আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা[১] | ||
জন্ম | ১৩ এপ্রিল ১৯৮৮ | ||
জন্ম স্থান | পোর্তু আলেগ্রে, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৭৬ মিটার (৫ ফুট ৯+১⁄২ ইঞ্চি)[২] | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৩–২০০৪ | গ্রেমিও | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৪–২০০৬ | গ্রেমিও | ১৯ | (৬) |
২০০৬–২০০৭ | পোর্তু | ১৮ | (২) |
২০০৭–২০১৫ | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১০৫ | (৫) |
২০১৪ | → ফিওরেন্তিনা (ধার) | ৭ | (০) |
২০১৫–২০১৮ | ইন্তেরনাসিওনাল | ৫০ | (১) |
২০১৭ | → কুরিতিবা (ধার) | ১২ | (০) |
২০১৮–২০২০ | আদানা দেমিরস্পোর | ১২ | (০) |
মোট | ২২৩ | (১৪) | |
জাতীয় দল | |||
২০০৫ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ | ১২ | (৭) |
২০০৮ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ | ৫ | (১) |
২০০৭–২০০৮ | ব্রাজিল | ৮ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা (পর্তুগিজ: Anderson; ১৩ এপ্রিল ১৯৮৮; আন্দেরসন নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইন্তেরনাসিওনালের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
১৯৯৩–৯৪ মৌসুমে, ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব গ্রেমিওর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে আন্দেরসন ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে, ব্রাজিলীয় ক্লাব গ্রেমিওর মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি দুই মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন; গ্রেমিওর হয়ে তিনি ১৯ ম্যাচে ৬টি গোল করেছিলেন। অতঃপর ২০০৫–০৬ মৌসুমে তিনি প্রায় ৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তুয় যোগদান করেছিলেন,[৩][৪] পোর্তুর হয়ে তিনি কো আদ্রিয়ান্সের অধীনে ২টি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। পোর্তুয় দুই মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ৩১.৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ১৮১ ম্যাচে ৯টি গোল করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি ফিওরেন্তিনা, ইন্তেরনাসিওনাল এবং কুরিতিবার হয়ে খেলেছিলেন। সর্বশেষ ২০১৮–১৯ মৌসুমে, তিনি তুর্কি ক্লাব আদানা দেমিরস্পোরে যোগদান করেছিলেন; আদানা দেমিরস্পোররে হয়ে দুই মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
২০০৫ সালে, আন্দেরসন ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ২ বছর যাবত ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৭ সালে ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ৮ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা ১৯৮৮ সালের ১৩ই এপ্রিল তারিখে ব্রাজিলের পোর্তু আলেগ্রেতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
[সম্পাদনা]আন্দেরসন ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ এবং ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
২০০৭ সালের ২৭শে জুন তারিখে, ১৯ বছর, ২ মাস ও ১৪ দিন বয়সে, বাম পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী আন্দেরসন মেক্সিকোর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ২০০৭ কোপা আমেরিকার ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।[৫] উক্ত ম্যাচের ৪৬তম মিনিটে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এলানোর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেছিলেন;[৬] ম্যাচে তিনি ২০ নম্বর জার্সি পরিধান করে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন।[৭] ম্যাচটি মেক্সিকো ০–২ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৮] ব্রাজিলের হয়ে অভিষেকের বছরে আন্দেরসন সর্বমোট ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক
[সম্পাদনা]দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
ব্রাজিল | ২০০৭ | ২ | ০ |
২০০৭ | ৬ | ০ | |
সর্বমোট | ৮ | ০ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Anderson Luis de Abreu Oliveira" (তুর্কি ভাষায়)। Turkish Football Federation। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Anderson Profile"। Premier League (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Anderson, ex-Grêmio, acerta com o Porto"। Terra Brasil (পর্তুগিজ ভাষায়)। ১৮ জুন ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "Porto pick up promising Brazilian"। UEFA। ২০ জুন ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "Brazil vs. Mexico - 28 June 2007"। Soccerway। ২৮ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "Brazil - Mexico 0:2 (Copa América 2007 Venezuela, Group B)"। worldfootball.net। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "Brazil - Mexico, Jun 28, 2007 - Copa América 2007 - Match sheet"। Transfermarkt (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ Strack-Zimmermann, Benjamin (২৭ জুন ২০০৭)। "Brazil vs. Mexico (0:2)"। National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা – ফিফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা – উয়েফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (আর্কাইভ) (ইংরেজি)
- সকারওয়েতে আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা (ইংরেজি)
- সকারবেসে আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা (ইংরেজি)
- বিডিফুটবলে আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা (ইংরেজি)
- ট্রান্সফারমার্কেটে আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা (ইংরেজি)
- ওয়ার্ল্ডফুটবল.নেটে আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা (ইংরেজি)
- ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে আন্দেরসন লুইস দে আব্রেউ ওলিভেইরা (ইংরেজি)
- ১৯৮৮-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ব্রাজিলীয় ফুটবলার
- ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক যুব ফুটবলার
- ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- ফুটবল মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
- প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়
- এসিএফ ফিওরেন্তিনার খেলোয়াড়
- সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড়
- প্রিমেইরা লিগার খেলোয়াড়
- ফুটবল ক্লাব পোর্তুর খেলোয়াড়
- আদানা দেমিরস্পোরের ফুটবলার
- ফুটবলে অলিম্পিক পদক বিজয়ী
- গ্রেমিও ফুটবল পোর্তু আলেগ্রেন্সের খেলোয়াড়
- স্পোর্ট ক্লাব ইন্তেরনাসিওনালের খেলোয়াড়
- কুরিতিবা ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলার
- ব্রাজিলের হয়ে অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী
- ২০০৭ কোপা আমেরিকার খেলোয়াড়
- ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পদক বিজয়ী
- ইতালিতে প্রবাসী ফুটবলার
- ইংল্যান্ডে প্রবাসী ফুটবলার
- ব্রাজিলের অলিম্পিক ফুটবলার
- কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড়
- ব্রাজিলীয় প্রবাসী ফুটবলার
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী খেলোয়াড়
- পর্তুগালে প্রবাসী ফুটবলার
- তুরস্কে প্রবাসী ফুটবলার
- কোপা আমেরিকা বিজয়ী খেলোয়াড়
- কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে বি-এর খেলোয়াড়
- পর্তুগালে ব্রাজিলীয় প্রবাসী ক্রীড়াবিদ
- ইতালিতে ব্রাজিলীয় প্রবাসী ক্রীড়াবিদ
- ইংল্যান্ডে ব্রাজিলীয় প্রবাসী ক্রীড়াবিদ
- গোল্ডেন বয় বিজয়ী
- টিএফএফ প্রথম লিগের খেলোয়াড়