূপ) নামানুসারে মৌলটির নামকরণ করা হয়েছে।
উৎস
সম্পাদনানিকেলের একটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো আয়রন লিমোনাইট নামক লোহার আকরিক। এতে প্রায়ই ১-২% নিকেল থাকে।
নিকেলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আকরিক-খনিজগুলির মধ্যে পেন্টল্যান্ডাইট এবং গার্নারাইট নামে পরিচিত নিকেল সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সিলিকেটগুলির মিশ্রণ। নিকেলের প্রধান উৎপাদনের স্থানের মধ্যে কানাডার সাদবাড়ি অঞ্চল (যা আবহাওয়া উৎপন্ন বলে মনে করা হয়), প্রশান্ত মহাসাগরের নিউ ক্যালিডোনিয়া এবং রাশিয়ার নরিলস্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Standard Atomic Weights: নিকেল"। CIAAW। ২০০৭।
- ↑ Prohaska, Thomas; Irrgeher, Johanna; Benefield, Jacqueline; Böhlke, John K.; Chesson, Lesley A.; Coplen, Tyler B.; Ding, Tiping; Dunn, Philip J. H.; Gröning, Manfred; Holden, Norman E.; Meijer, Harro A. J. (২০২২-০৫-০৪)। "Standard atomic weights of the elements 2021 (IUPAC Technical Report)"। Pure and Applied Chemistry (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 1365-3075। ডিওআই:10.1515/pac-2019-0603।
- ↑ M. Carnes; ও অন্যান্য (২০০৯)। "A Stable Tetraalkyl Complex of Nickel(IV)"। Angewandte Chemie International Edition। 48: 3384। ডিওআই:10.1002/anie.200804435।
- ↑ S. Pfirrmann; ও অন্যান্য (২০০৯)। "A Dinuclear Nickel(I) Dinitrogen Complex and its Reduction in Single-Electron Steps"। Angewandte Chemie International Edition। 48: 3357। ডিওআই:10.1002/anie.200805862।
- ↑ কনদেব, এফ.জি.; ওয়াং, এম.; হুয়াং, ডব্লিউ.জে.; নাইমি, এস.; আউডি, জি. (২০২১)। "The NUBASE2020 evaluation of nuclear properties" [পারমাণবিক বৈশিষ্ট্যের নুবেস২০২০ মূল্যায়ন] (পিডিএফ)। চাইনিজ ফিজিক্স সি (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৫ (৩): ০৩০০০১। ডিওআই:10.1088/1674-1137/abddae।
- ↑ Stixrude, Lars; Waserman, Evgeny; Cohen, Ronald (নভেম্বর ১৯৯৭)। "Composition and temperature of Earth's inner core"। Journal of Geophysical Research। 102 (B11): 24729–24740। ডিওআই:10.1029/97JB02125। বিবকোড:1997JGR...10224729S।
- ↑ Rosenberg, Samuel J. (১৯৬৮)। Nickel and Its Alloys। National Bureau of Standards।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
রসায়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |